তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৮০
বাংলাদেশ কারো দয়া নয় ন্যায্য হিস্যা চায়
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
রাজশাহী, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পদ্মার উজানে ভারতের দেওয়া ফারাক্কা বাধ বাংলাদেশে কারবালা তৈরি করেছে। পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে এ দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকার তৎপর রয়েছে। ফারাক্কা পানি চুক্তি শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশ নতুন করে পানির হিস্যা চাইবে। বাংলাদেশ কারো দয়া নয়, ন্যায্য হিস্যা চায়। সে ন্যায্য অধিকার ভারতকে দিতে হবে।
উপদেষ্টা আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফারাক্কা বাধের কারণে চার কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারত এত বছর ধরে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এ মরণ বাধের কারণে আমাদের কী ক্ষতি হচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। ফারাক্কা বাধের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়াই নদীর মাধ্যমে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে, এমনকি মাছ বিলুপ্তও হয়ে যাচ্ছে। এ সকল অঞ্চলে মাছের আহরণ কমে যাচ্ছে এবং মাছের সাথে জড়িত জেলেরাও পেশা হারাচ্ছে। পানির অভাবে কৃষিও সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
মাওলানা ভাসানীর কথার প্রতিধ্বনি করে উপদেষ্টা বলেন, ‘গঙ্গার পানিতে আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটা আমাদের প্রাকৃতিক অধিকার। এ অধিকার পশু-পাখি, গাছপালা, কীট-পতঙ্গ, প্রাণী, মানুষ সব কিছুর জন্মগত অধিকার। এ অধিকার হরণ করার ক্ষমতা কারো নেই। যে হরণ করেছে সে প্রাণীর বিরুদ্ধে জুলুম করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তা কোনো দিন মেনে নেবে না। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের বাঁচার পথ খুলে দেবেন।’ এ সময় প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯ বছর উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নাকিব, প্রেস ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহর আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, লেখক ও গবেষক বেনজিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৭৯
বায়োলজিতে ক্যারিয়ার ডেভলাপের অনেক রকম সুযোগ রয়েছে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বায়োলজির দু’টি শাখা রয়েছে। যথা- বোটানি ও জিওলজি। বায়োলজি বিষয়টা অনেক বিস্তৃত। বায়োকেমিস্ট্রি থেকে শুরু করে তারপর আরো অন্যান্য বিষয় রয়েছে। ডাক্তারি এটাও কিন্তু বায়োলজি সাইন্স। সাইকোলজি এটারও বেসিসে রয়েছে বায়োলজি সাইন্স। বায়োলজির আরেকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে- বায়োলজি পড়লে জীবন সম্বন্ধে একরকম দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে। বায়োলজি পড়া মানে নিজের সম্পর্কে জানা। তিনি বলেন, ফিজিক্সে আমরা মেকানিক্যাল জিনিস পাই। বায়োলজি মেকানিক্যাল বিষয় নয়, বায়োলজি অর্গানিক প্রসঙ্গ।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় বুয়েট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াড আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াড ঢাকা সাউথ রিজিওন ২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, আমাদের বিভিন্ন ক্রিয়াকর্মের ফলে প্রকৃতিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে এবং এ পরিবর্তনগুলো আমাদের জীবনে অনেক বিপর্যয় নিয়ে আসছে। ফলে এখন আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে বুঝে সহযোগিতা করে বেঁচে থাকা। আমাদের সকলের জীবনের বা রাষ্ট্রীয় নীতির পলিসি এরকম হওয়া উচিত। বায়োলজিতে ক্যারিয়ার ডেভেলপের অনেক রকম সুযোগ রয়েছে। বায়োলজি আমাদের জীবনে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ার ক্ষেত্রেও আমাদের সহায়তা করে।
বাংলাদেশ বায়োলোজি অলিম্পিয়াড, ঢাকা সাউথ রিজিওনের প্রেসিডেন্ট ড. তাহমিনা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক রাখা হরি সরকার, বাংলাদেশ বায়োলোজি অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারিক আরাফাত প্রমুখ।
প্রায় ১৩শ’ জন শিক্ষার্থী এই উৎসবে অংশ নেয়।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২১৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৭৮
পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিকে একাধিক ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে হবে
-- পার্বত্য উপদেষ্টা
রাঙ্গামাটি, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে বিজ্ঞানকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিশাল ভূমি রয়েছে। এই ভূমিগুলো একাধিক ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কিভাবে আরো বেশি ফলন ফলানো যায় সে জন্য রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
আজ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বায়োসায়েন্স সম্মেলন ও কার্নিভাল ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, গবেষক এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
মূল প্রবন্ধে বায়োসায়েন্স ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক পণ্যে ওষুধ আবিষ্কারের সম্ভাবনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে দেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা আলোকপাত করেন।
#
রেজুয়ান/মাহমুদুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/১৯৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৭
রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ব্যতীত রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় হাট স্থাপন না করার অনুরোধ রেল কর্তৃপক্ষের
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ব্যতীত রেললাইন সংলগ্ন স্থান বা রেলওয়ের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হতে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হতে পারে এমন জেলায় জেলা প্রশাসকদের এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি আধা সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অনেক সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অস্থায়ীভাবে পশুর হাট বসানো হয়। এতে সাধারণ জনগণ এবং রেল চলাচলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে এবং রেললাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণে ঈদযাত্রার রেলের শিডিউল বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার সরকারি সম্পদের রক্ষা এবং সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। সে প্রেক্ষিতে, রেললাইন সংলগ্ন বা রেলওয়ের মালিকানাধীন জায়গায় অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হতে বিরত থাকার বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। তবে, যদি স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় পশুর হাট স্থাপন অত্যাবশ্যক হয়, তাহলে নিম্নোক্ত শর্তগুলো অবশ্যই মান্য করতে হবে:
(ক) রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ব্যতীত রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় হাট স্থাপন করা যাবে না;
(খ) হাট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ইজারাদারকে অবশ্যই রেললাইনের দিক ঘেঁষে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বজায় রেখে বাঁশ বা উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে শক্ত বেষ্টনী (ফেন্সিং) নির্মাণ করতে হবে;
(গ) বেষ্টনী এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং হাটে আগত সাধারণ মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং
(ঘ) জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিষয়টি জরুরি বিবেচনায় নিয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গৃহীত পদক্ষেপসমূহ রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো যেতে পারে এমন জেলাগুলো হলো মৌলভীবাজার, বগুড়া, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
#
রেজাউল/মাহমুদুল/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৭৬
কোরবানি ঈদে প্রত্যেক হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
রাজশাহী, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে পশুর হাটগুলোতে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন, তাঁরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন।
উপদেষ্টা আজ রাজশাহী সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবাদি পশুর পাশাপাশি মানুষেরও কিছু চিকিৎসা সেবা থাকা দরকার। গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত মানুষরা যেন নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে তারও ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, কোরবানি ঈদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাইরের পণ্য ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে, তা বন্ধ করা দরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজিবি ও নৌপুলিশকে এ বিষয়ে কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, কৃষিতে যে হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয় একই হারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে নেওয়া হয় না। এতে ছোট ছোট খামারিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন বলে তিনি জানান। এসময় যেসব নারী গবাদি পশু পালন করে তাদের জন্যও প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)'র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আতোয়ার রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৫/১৭৩৩ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৫
World Telecommunication and Information Society Day উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘World Telecommunication and Information Society Day’ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৭ মে ‘World Telecommunication and Information Society Day’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘Gender Equality in Digital Transformation’ তথা ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’, তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সকল কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র ‘নাগরিক সেবা’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য (She-STEM) ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে যা প্রত্যন্ত ও দূর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আমি জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।
আমি দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।”
#
আশরোফা/ফাতেমা/আলী/মানসুরা/২০২৫/১০৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ