তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৭২
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ওয়াল্টন ও
বিএসআরএম’র ১১ কোটি ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
দেশের স্বনামধন্য দুই শিল্প প্রতিষ্ঠান ওয়াল্টন এবং বিএসআরএম বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে চেক প্রদান করেছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী কোম্পানির বাৎসরিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি ৬ কোটি ১২ লক্ষ ১০ হাজার ৩৭৮ টাকা এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করে।
আজ ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন চেক দু’টি গ্রহণ করেন। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অর্থ মৃত শ্রমিকদের অনুদান, ছাত্র বৃত্তি এবং শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসায় খরচ করা হয়।
#
মালেক/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৭১
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ৭ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫০৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
#
রিজওয়ানুর/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৭০
দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারস্পরিক অবস্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে
--- অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্রে মতভিন্নতার কারণেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে দলগুলো নিজেদের অবস্থানের পাশাপাশি অন্যদের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে পারছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সকল রাজনৈতিক দলগুলো মতামতও দিচ্ছেন আবার মতবিনিময়ও করছেন, যা কমিশনকে অগ্রসর হতে সাহায্য করছে।
আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দু’টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো অনুভব করে। দুয়েকটি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে নীতিগত মত পার্থক্য থাকলেও একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিষয়ে সকলে মত দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দু’টি প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুনর্বার আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। আগামীকাল সকাল ১১টায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসবে কমিশন। এতে আজকের অসমাপ্ত আলোচনা-সহ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধানের মূলনীতি, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
পবন/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৯
এ বছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ১৯ জুন পালিত হবে
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), এডুকো, ওয়ার্ল্ডভিশন ও সেভ দ্য চিলড্রেন-সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ জুন ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। এ বছর ১২ জুন সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশে দিবসটি ১৯ জুন তারিখে উদ্যাপন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি-এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।’
‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন।
ব্রিফিং এ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ-সহ সকল ধরণের শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতোমধ্যে সরকার আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ অনুসমর্থন এবং শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন-সহ বিভিন্ন নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মালেক/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৯০৫ঘণ্টা
Handout Number: 3866
Disinformation is a Psychological Weapon—We Must Defend with Truth and Trust
- Syeda Rizwana Hasan
Dhaka, 18 June 2025:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, today underscored the urgent need to counter disinformation with facts, trust, and inclusive communication. ‘National security cannot be ensured by weapons alone—we must also safeguard minds. Misinformation is a psychological weapon, and our defense must include verified facts, trust-building, and proactive outreach,’ she asserted.
She made these remarks while addressing a high-level seminar titled ‘Advancing National Security and Development: Use of Information as a Powerful Strategic Tool,’ jointly organized by the National Defence College (NDC) and the Bangladesh Institute of Peace and Security Studies (BIPSS).
The Environment Advisor highlighted that accurate, timely, and accessible information is fundamental to national security and sustainable development. She warned that, much like in the historic Battle of Plassey in 1757—where manipulation of facts and betrayal led to the loss of sovereignty—disinformation today can undermine national unity and progress. ‘The lessons of Plassey are not historical footnotes; they are strategic warnings,’ she noted.
Rizwana Hasan also pointed to the climate crisis as one of Bangladesh’s most severe and complex security challenges. With large swathes of the country vulnerable to sea-level rise and extreme weather events, she called for urgent investment in real-time data infrastructure and localized early warning systems. She also emphasized integrating traditional ecological knowledge with modern science. ‘In some recent cases, villagers using inherited wisdom predicted flash floods more accurately than sophisticated models,’ she said.
Calling for a culture of transparency, she warned against withholding vital information and penalizing whistleblowers. ‘We cannot create a resilient society by silencing the truth or punishing those who reveal it. Empowering citizens with facts and the freedom to speak is essential to national resilience,’ she stated.
In conclusion, Advisor Rizwana Hasan thanked NDC and BIPSS for convening the timely dialogue and urged all actors—government agencies, the military, media, civil society and the international community—to treat information as both a strategic resource and a shared responsibility. ‘Only through truth, unity, and informed action can we build a secure, inclusive, and forward-looking Bangladesh,’ she affirmed.
Lieutenant General Mohammad Shaheenul Haque, the Commandant of the National Defence College, also spoke in the occasion.
#
Dipankar/Mahmudul/Rafiqul/Kanok/Shamim/2025/1835/hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৮
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কারের জন্য ৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫’ এর জন্য চারটি ক্যাটেগরিতে চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে ১৮ জুন জারিকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক চূড়ান্তভাবে মনোনীতরা হলেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ (ব্যক্তি পর্যায়): নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগরের মোঃ ফজলে রাব্বী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ (প্রতিষ্ঠান/সংগঠন পর্যায়): শেরপুর সদরস্থ শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা (ব্যক্তি পর্যায়): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন। বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা (প্রতিষ্ঠান পর্যায়): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ (পক্ষে: বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মোসাঃ শেফালী বেগম)।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রদান করা হবে ২২ ক্যারেট মানের ২ ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার অ্যাকাউন্ট-পেয়ি চেক এবং একটি সম্মাননা সনদ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মনে করে, এই সম্মাননা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা ও পরিবেশ শিক্ষায় জনগণের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াবে। পাশাপাশি, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে অনুপ্রেরণা জোগাবে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এ কাজে উৎসাহিত করবে।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৭
আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২৫’। আগামীকাল ১৯ জুন মেলার উদ্বোধন করবেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। মেলা চলবে আগামী ২১ জুন শনিবার পর্যন্ত।
জাতীয় ফল মেলায় এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন।
সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি মিলিয়ে মোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করবে। রাজধানী-সহ সারদেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষ্যে কেআইবি (কৃষিবিদি ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ) মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশি ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।
#
জাকির/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৫
বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র - এটি মোকাবিলায় চাই তথ্যভিত্তিক সচেতনতা
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র - এটি মোকাবিলায় চাই তথ্যভিত্তিক সচেতনতা। জাতীয় নিরাপত্তা এখন কেবল অস্ত্রের ওপর নির্ভর করে না, এটি জনমতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এনডিসি এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিপিএসএস) যৌথ আয়োজনে আজ মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) অনুষ্ঠিত ‘Advancing National Security and Development: Use of Information as a Powerful Strategic Tool’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ আমাদের ইতিহাসে এক ট্র্যাজেডি। ৫০ হাজার সৈন্য নিয়ে পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল ভুল তথ্য ও ষড়যন্ত্র। আজকের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব ঠিক তেমনি জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলছে।
তিনি বলেন, তথ্যের স্বপ্রণোদিত প্রকাশ নিশ্চিত না হলে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, ফলে গুজবই সমাজে চালিকাশক্তি হয়ে উঠে। রাষ্ট্রের প্রকল্পের খরচ জনগণের টাকায় চলে তাই জনগণের সেই প্রকল্প সম্পর্কে জানার অধিকার আছে।
উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্যাটেলাইটভিত্তিক তথ্য ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এখন প্রয়োজন সেই তথ্য বিশ্লেষণের সক্ষমতা গড়ে তোলা এবং তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া। তবে তথ্য শুধু প্রযুক্তি দিয়ে নয়, লোকজ জ্ঞান দিয়েও গঠিত। অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলের চেয়েও বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তথ্য যদি গোপন রাখা হয়, সত্য যদি দমন করা হয়, তাহলে আমরা টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপত্তা—দুটোই হারাবো। এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা যেন একটি তথ্যভিত্তিক, সুরক্ষিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে পারি।’
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, অংশগ্রহণকারী এবং উন্নয়ন পেশাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/রমজান/মাসুম/২০২৫/১৬২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৪
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়েসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম কান্ট্রি। আমাদের একটি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মোট চারটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে। দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মেরিটাইম সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৫৪টি প্রধান নদীবন্দর রয়েছে। দেশে ১০ হাজার কিলোমিটারের অধিক বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ নৌপথ রয়েছে। দেশের দক্ষিণে বিশাল বঙ্গোপসাগরের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে মেরিটাইম সেক্টরকে আরো এগিয়ে নিতে এবং এই সেক্টরের বৈশ্বিক পর্যায়ে অবদান রাখতে বাংলাদেশ আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা করেছে। এ সময় উপদেষ্টা বাংলাদেশের সামুদ্রিক ঐতিহ্য, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশগ্রহণ রয়েছে। মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা রয়েছে। তিনি টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি দেশের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন এবং আইএমও’র কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাহাজ পুনঃব্যবহার খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং ২১ হাজার প্রশিক্ষিত নাবিক দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নাবিক কল্যাণ ও জেন্ডার অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখছে। উপদেষ্টা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জাহাজ শিল্পে নরওয়ে সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। জাহাজ নির্মাণ ও পুনঃব্যবহার খাতে নরওয়ে বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এসময় তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্র দূষণ রোধে বাংলাদেশের সতর্ক অবস্থানের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত আসন্ন আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে নরওয়ে সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারকেও উক্ত নির্বাচনে নরওয়েকে সমর্থন জানানোর অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ আইএমও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে কাউন্সিলর হিসেবে ২০২৪-২০২৫ মেয়াদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
#
আরিফ/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/রমজান/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১৩৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৬৩
সাংবাদিকদের কল্যাণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগ
১০ মাসে এক হাজার ৪৪১টি অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে
ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিকদের বৃহৎ পরিসরে কল্যাণ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আওতায় গত ১০ মাসে ১ হাজার ৪৪১টি অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
কল্যাণ অনুদান প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশের ৩৫০ জন সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসেবে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এরপর এ বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩০৫ জন সাংবাদিক-সন্তানকে এককালীন বৃত্তিবাবদ দেওয়া হয় ৫৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিপ্লোমা পর্যায়ের ৭০ জন শিক্ষার্থীকে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, স্নাতক (সম্মান) ও ফাজিল পর্যায়ের ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং প্রকৌশল ও মেডিকেল পর্যায়ের ১১ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। একই দিনে ১২৭ জন সাংবাদিক ও মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবারকে অনুদান হিসেবে ৮৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ৫ জন সাংবাদিক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা এবং গণ-অভ্যুত্থানে আহত ২৬ জন সাংবাদিককে ১ লাখ টাকা করে মোট ২৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এ বছরের ২২ মার্চ ৩৭৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার ছিল ১১টি। অনুদানপ্রাপ্তদের মধ্যে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত সাংবাদিক ছিলেন ১৯২ জন। সর্বশেষ গত ৩ জুন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ২৫৪ জন অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার কল্যাণ অনুদান বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার ছিল ১৪টি।
অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ অনুদানপ্রাপ্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই কল্যাণ অনুদান প্রদান কার্যক্রম আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কোনো অসুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্য কল্যাণ অনুদানের জন্য যেকোনো সময় নির্ধারিত ফর্মে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন বিবেচনা করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে কল্যাণ অনুদান মঞ্জুর করা হয়।
#
মামুন/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/রমজান/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/১২৩৫ ঘন্টা