তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৭৫
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে সরকার
-- আইন উপদেষ্টা
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের সমস্ত সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই দেশের শাসকরা যেন অত্যাচারী হয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করে দিতে না পারে, মানুষ যেন মামলার জটে পড়ে সর্বশান্ত না হয়, উচ্চ নাগরিক সুবিধা ভোগ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, মানুষ যেন ‘ডিফাইন লিগ্যাল সিস্টেমে’ থাকতে পারে - এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, বিভিন্ন কমিশনের মাধ্যমে যেসব সংস্কার প্রস্তাব পাওয়া গেছে, সেগুলো থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য শতাধিক প্রস্তাব চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করা হয়েছে। আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে সিপিসি (দেওয়ানি কার্যবিধি), সাইবার সুরক্ষা আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পাওয়ার অভ্ অ্যাটর্নি আইন-সহ বিভিন্ন আইন সংশোধন করেছে। শিগগিরই জুডিসিয়াল সার্ভিসের নিয়োগ বিধিমালা ও জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন সংশোধন করা হবে। গুম প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন বিষয়ক দু’টি মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও অনেক আইন সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। যেসব সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন (প্রধানত সংবিধান সংশোধন বিষয়ক) সেই সব ক্ষেত্রে জুলাই চার্টারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। জুলাই মাসে এই চার্টার তৈরি হয়ে গেলে তার ভিত্তিতে বড় ধরনের সংস্কারগুলো করা সম্ভব হবে। তবে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করবে না।
সভায় খসড়া অধ্যাদেশটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
#
রেজাউল/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৭৪
বাংলাদেশি হাজিদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করবে ১৮টি টিম
মক্কা (সৌদি আরব), ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। ৮ জিলহাজ হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। বাংলাদেশি হাজিদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করবে ১৮টি টিম। আজ সৌদি আরবের মক্কা আল মোকাররমায় বাংলাদেশ হজ অফিস হতে এসকল টিম গঠন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
গতকাল হজ মনিটরিং কমিটির সভায় হজযাত্রীদের হজ পালন সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ করে বিভিন্ন টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকেই কাউন্সিলর (হজ) এই আদেশ জারি করেন।
সরকারি মাধ্যমে আগত হজযাত্রীদেরকে মিনায় পৌঁছানো ও হজ শেষে মিনা থেকে তাদের হোটেলে ফেরত আনার জন্য চারটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই চারটি টিমে দায়িত্ব পালন করবে ১০ জন কর্মকর্তা। হজযাত্রীদের পথনির্দেশ ও প্রয়োজনীয় সহায়তায় মিনার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োজিত থাকবে ছয়টি টিম। এই ছয়টি স্থানে তিন শিফ্টে প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তাকারী টিমের ৮৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের তাবু পরিদর্শনে গঠন করা হয়েছে আটটি দল। ২৩ সদস্যবিশিষ্ট এই দলসমূহ স্বতন্ত্রভাবে মিনার ৫ নম্বর জোনে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কোম্পানির তাবুসমূহ পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, এ বছর বেসরকারি হজ এজেন্সিসমূহ তাদের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সেবায় আটটি সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন করেছে। কোম্পানিসমূহ হলো রাউয়াফ মিনা, ইসওর আল মাশায়ের, এম বাই মিলেনিয়াম, রেহলাত মানাফে, একরাম আদ দইউফ, মাশারিক আল মুতামাইজাহ, ফ্লাইনাস ও আল রিফাদাহ।
#
আবুবকর/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২১৩০ ঘণ্টা
Handout Number: 3773
Mobile Court Conducted in Cattle Markets to
Ensure Proper Waste Management of Sacrificial Animals
Dhaka, 3 June:
Today, integrated inspection drives were carried out in various sacrificial cattle markets across Dhaka to monitor waste management, environmental protection, and law and order. The initiative was jointly implemented by Dhaka City Corporation, BRTA, the Department of Environment, and the local administration.
A mobile court was conducted at the Sarulia cattle market under the leadership of an Executive Magistrate. To facilitate proper waste disposal, Dhaka City Corporation has established two designated dumping stations on either side of the market. During the inspection, waste management staff and volunteers were instructed to carry out their duties responsibly. Awareness leaflets were distributed among sellers and buyers, and public announcements were made via loudspeakers.
Another inspection was led by an Executive Magistrate at the cattle market adjacent to the Institute of Leather Technology College. Market committee members and sellers were advised to dispose of waste in designated areas and remain cautious about controlling noise and air pollution.
Additionally, joint monitoring of waste management and law and order was conducted at Gabtoli and Bosila cattle markets by BRTA and the Department of Environment. To ensure environmentally friendly market operations, leaflets were distributed and necessary guidelines were issued to relevant stakeholders.
Ahead of Eid-ul-Adha, a call has been made to strengthen collective efforts of the administration, sellers, and buyers to ensure environmental safety and public health. Everyone is urged to dispose of waste at designated locations, avoid noise and air pollution, and comply with instructions from local authorities.
Mobile courts have been conducted in cattle markets across the country to ensure proper waste management of sacrificial animals, and this initiative will continue.
#
Dipankar/Mahmudul/Rafiqul/Salim/2025/19.45 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৭২
কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গরুর হাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
ঢাকার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সুরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণে আজ সমন্বিত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়।
একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাজধানীর সারুলিয়া গরুর হাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। হাটের উভয় পাশে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক দুইটি ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজতর করা হয়েছে। এ সময় বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় হাটে আগত বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে বার্তা প্রচার করা হয়। একই দিনে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা মহানগর টিম ইনস্টিটিউট অভ্ লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করে। হাট কমিটি ও বিক্রেতাদের বর্জ্য সঠিক স্থানে ফেলাসহ শব্দ ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকতে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিআরটিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গাবতলী ও বসিলা হাটে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়। পরিবেশবান্ধব হাট পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ-সহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পরিবেশ সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসন, বিক্রেতা ও ক্রেতাসহ সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রয়াস জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সবাইকে বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে, শব্দ ও বায়ুদূষণ এড়াতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন গরুর হাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে যা অব্যাহত থাকবে।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৭১
আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য আহ্বান
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল আইসিটি বিভাগের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন খ্যাতিমান উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। এই টাস্কফোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইসিটিখাতে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণাপূর্বক আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা।
টাস্কফোর্স ইতোমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে শ্বেতপত্র প্রণয়নে নাগরিক ও বিভিন্ন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে, কমিটি দেশবাসীর কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে একটি তথ্যভিত্তিক ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়। যদি কারো নিকট আইসিটিখাত সংশ্লিষ্ট কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য থাকে তাহলে নিচের চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে তাদের তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে পারবেন। পাশাপাশি সকল প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ধাপে আইনি ব্যত্যয় বা অনিয়মের প্রমাণ যেমন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প স্থান নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কেও তথ্য দেয়া যাবে।
ইমেইল: ictwhitepaperbd2025@gmail.com; ফেসবুক: www.facebook.com/ictwhitepaperbd2025; লিংকডইন: www.linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025 এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা আহ্বান করা হয়েছে।
টাস্কফোর্স প্রধান, রুম ৭০৭, ৭ম তলা, আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁও, ঢাকা ১২০৭ এ সরাসরি বা ডাকযোগে অথবা ভবনের নিচ তলায় রক্ষিত পরামর্শ বাক্সে তথ্য জমা দেয়া যাবে।
কমিটি প্রাপ্ত তথ্য যথাযথ গোপনীয়তা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
#
জসীম/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৭০
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য/উপাত্ত এবং তার সম্পদের সুরক্ষা দিতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ। বর্তমান সময়ে সকল ব্যক্তিগত তথ্যই বিশ্বব্যাপী বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এবং নাগরিকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনার ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং তা আইনানুগ পদ্ধতিতে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার দেশে কিংবা দেশের বাইরে উপাত্তধারীর সম্মতি সাপেক্ষে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্যক্তি তথ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও তার গোপনীয়তা, সুরক্ষা ও আইনানুগ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো আইন প্রণীত হয়নি এবং সে কারণেই জনসাধারণের তথ্য সরকারি, বেসরকারি বা অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করে আসছে। ফলশ্রুতিতে অপ্রয়োজনীয় এবং অপরিকল্পিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের জনসাধারণ তাদের তথ্যের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশসমূহ-সহ অন্যান্য দেশের এ সংক্রান্ত আইন বা আইনের সমকক্ষ ডকুমেন্ট বিবেচনায় এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত হয়, এরকম একটি আইনের রূপকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়ছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে খসড়ায় এ সংক্রান্ত উত্তম চর্চার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি ব্যবসাবান্ধব আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী সংগঠনসমূহ, মিডিয়া এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুবিবেচিত মতামত গ্রহণের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া কপি একাধিকবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতিতে একাধিক সভা আয়োজন করে মতামত নেওয়া হয়েছে।
উপরে বর্ণিত পন্থায় প্রাপ্ত মতামত যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংযোজন বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আজ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
জসীম/মাহমুদুল/মোশারফ/কনক/জয়নুল/২০২৫/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৬৯
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই হবে জাতীয় সনদ
--- অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত প্রস্তাব নিয়েই রচিত হবে জাতীয় সনদ।
আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোঃ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সকল প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে না উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমরা কিছু জায়গায় একমত হবে। বাকিটা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবে। জনগণ কতটা গ্রহণ করবে সেটা তাদের বিষয়। তিনি বলেন, আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কী কাজ করছে তা জানতে জনগণের আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ জনগণ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা যেন ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের সভায় সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদের নিম্নকক্ষে সংসদ সদস্যের দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে বিরোধী দলের সদস্য থেকে মনোনয়ন প্রদান, নিম্নকক্ষের নারী আসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
পবন/মাহমুদুল/মোশারফ/কনক/জয়নুল/২০২৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৬৮
কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুত রয়েছে
--- প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুত রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই। সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চোরাইপথে যেন প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রের গরু ঢুকতে না পারে সেজন্য কড়া নজরদারি রাখছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে পশুর হাট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশের হাটগুলোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। গরু মোটাতাজাকরণ থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সকালে খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা প্রদান এবং মনিটরিং বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোরবানি বলতে আমরা গরু-ছাগল জবাই বুঝি। কিন্তু এর গভীরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) ত্যাগের ঘটনা রয়েছে। কোরবানির ঈদে ত্যাগের মহিমা যেন আমরা না ভুলি।’
এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ বয়জার রহমান, ড. এ. বি. এম. খালেদুজ্জামান, মোঃ শাহজামান খান-সহ ভেটেরিনারি ডাক্তারবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্ন ভেটেরিনারি ডাক্তারবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/মোশারফ/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯৫৫ ঘণ্টা
স্ক্রল নম্বর: ৭৩
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বিষয়টি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো:
মূলবার্তা :
‘সরকার ঈদের দিন-সহ পরবর্তী ১০ দিন অন্য জেলা থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছে -- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’।
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান
উপপ্রধান তথ্য অফিসার
সংবদকক্ষ, বিকালের শিফ্ট
ফোন:৯৫৪০০১৯, ৯৫১২২৪৬
প্রধান প্রতিবেদক/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সংবাদদাতা
ইলেকট্রনিক মিডিয়া/সংবাদসংস্থা।
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৬৭
২৫৪ জন অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার কল্যাণ অনুদান বিতরণ
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ২৫৪ জন অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার কল্যাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার রয়েছে ১৪টি। আজ ঢাকার তথ্য ভবনে এই অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদান বিতরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের অনুদান প্রদানের পাশাপাশি তাঁদের কল্যাণে ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মাহবুবা ফারজানা বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বক্তব্য না নিয়েই অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এর ফলে জনগণের নিকট ভুল বার্তা যাচ্ছে। গুজব ও অপতথ্যের ব্যাপকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় সাংবাদিকদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য প্রণীত আচরণবিধি মেনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি খায়রুল বাশার, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এবং সাংবাদিক শাহিন হাসনাত।
#
মামুন/মাহমুদুল/মোশারফ/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৬৬
ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
--- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
সাধারণ মানুষের ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদ যাত্রায় ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না এবং ডাকাতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো মালিকপক্ষ রং-চং করে রাস্তায় নামান। রং-টং দিয়ে ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি কোনো অবস্থায় রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, ঈদ যাত্রায় ডাকাতি ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পরিবহনে যাত্রী উঠানো প্রতিটি স্টপেজ থেকেই সকল যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে। অনেক সময় যাত্রীর ছদ্মবেশে অনেক ডাকাত বাসে উঠে পড়ে। এ সমস্যা এড়াতে দূরপাল্লার সকল পরিবহনে যাত্রীদের ছবি নেওয়া হবে। বাসের প্রথম স্টপেজ থেকে শেষ স্টপেজ পর্যন্ত যারা উঠবে সকলের ছবি নিতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি বাসে তিনজন করে স্টাফ থাকে৷ যদি কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তারা সাথে সাথেই মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ঈদের মৌসুমে অনেক সময় অনেক অদক্ষ ড্রাইভার দিয়েও বাস চালানো হয়। যার ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, আমরা বাস মালিকপক্ষকে অনুরোধ করেছি যাতে করে কোনো অদক্ষ ড্রাইভার কোনোভাবেই যেন বাস চালাতে না পারে।
গত ঈদে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রা করতে পেরেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এবারের ঈদ যাত্রাও নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, গত ঈদযাত্রায় যাওয়ার সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফেরার পথে অল্প কিছু জায়গায় এর ব্যত্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, এবার যেন আসা-যাওয়ার পথে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, সেজন্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে এবং মালিকপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি ভাড়া আদায় করবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ ঢাকা-সহ সারা দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে এবং তারা পুরোপুরি সজাগ রয়েছে৷ পুলিশের জন্য শুধু জরুরি ছুটি রাখা হয়েছে, বাকি সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম, পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মাহমুদুল/মোশারফ/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭৬৫
বিসিএস জট নিরসনের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের রোডম্যাপ প্রণয়ন
ঢাকা, ২০ জ্যৈষ্ঠ (৩ জুন):
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) চলমান বিসিএস জট নিরসন এবং কালক্ষেপণ হ্রাসের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের জন্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। এই সময়ের মধ্যে ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৮তম তিনটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। আগামী ৩০ জুন ৪৪তম, ২২ সেপ্টেম্বর ৪৮তম এবং ১০ ডিসেম্বর ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এই লক্ষ্যে কমিশন আগামী ১৯ জুন ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রদান করবে।
যাদের একই সাথে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত বা ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থাকবে তাদের উক্ত পরীক্ষার এক মাস পূর্বে বা এক মাস পরে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রার্থীর দুটি পরীক্ষা যেন ওভারল্যাপিং না হয় সেই লক্ষ্যে কমিশন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশে সরকারি চিকিৎসক সংকটের কারণে ৪৮তম বিসিএস-কে (বিশেষ) সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। ২৭ মে বিশেষ বিসিএসের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই কালক্ষেপণ না করে ২৯ মে ৪৮তম বিসিএসের (বিশেষ) বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ৪৮তম বিসিএসের (বিশেষ) MCQ টাইপ লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত বিসিএসের MCQ টাইপ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ২১ জুলাই এবং চূড়ান্ত ফলাফল ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ সেপ্টেম্বর এবং লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। নিয়মিত বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারির দুই মাস পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই মাস পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লিখিত পরীক্ষার তারিখসমূহ অনি