Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ August ২০১৯

তথ্যবিবরণী ১০ আগস্ট ২০১৯

তথ্যবিবরণী                          নম্বর :  ২৯৮৪
 
ডেঙ্গু চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্যখাত
                                   -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালে প্রতিদিনই নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে, আবার প্রতিদিনই প্রায় সমপরিমাণ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে চলেও যাচ্ছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী কোনোদিন বেশি বাড়ে, আবার কোনোদিন খুবই কম বাড়ে। হাসপাতালে  রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিনই অল্প অল্প বাড়ছে। তবে, এক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, রোগীর সংখ্যা মাথায় রেখেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল-সহ চারটি হাসপাতালে অতিরিক্ত অন্তত ২ হাজার বেড প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের সকল কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটি বাতিল, একাধিক মনিটরিং সেল করা, নতুন আইসিইউ বেড বাড়ানো-সহ স্বাস্থ্যখাত থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যাতে ডেঙ্গু সংক্রান্ত দুর্যোগ আর বৃদ্ধি না ঘটতে পারে।
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীদের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পরে বাসা বাড়িতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি তিন দিনের মধ্যে পরিষ্কার না করলে এডিস মশা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নিজ নিজ বাসা বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যক্তি সচেতনতা এখন খুবই জরুরি বিষয়।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল দু’টিতে থাকা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। 
 
#
 
মাইদুল/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                          নম্বর : ২৯৮৩
 
                   নৌপথে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে
       -- নৌপ্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীসেবা। যাত্রীসেবা পুরোপুরি  নিশ্চিত না হলেও যতটুকু হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীসেবায় যতটুকু সমস্যা রয়েছে তা ঈদের আনন্দের মধ্যে পড়েছে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ  ঢাকায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদ ব্যবস্থাপনা, লঞ্চ ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
 
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লঞ্চে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মালিক, শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। নিয়ম কানুন ও শৃঙ্খলা মেনে না চললে লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল হতে পারে।
 
  প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে প্রচুর যাত্রীর চাপ রয়েছে। গতকাল প্রায় তিন লাখ লোক লঞ্চে গন্তব্যে পৌঁছেছে। আজ  এর চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক পারাপার হবে। আইন মেনে চলার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোথাও কোনো পদক্ষেপ না নিতে তিনি যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
 
  প্রতিমন্ত্রী এমভি মানামী লঞ্চ এবং  বিআইডব্লিউটিসি এর জাহাজ ‘বাঙালির’ যাত্রীদের  সাথে কথা বলেন।
 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য দেলোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক জাফর হাওলাদার এবং যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
মাইদুল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ২৯৮২

                  

বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি

সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :

 

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের আজ দুপুর ১টার প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৭০টি স্থানে পানির সমতল হ্রাস পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে ২০টি স্থানে। সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।

 

          প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নীলফামারী, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, মুন্সিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর শরিয়তপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ফরিদপুর, গাইবান্ধা ও চাঁদপুর জেলার বন্যার পানি নেমে গেছে, আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজন নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে গেছেন। এ সকল জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে।

 

          প্রতিবেদন অনুযায়ী আবহাওয়ার পূর্বাভাস : খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া-সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্র-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরসমূহকে  ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

          সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।

 

#

 

কাদের/নাইচ/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৯৮১

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্‌ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত পয়লা জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৩৮ হাজার ৮ শত ৪৪ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৯ হাজার ৩ শত ৯৫ জন। এ পর্যন্ত ২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

          বর্তমানে ঢাকায় ৪০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ২ শত ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১ শত ৬২ জন। দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১ শত ৭৬ জন।

#

নাইচ/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা

আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৯৭৯

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২6 শ্রাবণ (১0 আগস্ট) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “ঈদ মোবারক।

          পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি দেশবাসী-সহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

          মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।

          বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি জাঁকজমকের সাথে পালন করে আসছে। এটা আমাদের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে তা কাজে লাগাতে হবে। সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। কোনো ধর্মই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সমর্থন করে না। কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক - এ প্রত্যাশা করি।

          মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়া ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ - মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।        

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আজাদ/নাইচ/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/১৭২৭ ঘণ্টা

         

আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২৯৮০

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী     

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :

             প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

          “পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

          হযরত ইব্রাহীম (আঃ) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতি বছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোশত আত্মীয়-স্বজন ও
গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন।

          শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদুল আজহা। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

          প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

          ঈদুল আজহা’র এ দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”

#

 

ইমরুল/নাইচ/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/১৭৩০ ঘণ্টা  

 

 

আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী      নম্বর ঃ ২৯৭৮
রপ্তানির জন্য প্রয়োজন
 টেকসই চামড়া আহরণ
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগষ্ট) ঃ
দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানির পশু থেকে। কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন, যাতে চামড়ার কোন ক্ষতি না হয়। কোরবানির সময় অসর্তকতা বা না-জানার কারণে বছরে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়। টেকসইভাবে পশুর চামড়া আহরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ লেদার সার্ভিস সেন্টার নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোরবানির চামড়া সংগ্রহের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও চিত্রসহ প্রয়োজনীয় প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। পশুর চামড়া অক্ষত এবং মান অক্ষুন্ন তথা টেকসই চামড়া আহরণে ১১টি বিষয় বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। বিবেচ্য বিষয়গুলো হলোঃ
১। কোরবানির আগে পশুকে গোসল করিয়ে গা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
২। কোরবানির আগে পশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।
৩। পশুকে পরিষ্কার ও সমতল জায়গায় জবাই করতে হবে। যাতে চামড়ার কোনো ক্ষতি না হয় এবং চামড়ায় ময়লা না লাগে ।
৪। জবাই করার স্থানে পশুর রক্ত গড়িয়ে পরার জন্য একটি গর্ত করতে হবে। পরে তা ভালোভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৫। পশুকে শোয়ার জন্য পশুর পা বেধে খুব সাবধানে শোয়াতে হবে, যাতে চামড়ার ক্ষতি না হয়।
৬। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর নিস্তেজ হলে চামড়া ছাড়ানো শুরু করতে হবে।
৭। চোখা মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর বুকের উপর দিয়ে লেজের গোড়া পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে এবং এক পা থেকে অন্য পা পর্যন্ত চামড়া ফেরে ফেলতে হবে।
৮। বাঁকানো মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়াতে হবে। চোখা মাথার ছুরি দিয়ে চামড়া ছাড়ানো যাবে না। এতে চামড়া ফুটো হয়ে যেতে পারে।
৯। চামড়া ছাড়াতে তাড়াহুড়া না করে স্বাভাবিক গতিতে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়াতে হবে।
১০। চামড়া টানা হেচড়া না করে বালতি বা পাত্রে করে নিতে হবে এবং রোদ-বৃষ্টি পড়ে না, এমন শুকনো খোলা জায়গায় রাখতে হবে। টানা-হেচড়া করলে, রোদে পুড়লে, বৃষ্টিতে ভিজলে চামড়ার ক্ষতি হবে। চামড়ায় রক্ত লাগলে সাথে সাথে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
১১। চামড়া বিক্রয় করতে দেরি হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লবণ দিয়ে রাখতে হবে।
 
চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বাজার দর বিবেচনায় রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির চামড়ার মূল্য নিধারণ করে দিয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবারও গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য হবে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা। খাসির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির কাঁচা চামড়ার মূল্য হবে সারা দেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা। 
#
বকসী/কানাই/২০১৯/১৫০০ ঘন্টা।
Todays handout (5).docx