Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১২ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৮২৩

প্রান্তিক মানুষের মাঝে অপতথ্যের বিস্তার রোধে বেতারের বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে

                                                                                   --তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

খুলনা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, প্রান্তিক মানুষের মাঝে অপতথ্যের বিস্তার রোধে বেতারের বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আজ বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেতারের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বেতারকে জনমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সচিব বলেন, জনমানুষের কাছে বেতারের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। শুধু সরকারের দেওয়া অর্থের ওপর নির্ভর না করে শ্রোতানন্দিত অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরখাত থেকে আয় বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। এ কথা মনে ধারণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, প্রধান প্রকৌশলী মুনীর আহমদ, আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুন্সী জালাল উদ্দিন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন খুলনার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সফরকালে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব খুলনায় আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের জায়গা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের খুলনা উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

                                                           #

মামুন/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/কানাই/২০২৫/২১১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ৩৮২২

জুলাই-বিপ্লবের পরে এখন আত্মশুদ্ধির সময় এসেছে

                             --তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

খুলনা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এদেশের ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা আমাদের সন্তানদের রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। জুলাই-বিপ্লবের পরে এখন আমাদের আত্মশুদ্ধির সময় এসেছে। সেকথা মনে ধারণ করে সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আজ বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেতারের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, আমাদের এখন আরো সৎ হওয়া প্রয়োজন। সরকারের যে প্রতিষ্ঠানে আমরা কাজ করি সেটাকে যেন আমরা নিজের মনে করি। প্রতিষ্ঠানকে আপন ভাবতে পারলে আমরা অবশ্যই সৎ হবো এবং সৎভাবে দায়িত্বপালন করবো। কাজ করার স্পৃহাও সততার অংশ। কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল-সেটা এখন আমরা অকুতোভয়ে বলতে পারছি। আমাদের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা থাকতে হবে। প্রান্তিক মানুষের মাঝে অপতথ্য বা মিথ্যাতথ্যের বিস্তার বন্ধে বেতারের বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মুনীর আহমদ, আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মুন্সি জালাল উদ্দিন, বেতারের পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নূরুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক (দৈনন্দিন দায়িত্ব) মোঃ শামিম হোসেন, আঞ্চলিক বেতার প্রকৌশলী মোঃ মোতাকাব্বির করীম খান, বাংলাদেশ বেতারের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর-সহ খুলনা বেতারের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা খুলনা সার্কিট হাউজে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন খুলনার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে তথ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানের মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এক সময় সরকারি গণমাধ্যম বিটিভি ও বেতারে কালজয়ী অনেক নাটক-সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হতো। দর্শক-শ্রোতাদের কাছে বিটিভি ও বেতারের সেই আবেদন ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ বেতারকে জনমুখী করতে হবে, জনমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। একই সাথে কেবল সরকারের দেওয়া অর্থের ওপর নির্ভর না করে শ্রোতানন্দিত অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরখাত থেকে নিজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রের বোঝা না বানিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এখন সময়ের দাবি। আবার এসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য আইসিটিসহ প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা আবশ্যক।

এসময় বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মুন্সি জালাল উদ্দিন, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা সফরকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব খুলনায় আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের জায়গা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের খুলনা উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

                                                #

আতিক/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/কানাই/২০২৫/২০১০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 3821

Illegal Polythene Factory Sealed in Kapasia

Dhaka, 12 June:

An illegal factory producing banned polythene in Kapasia, Gazipur, has been sealed and shut down by the district administration. The factory owner, Abdul Awal, has been sentenced to three months’ simple imprisonment under the Environment Conservation Act, 1995.

The mobile court was conducted on Thursday by Executive Magistrate and Land Acquisition Officer of the Gazipur Deputy Commissioner’s Office, Ishtiak Ahmed, who delivered the verdict.

During the operation, it was found that the factory was producing banned polythene using plastic pellets. The polythene, raw materials, and production machinery were seized from the site.

Executive Magistrate Ishtiak Ahmed stated, “The production of banned polythene at this factory was causing severe damage to the environment and public health. Hence, the factory was sealed and the owner sentenced in accordance with the law.”

Additional Deputy Commissioner of Gazipur, Salma Akter, informed that such drives by the district administration to protect the environment will continue in the future.

                                                               #

Dipankar/Vivekananda/Subarna/Kanai/2025/2000 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮২০

কাপাসিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারী একটি অবৈধ কারখানা সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে কারখানার মালিক আব্দুল আউয়াল-কে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আজ গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দেন।

অভিযানকালে দেখা যায়, কারখানায় প্লাস্টিকের দানা তৈরি করে তা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছিল। স্থানটি থেকে পলিথিন, প্লাস্টিকের দানা ও উৎপাদনযন্ত্র জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “এই কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করা হচ্ছিল। তাই আইন অনুযায়ী কারাদণ্ড এবং কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।”

গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার জানান, পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

                                                       #

দীপংকর/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/২০০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮১৯

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নতুন সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ

জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ নতুন করে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর নতুন সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। জাপানের কাছ থেকে এ দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামি এক বছরের জন্য।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সকল দেশের সমর্থন কামনা করে বলেন, আমরা একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শুরুতে আইএলও এবং এএসপিএজি সমন্বয়কারী জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক শ্রমবাজারের ৬০ শতাংশ এবং জিডিপির ৪০ শতাংশ অবদান রাখে। অথচ এই অঞ্চল অনানুষ্ঠানিক খাত, সামাজিক সুরক্ষার ঘাটতি এবং জলবায়ু সংকটসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

সভায় এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলো টেকসই উন্নয়ন, শ্রমিক অধিকার, অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

 বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজিকরণ এবং শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, যুবদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের অগ্রাধিকার।

এ সময় আইএলও মহাপরিচালক Gilbert F. Houngbo, এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত ১৪ টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গাজী জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

                                                            #

মালেক/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/কানাই/২০২৫/২০৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৮১৮

ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হলো রেকর্ড দামে

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন): 

          এবছর ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী তাকওয়া মসজিদে সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় টেন্ডারে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। গরুর চামড়া প্রতিটি তেরোশ বাহাত্তর টাকা। তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির আয়োজনে এই টেন্ডারে মোট আটশ তিপ্পান্ন টি চামড়া বিক্রি হয়। এ টাকা মসজিদের যাকাত ফান্ডে জমা হবে, যা এতিম ও দুঃস্থ মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানা গেছে।

          গতকাল বিকালে তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত টেন্ডারে অংশ নেয় স্থানীয় পাঁচটি চামড়া ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। সর্বোচ্চ দামে চামড়া ক্রয় করে ইমেক্স লেদার লিমিটেড। তাদের দেওয়া দাম তেরোশ বাহাত্তর টাকা।

উল্লেখ্য, এবছর সরকার ঢাকায় প্রতিটি চামড়ার দাম নির্ধারণ করে তেরোশ পঞ্চাশ টাকা। টেন্ডারে বিক্রি করে পাওয়া দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাইশ টাকা বেশি।

          তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাসান সরিফ সিদ্দিকী বলেন, চামড়ার দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই অর্থ মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। মসজিদের আয় বৃদ্ধি পেলে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের গতি আরো বেশি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যেভাবে তাকওয়া মসজিদ সোসাইটি কোরবানির চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করেছে তা অন্য মাদ্রাসা ও মসজিদ আগামীতে অনুসরণ করতে পারে।

          স্থানীয় চামড়া শিল্পের সাথে জড়িতরা তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির এই টেন্ডারকে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের এই টেন্ডার শুধু অর্থনৈতিক সাফল্যই নয়, বরং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বৃদ্ধির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও বটে।

                                               #

কামাল/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/সুব্রত/লাভলী/কানাই/২০২৫/১৭৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৮১৭

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন): 

          ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া লবণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পূর্ব থেকে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী লবণের মজুত নিশ্চিতকরণ, সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতির বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, দৈনিক পত্রিকা, টিভি চ্যানেলে প্রচারণাসহ অসংখ্য লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে এ কাজে উৎসাহ ও সচেতন করা হয়।

          লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের মাধ্যমে যাতে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যায় সেজন্য সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকারের এ বিশেষ  উদ্যোগের ফলে গতবছর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে যেখানে দুই দশমিক শূন্য নয় লক্ষ চামড়া সংরক্ষণ করেছিলো, সেখানে এ বছর নয় হাজার তিনশত ত্রিশ টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে তেরো দশমিক শূন্য আট লক্ষ চামড়া সংরক্ষণ করেছে। এছাড়া সারা দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকগণ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। ২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭শত ৪৮ মে.টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২শত ২৯ মে. টন।

          এ বছর সাভার ট্যানারি নগর সিইটিপিতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মজুদ, ইঞ্জিনের ওভারহলিং ও পুকুর খননসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কোরবানিকৃত পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। লক্ষ্য করা গেছে যে, অল্প কিছু মাথা, লেজ ইত্যাদি নদীর পাড়ে ফেলেছে শিল্পনগরী ও সিইপিটির অজ্ঞাতসারে। আর যাতে কেউ এগুলো কোথাও ফেলতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টরা সতর্ক আছেন।

                                          #

আলমগীর/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/সুব্রত/লাভলী/কানাই/২০২৫/১৭৫৩ ঘণ্টা

 

 

2025-06-12-15-19-9653186e7515707df3002cb1ba255b21.docx