তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১৭
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই এমন প্রশিক্ষণ আইসিটি বিভাগ দিবে না
--ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আইসিটি বিভাগ এমন কোনো প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে না যার জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।
আজ ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত হয়েছে। এই প্রকল্পকে অধিকতর কার্যকরভাবে প্রশিক্ষণার্থীদের সামনে উপস্থাপনের জন্য লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের গুণগত মান বৃদ্ধি করা হবে। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পে দেশের সকল উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষকদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে আয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইতোমধ্যে যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। প্রকল্পের প্রত্যেকটি কাজে সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি মানদণ্ড বিবেচনায় ভেন্ডর নির্ধারণ করা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের মান আধুনিক করার পাশাপাশি প্রকল্প এলাকা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের ঝরে পড়ার হার বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রকল্পের অংশীজন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগণ-সহ বিভাগের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’ প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে এবছর জুন মাসের ৩০ তারিখ।
#
জসীম/মেহেদী/রফিকুল/রেজাউল/২০২৫/২১১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ১৯ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫১৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে।
#
রিজওয়ানুর/মাহমুদুল/মোশারফ/রেজাউল/২০২৫/১৯০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১৪
২৫ জুন পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা শুরু
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে আগামী ২৫ জুন থেকে পরিবেশমেলা ও বৃক্ষমেলা শুরু হচ্ছে। সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অবদানের জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ জাতীয় পুরস্কার ২০২৫ এবং বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।
এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।
উপদেষ্টা বলেন, এ উপলক্ষ্যে জেলা-উপজেলা এবং ঢাকা মহানগরের ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, স্লোগান প্রতিযোগিতা, সেমিনার এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করা হবে। এছাড়া বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করা হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইলে এসএমএস প্রচারণা, ব্যানার স্থাপন ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার ৮৪২ হেক্টর ব্লক বাগান, ৭২ হাজার ৫৮১ কিমি স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ২০ কোটি ৬২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক বনায়নের ২ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে ৫০৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে। হাতি, শকুন, শাপলাপাতা মাছ, পরিযায়ী পাখি, হাঙর, ডলফিন, ঘড়িয়াল সংরক্ষণ কার্যক্রম চালু আছে। হালনাগাদ করা হয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, বাতিল করা হয়েছে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক প্রকল্প এবং পূর্বাচল এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে জীববৈচিত্র্য অঞ্চল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
#
দীপংকর/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১৩
পশুখাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্যখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পশুখাদ্য ও মৎস্যখাদ্য প্রায় একাকার হয়ে যাচ্ছে। পশু খাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্যখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; তা আলাদা করে জাতীয় মৎস্য নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মৎস্য নীতিমালা-২০২৫ (খসড়া) বিষয়ক অংশীজন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ নয়, বরং পরিবেশবান্ধব উপায়ে কীভাবে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ করে চিংড়ি চাষ করা যায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শুধু অবৈধ জাল ধ্বংস করলেই হবেনা, জাল উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে দেশে ক্ষতিকর বিদেশি প্রজাতির মাছ প্রবেশ করছে যা পরিবেশ ও দেশীয় মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে এমন মাছ দেখা গেলে তা মেরে ফেলার নির্দেশনা আসে। অথচ শুরুতেই যদি এসব মাছ আমদানি নিরুৎসাহিত করা হতো, তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৎস্যজীবীদের সামাজিক সুরক্ষা সুস্পষ্টভাবে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাছের ধরণ অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে তাদের জন্য উপযুক্ত সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, মৎস্যখাতকে কৃষির উপখাত মনে করা হলেও কৃষিখাতের মতো বিদ্যুৎ ছাড়, ভরতুকি বা সরকারি প্রণোদনার ক্ষেত্রে মৎস্যখাত অবহেলিত। তিনি জাতীয় মৎস্য নীতিমালায় ২০২৫ এ উক্ত বৈষম্য দূর করে মৎস্যজীবীদের অধিকার ও প্রণোদনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান ।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি Jiaoqun Shi। এছাড়া, মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং বাংলাদেশ ফিশ ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১২
কমনওয়েলথ চার্টার কর্মশালার উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ গুলশানের লেকসোর হাইটস হোটেলের সম্মেলনকক্ষে কমনওয়েলথ চার্টার কর্মশালার উদ্বোধন করেন । কমনওয়েলথ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে প্রায় ১০০ জন যুব ও যুব নারী প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, কমনওয়েলথ সনদ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং অন্যান্য মূল্যবোধের প্রতি সম্মিলিত বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। এটি ৫৬টি দেশের ২.৫ বিলিয়নের বেশি মানুষের জন্য নৈতিক দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। ২০১৩ সালে গৃহীত হওয়ার পর থেকে সনদটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সনদে অন্তর্নিহিত মূল্যবোধ- যেমন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন এবং আইনের শাসন সম্পর্কে শেখার মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজ চলমান জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। উপদেষ্টা সকলকে আলোচনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত হতে, ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে রূপ দিতে পারে এমন ব্যবহারিক সুপারিশগুলো প্রস্তাব করতে উৎসাহ প্রদান করেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা নির্মমভাবে দমন করা হয়েছিল, ভোটাধিকার ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করা হয়েছিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব করা হয়েছিল। এছাড়া, বড় আকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচার দেশের সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এগারোটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। নাগরিক, বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২১টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরিধি এবং সময়সীমা নির্ধারণের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। একই সাথে কমিশন জুলাই সনদের চূড়ান্তকরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। যা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখবে, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করবে। এই উদ্যোগগুলো জুলাইয়ের বিদ্রোহের চেতনার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করা হবে না এবং সকল মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে।
#
আলম/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৪১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১১
ওআইসিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
ইস্তাম্বুল, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলমান আইনি কার্যক্রমের অর্থায়নে সহায়তা এবং কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ওআইসিভুক্ত দেশসমূহকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গতকাল ওআইসির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার বিষয়ে ওআইসি অ্যাডহক মিনিস্টারিয়াল কমিটির বিশেষ সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। ২০২৪ সালের জন্য জাতিসংঘের প্রাক্কলিত প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ৬৮ শতাংশ পাওয়া গেছে। তহবিল সংকটের কারণে গত ৩ জুন থেকে ইউনিসেফ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে । ডব্লিউএফপি খাদ্য রেশন কমিয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে তহবিল না পাওয়া গেলে তা আরো কমবে।
এছাড়া, গাম্বিয়া কর্তৃক আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সংহতি, সমর্থন ও সহযোগিতা গাম্বিয়ার প্রয়োজন হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের আস্থা বাড়বে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার কারণে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত আরো ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং স্থানীয় জনগণের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ক্রমবর্ধমান মানবিক, উন্নয়নমূলক এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ তার সামর্থ্যের অধিক ভূমিকা পালন করেছে। এখন আমরা ওআইসি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে আছি; যেন তারা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালন করে। নির্যাতিত মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি মুসলিম উম্মাহর সংহতি একটি নৈতিক দায়িত্ব ও ঐতিহাসিক অপরিহার্যতা।
এছাড়া, সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আব্দেল্লাত্তি, আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বাইরামভ, আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আতাফ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী খালিফা বিন শাহিন আল মারার সাথে পৃথক বৈঠক করেন।
#
কামরুল/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/সাঈদা/আলী/মানসুরা/২০২৫/৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯১০
এক ঠিকানায় নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেও নাগরিক সেবা গ্রহণ করা যাবে
--ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে সেবা নিতে পারবেন না, তারা এক ঠিকানায় নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। সরকারি সেবা সহজ ও ঝামেলামুক্তভাবে নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা এবং সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকায় আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে গতকাল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।
এসময় সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আগে সরকারি সেবাগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন, আংশিক ডিজিটাল এবং আংশিক কাগজে কাজগুলো করা হতো। নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং একবার লগইন করেই নাগরিকরা বহুমুখী সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হবে।
বর্তমানে নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৮১টি সরকারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে গুলশান ও উত্তরার দু’টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলমান আছে এবং শীঘ্রই নীলক্ষেতে আরেকটি কেন্দ্র চালু হবে। পরীক্ষামূলক পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে।
প্রধান অতিথি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
জসীম/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/শফিক/২০২৫/০৯৪২ ঘণ্টা