তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০৪
ভিন্নমত সত্ত্বেও সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি
- অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে একশত আসনে উন্নীত করা হবে, এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এবং কোনো কোনো দল সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, অবিলম্বে আশু পদক্ষেপ হিসেবে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব যাতে বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য কতগুলো বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের নোট অভ্ ডিসেন্ট (ভিন্নমত) সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পেরেছি।
আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২২তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব বিষয় জানান। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে আশু পদক্ষেপগুলো হলো, বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদের প্রয়োজনীয় সংশোধন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তিনশত আসনের জন্য ন্যুনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ১০ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিবে৷ এই পদ্ধতিতে ন্যুনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা সাধারণ নির্বাচনে ন্যুনতম ৫ শতাংশ বর্ধিত হারে নারী প্রার্থী মনোনয়ন অব্যাহত থাকবে। সংবিধানে সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়, হিসাব অনুযায়ী তা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে৷ তবে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থীতার লক্ষ্য ২০৪৩ সালের পূর্বেই যদি অর্জিত হয় তাহলে সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধান নির্ধারিত সময়ের আগেই বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া আলী রীয়াজ জানান, ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি করতে সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধনপূর্বক কিছু প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোকে আজ দেওয়া হয়েছে৷ এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে সংবিধান ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
পবন/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২২৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০৩
রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার এই সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না
-- আইন উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাষ্ট্র মেরামত, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এসেছে সেটা মিস করলে আগামী কয়েক দশকেও এ সুযোগ আর পাবো না। কাজেই এ সুযোগ আমাদের কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না।
আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার ওপর মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এত কষ্ট ও এত ত্যাগ কখনই করেনি৷ শুধু বাংলাদেশে কেন সাব-কন্টিন্টের ইতিহাসেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা অনেক সময় অনেক সুযোগ পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর, স্বাধীনতা সংগ্রামের পর, ১৯৯১ সাল, ২০০৮ সালেও পেয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সুযোগই আমরা সৎভাবে ব্যবহার করতে পারিনি৷ এবার আমার মনে হয় এত ত্যাগ ও এত রক্ত ক্ষয়ের পর আমাদের যে রাষ্ট্র মেরামতের সুযোগ এসেছে, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে, এবার যদি সে সুযোগ মিস করি আগামী কয়েক দশকে এ সুযোগ পাবো না। কাজেই এ সুযোগ আমাদের কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, এই আইন করার জন্য আমরা আরো মতামত নেবো, আলোচনা করবো। সবার সহযোগিতায় আমরা একটা ভালো আইন করতে পারবো। আর আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে যদি কিছু নিয়োগ আমরা অ্যাটর্নি সার্ভিসে দিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশগুলো বাতিল করে দিয়েছে। এখন আমাদের পরবর্তী সরকারের বাতিল করা একটু কঠিন হবে। কারণ পরবর্তী সরকার আসবে আমাদের হাজার খানেক ছাত্র তরুণের রক্ত ও আরো অনেকের যে অঙ্গহানি হয়েছে এমন মানুষ ও জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে। পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা যাবে না বা সম্ভব হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা সব সময় শুনতে পাই নিম্ন আদালতে বা উচ্চ আদালতে দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়। তবে সেখানে অনেক পক্ষ থাকে। শুধু স্টাফ বা জজরা করে তা কিন্ত নয়। সেখানে সরকারি আইনজীবীদেরও একটা ভূমিকা থাকে। আমি রিসার্চ করে দেখেছি তারা অত্যন্ত অল্প টাকা পান। বিশেষ করে যারা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে আসেন৷ তারপরও এটার প্রতি প্রচণ্ড রকমের আগ্রহ থাকে সবার৷
উপদেষ্টা আরো বলেন, ২০০৮ সালে কেরিয়ার প্রসিকিউশন সার্ভিস অধ্যাদেশ হয়েছিল। আমরা বুঝার চেষ্টা করলাম ২০০৮ সালের এ অধ্যাদেশ কেন টিকলো না? তখন আমার কাছে মনে হয়েছে ওইটা একটু বেশি অ্যাম্বিসাস ছিলো। আমরা এখন আইনটিতে দু’টি পথ রেখেছি। একটা হচ্ছে কেরিয়ার প্রসিকিউশন সার্ভিসে ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের যে কোনো আইন করার ক্ষেত্রে সব সময় একটা আশঙ্ক্ষা থাকে। আইন করাতো আসলে খুব কঠিন কাজ না। এটা সত্যি যে সংসদে আলোচনার মাধ্যমে আইন হচ্ছে না। কিন্তু যদি কনসার্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আইন করা যায়, তাহলে ওনাদের আমলে সংসদ সদস্যদের যে মান ছিল সেটার চেয়ে অনেক ভালো হয়, এটা আমার পর্যবেক্ষণ। আমার মনে হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত অধ্যাদেশগুলোর গুণগত মান সংসদে প্রণীত আইন অপেক্ষা ভালো হয়।
সভায় খসড়া অধ্যাদেশটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে গৃহায়ণ, গণপূর্ত ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এহসানুল হক সমাজী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
#
রেজাউল/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০২
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পর বিভিন্ন খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের পর রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি বা নগদ সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে না। উক্ত পেক্ষাপট বিবেচনায় উদীয়মান ৪টি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাটজাত পণ্য; কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কী কী করা যেতে পারে তা পর্যালোচনার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থ বিভাগ হতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি এ বিষয়ে পর্যালোচনার পর কিছু সুপারিশ প্রদান করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা এবং সুপারিশ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
কমিটির কার্যপরিধি হবে—প্রতিবেদন উল্লিখিত সুপারিশসমুহ হতে সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় কোন কোন সুবিধা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ, উক্ত সুবিধাসমূহ প্রদানের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থাসমূহ কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কমিটি প্রয়োজনে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশ ছাড়াও বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় অন্য যে কোনো উপযুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে Co-opt করতে পারবে।
মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ বিভাগের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিকের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
#
রহিমা/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/খায়ের/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২২১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০১
শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
--- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আজ ঢাকায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সমূহে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকবৃন্দের বইপড়া কর্মসূচি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শিশুদের শারীরবৃত্তীয় বিকাশের পাশাপাশি তাদের আবেগীয়, বুদ্ধিবৃত্তিক ও দায়িত্ববোধের সুষ্ঠু বিকাশ হোক। এগুলো শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক পড়ার মাধ্যমে হয় না। বরং পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই বিকাশ ঘটে। তাই পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি শিশুদের পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, শিশুদের মাঝে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পাশাপাশি হৃদয়বৃত্তিক বিকাশের জন্য ভালো সাহিত্য পাঠের বিকল্প নেই। এটা শুধু শিশুদের সাক্ষর করবে না বরং দায়িত্ববোধেরও বিকাশ ঘটাবে। একটি সুস্থ জাতি ও সুস্থ দেশ গঠন করতে হলে দায়িত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে হবে
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
শিবলী/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪০০
কৃষি উপদেষ্টার সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর(অব.) এর সাথে আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে কৃষি পণ্য রপ্তানি, কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়নের সহযোগী। চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাস অর্ধশতাব্দির। ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে আম আমদানি করার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। আগামী মৌসুমে আমের পাশাপাশি কাঁঠাল, সুগন্ধি চাল আমদানির বিষয়েও অনুরোধ জানান।
উপদেষ্টা বাংলদেশের কৃষির আধুনিকায়নে প্রযুক্তি হাস্তান্তর, আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, দেশের কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানে সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, চীন বাংলাদেশের কৃষি খাতে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। তাঁর দেশ সার কারখানা স্থাপন, নিরাপদ খাদ্য, কৃষিতে অত্যাধুনিক ড্রোণ প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ বিভিন্ন বিষয়েও কাজ করতে আগ্রহী।
উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের আগ্রহকে স্বাগত জানান।
#
জাকির/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯
মন্ত্রণালয়ের প্রচার কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান প্রধান তথ্য কর্মকর্তার
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ নিজামূল কবীর সকল মন্ত্রণালয়ের প্রচার কার্যক্রম আরো জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আজ তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেন।
প্রধান তথ্য অফিসার বলেন, বর্তমান সময়ে সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নমূলক ও সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার প্রতিফলন না ঘটায় জনগণ বর্তমান সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারছে না। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তাদেরকে আরো আন্তরিক ও একনিষ্ঠভাবে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের এ সকল সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
নিজামূল কবীর আরো বলেন, বর্তমান সময়ে গুজব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গুজব ও অপতথ্য প্রচার করছে। তিনি বলেন, গুজবের নেতিবাচক প্রভাব থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে গুজব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান তথ্য অফিসার গুজব মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, গুজব শনাক্তকরণ ও সঠিক তথ্য প্রচারে তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অপতথ্য তথা গুজব মনিটরিং ও এর সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তথ্য অধিদফতরের ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ কমিটি’ কাজ করছে। এই কমিটি গুজব প্রতিরোধে নিয়মিত আইকনোটেক্সট ও ভিডিও তৈরি করছে। গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এসব আইকনোটেক্সট ও ভিডিও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
গুজব মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে নিজামূল কবীর বলেন, তথ্যের চরিত্র নির্ধারণ ও তথ্যের উৎস যাচাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তিনি গুজব প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়, সংস্থায় সংযুক্ত তথ্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নানারকম কর্মসূচির আয়োজন করছে। মন্ত্রণালয় গৃহীত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত কার্যক্রম গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করতে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিদের্শনা প্রদান করেন।
আলোচনা সভায় তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার ইয়াকুব আলী ও ম. জাভেদ ইকবালসহ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মেহেদী/মাহমুদুল/খায়ের/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/রেজাউল/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা
Handout Number: 398
Power and Gas Connections Disconnected at 9 Illegal Factories in Gazipur
Dhaka, 30 July 2025:
As per the directive of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, an enforcement drive was conducted today in Gazipur under the leadership of the Department of Environment (DoE). During the operation, power and gas connections of nine illegal factories were disconnected for causing environmental pollution.
These factories were found to be operating without Effluent Treatment Plants (ETPs). In some cases, even where ETPs existed, they remained non-functional. As a result, the factories were directly polluting nearby rivers and canals through untreated wastewater discharge.
The names and locations of the factories where services were disconnected either electricity or gas or both are as follows: Lee Novotex (Pvt.) Ltd., Board Bazar; Bismillah Enterprise, Dakshin Khailkur; Padma Denim Technology, Shilmun; Gazi Thread and Accessories, BSCIC, Tongi; Taha Fashion, Nadi Bandar Road, Tongi; Mohammadiya Yarn Trading, Mirashpara, Tongi; Summit Washing, Morkun, Tongi; Dhaka Wash Ltd., BSCIC, Tongi and Lam Mim Fashion, Shilmun, Tongi.
The operation was led by Executive Magistrate Abdullah Al Mamun from the Department of Environment. He was supported by Md. Mizanur Rahman, Assistant Director; Mokbul Hossain, Research Officer; and Sanjit Biswas, Inspector of the Department of Environment. In addition, the operation received full cooperation from DESCO East Power Division, Gazipur Rural Electrification Board, and Titas Gas Transmission and Distribution Company Ltd.
The Department of Environment has stated that the government has adopted a zero-tolerance policy toward environmental pollution. Regular enforcement drives will continue against illegal industrial operations harming the environment.
#
Dipankar/Mehedi/Mahmudul/Ferdows/Rafiqul/Joynul/2025/1945hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৭
কেজিডিসিএল এবং কাফকো’র মধ্যে ঐতিহাসিক গ্যাস বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আজ ঢাকার পেট্রোবাংলায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো)-এর মধ্যে একটি গ্যাস বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কেজিডিসিএল-এর পক্ষে কোম্পানির সচিব কবির উদ্দিন আহম্মদ এবং কাফকো'র পক্ষে সিসিও ও কোম্পানি সচিব খাজা সাইদুর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মাধ্যমে কাফকো-তে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে, যা দেশের কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরাসরি অবদান রাখবে।
এই চুক্তি অনুযায়ী কেজিডিসিএল কাফকো-কে গড়ে দৈনিক ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ কাফকোর সার উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান, কেজিডিসিএল-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, বিসিআইসি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান এবং কেজিডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, কাফকো এবং পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফেকা)- এর পক্ষে শিল্প সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান কেজিডিসিএল-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদের নিকট বকেয়া গ্যাস বিল বাবদ ৯২৩ কোটি ৮১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৬ টাকা এবং ডিমান্ড চার্জ বাবদ ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৮ টাকার দুটি চেক হস্তান্তর করেন।
এ পর্যায়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মোঃ রেজানুর রহমানের নিকট গ্যাসের বকেয়া বিল বাবদ ৬৩৪ কোটি ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৬৫ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
#
শফিউল্লাহ/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৬
আসন্ন আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে জিবুতি-সহ অন্যান্য
সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটেগরি-সি এর সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আসন্ন এ নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে
জিবুতি-সহ আইএমও এর অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জিবুতি’র অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ইস্সে আবদিল্লাহি আসসোয়েহ আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম কান্ট্রি। বাংলাদেশের মাতারবাড়িতে নির্মানাধীন একটি গভীর সমুদ্রবন্দর ছাড়াও তিনটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। চুয়ান্নটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর দেশের নৌপরিবহণ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়েও অবদান রাখতে আইএমও’র আসন্ন কাউন্সিল নির্বাচনে সদস্যপদে (ক্যাটেগরি-সি) বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। এ সময় তিনি এ নির্বাচনে জিবুতি-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন।
জিবুতি’র অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জিবুতি সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। আসন্ন আইএমও নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে উল্লেখ করে জিবুতি সরকারকে তাদের দেশের মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষার্থী ও নাবিকগণকে বাংলাদেশের একাডেমিগুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জাহাজশিল্পের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশের শিপইয়ার্ড গুলোতে বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে জিবুতিতে জাহাজ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/খায়ের/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৫
পরিবেশ দূষণের দায়ে গাজীপুরে ৯টি অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আজ গাজীপুরে অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৯টি অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
কারখানাগুলো হলো-নভোটেক্স (প্রা.) লিমিটেড, বোর্ডবাজার (বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিচ্ছিন্ন); বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, দক্ষিণ খাইলকুর (বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন); পদ্মা ডেনিম টেকনোলজি, শিলমুন (বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিচ্ছিন্ন); গাজী থ্রেড এন্ড এক্সেসরিজ, বিসিক, টঙ্গী (বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিচ্ছিন্ন); তাহা ফ্যাশন, নদী বন্দর রোড, টঙ্গী (বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন); মোহাম্মাদীয়া ইয়ার্ন ট্রেডিং, মিরাশপাড়া, টঙ্গী; সামিট ওয়াশিং, মরকুন, টঙ্গী; ঢাকা ওয়াশ লিমিটেড, বিসিক, টঙ্গী; লাম মিম ফ্যাশন, শিলমুন, টঙ্গী। এসব কারখানা ইটিপি ছাড়াই চলছিল। কেউ কেউ ইটিপি থাকলেও তা চালু রাখেনি। ফলে তারা নদী ও খাল দূষণ করছিল।
অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় অভিযানে সহায়তা প্রদানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মকবুল হোসেন এবং পরিদর্শক সঞ্জিত বিশ্বাস। এছাড়াও ডেসকো পূর্ব বিদ্যুৎ বিভাগ, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ, তিতাস গ্যাস কোম্পানি অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।
#
দীপংকর/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারো শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। এ সময় ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক শূন্য শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ২৮ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫২৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
#
রিজওয়ানুর/মেহেদী/ফেরদৌস/রফিুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৩
পার্বত্য তিন জেলায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদ্যাপিত
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে জুলাই মাসজুড়ে উদ্যাপিত হয়েছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের মধ্যে ঐতিহাসিক চেতনা জাগ্রত করা, পার্বত্য অঞ্চলে সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। পার্বত্য