Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১১ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৩৮১৬

মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):

মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কেইথ সাউন্ডারলিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান  এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে। সরকার সকল সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সুন্দর কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করছে।

গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে শ্রম খাতে সহযোগিতা জোরদার, শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

শ্রম উপদেষ্টা বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত শ্রম সংস্কার কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় তিনি শ্রম আইন শীঘ্রই সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজিকরণ এবং শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের কথা উল্লেখ করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বড় বড় কনস্ট্রাকশন কোম্পানি  যদি তাদের লভ্যাংশের অর্থ বিধি মোতাবেক কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা না দেয় তাহলে তারা কোন সরকারি ক্রয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়াও আরএমজিসেক্টর, শিপ ব্রেকিং ও নির্মাণসহ সকল শিল্প সেক্টরে নিরাপদ, টেকসই  এবং ন্যায়সংগত কর্মপরিবেশ উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার বিপুল অংশ তরুণ। এই তরুণদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে দেশের আইসিটি খাত। বর্তমানে অনলাইন জব ও ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।  

ভাইস মিনিস্টার সাউন্ডারলিং বাংলাদেশের শ্রম খাতে অগ্রগতির প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা জানান, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের শ্রম সহযোগিতা আরো গভীর হবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।”  

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (এনডিসি, পিএসসি) এবং জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

  #

মালেক/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/২১৩৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৮১৫

 

শ্রম অধিকার সুরক্ষা এবং শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে আরো

নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

                                      - শ্রম উপদেষ্টা

 

জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন): 

          আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) সদর দপ্তরে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আইএলওর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।

          সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল এ সম্মেলনের প্ল্যানারী সেশনে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

          উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা অধিকাংশই প্রত্যাহার, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা হবে। এছাড়াও, শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা জোরদারে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন C155, C187 ও C190 অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। 

 

তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ন্যায্য বাণিজ্য, অভিবাসন সুবিধা ও কারিগরি বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিল হ্রাস নিয়ে সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইএলওর কাছ থেকে শ্রম সেক্টরের উন্নয়নে আরো কারিগরি সহায়তা আশা করা হচ্ছে। 

আইএলওর গভর্নিং বডি ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাধুবাদ জানিয়েছেন। একইসাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

          এ সময় ১৮৭ টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ইম্প্লোয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এর প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/বিবেকানন্দ/সুবর্ণা/সুব্রত/লাভলী/২০২৫/১৭১০ ঘণ্টা

 

2025-06-11-15-52-2239b9bed0e12d10af20c9abb1147502.docx