তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯৭
প্রাণিস্বাস্থ্য নিশ্চিত করেই মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত সম্ভব
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আজ ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে অ্যানিমেল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ আয়োজিত ‘ডিন’স অ্যাওয়ার্ড ও ওরিয়েন্টেশন-২০২৪’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। এদের সুস্থ না রাখলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। অসুস্থ প্রাণির মাংস গ্রহণে মানুষও অসুস্থ হতে পারে। তাই প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে আপোষের কোনো সুযোগ নেই।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রাণি থেকে মানুষে অনেক রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। প্রাণি ও মানুষের স্বাস্থ্যকে আলাদা করে দেখা ঠিক নয়। তাই প্রাণিস্বাস্থ্যকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। নারী শিক্ষার্থীদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে প্রশংসা করে তিনি বলেন, গ্রামীণ নারীরাই গরু-ছাগল পালনের মূল দায়িত্বে থাকেন। তারা নারী ভেটেরিনারিয়ানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন, যা প্রাণিসেবা আরো সহজ ও কার্যকর করে।
ফরিদা আখতার বলেন, ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল সায়েন্স একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণির স্বাস্থ্য এবং উৎপাদন একে অপরের পরিপূরক। তাই দুটি শাখাকে একসাথে নিয়ে আসার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবা হচ্ছে। প্রাণির রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের চলমান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষুরারোগসহ নানা সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রাণিপণ্য, বিশেষ করে গরুর মাংস রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি, ফিড ও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারি, তাহলে দেশীয় গরুর মাংসের দামও সহনীয় হবে। এতে বিদেশ থেকে মাংস আমদানি নয়, বরং মাংস রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
অ্যানিম্যাল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল লতিফ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ বেলাল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মিশ্র খাদ্য উৎপাদক সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কমান্ডার জহিরুল আলীম, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থীরা ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন পুরস্কারপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান অতিথি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
#
মামুন/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯৬
জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সীরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা
স্বাবলম্বী করতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঝে ট্রাস্ট থেকে ৩৮ কোটি টাকা বিতরণ
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের অবদান বিশাল। জনগণের সাথে তাঁদের সংযোগ সরাসরি। তাঁরা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ, তাঁদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সীরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ-যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারি। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগীরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে, তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে আমাদের সন্তানদের মাঝে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা, আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আঃ ছালাম খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সীরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এবং শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
#
শায়লা/মাহমুদুল/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯৫
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে মিশরের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমী বৈঠক করেছেন। আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তাঁরা দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মিশর বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র এবং দেশটির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী ও টেকসই করতে বাণিজ্য বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। এ সময় তিনি বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা মিশরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি, বিশেষত পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরিপোশাক, ওষুধ ও সিরামিকসের মতো খাতগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ।
এ সময় মিশরের রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম দেশ। দু’দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। মিশর বাংলাদেশে পেট্রোকেমিক্যাল, সার ও উন্নতমানের কাঁচা তুলা রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরিপোশাক রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশরের উন্নতমানের তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানসম্মত তৈরিপোশাক রপ্তানির বেশি সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯৪
দূষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত
২৫ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় ও ১ হাজার ১১০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
দেশব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত সারা দেশে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা ও স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সিসা ও ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ১১০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ২ হাজার ৬৩৭টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় ৪৮২টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮৬টি পরিবেশদূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সিসা ও ব্যাটারি গলানোর ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮টি ট্রাক পরিমাণ যন্ত্রপাতি জব্দপূর্বক কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ খুলনায় যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রার অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ১টি মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
একই দিনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে লালমনিরহাট, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোরে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৭টি মামলার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ২৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুসারে লালমাটিয়া ও খিলগাঁও এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।
এছাড়া আজ খুলনা ও রাজবাড়ীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৪৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও অবৈধভাবে পরিচালিত কয়লা উৎপাদনকারী কয়েকটি চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্নার ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, পরিবেশদূষণ বিরোধী এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯৩৫ঘণ্টা
Handout Number: 3993
Nationwide Crackdown on Pollution Continues
Over BDT 254 Million in Fines, 1,110 Mobile Courts Conducted
Dhaka, 29 June:
The Department of Environment (DoE) has been conducting extensive operations across the country to combat environmental pollution. From 2 January to 29 June 2025, a total of 1,110 mobile court drives were conducted nationwide against vehicles emitting excessive black smoke, illegal and polluting brick kilns and steel mills, noise pollution, hazardous waste discharge, poor solid waste management, illegal lead-acid battery recycling plants, wetland encroachment, tyre pyrolysis units, charcoal factories, and open storage of construction materials causing air pollution.
These drives resulted in 2,637 cases being filed and a total of BDT 254,283,900 (Two hundred fifty-four million, two hundred eighty-three thousand and nine hundred taka) in fines being imposed and realized. During the operations, 482 illegal brick kilns were completely shut down by demolishing their chimneys. Orders were issued to close 216 more kilns, while 132 kilns had their raw bricks destroyed.
Additionally, electricity and utility connections were disconnected from 86 polluting establishments, two individuals were sentenced to one month of simple imprisonment, and 6 lead-acid battery recycling units were shut down after 8 truckloads of smelting equipment were confiscated.
On 29 June 2025, a mobile court was operated in Khulna against vehicles emitting excessive black smoke. One case was filed with a fine of BDT 500, and several drivers were cautioned.
On the same day, under the Noise Pollution (Control) Rules, 2006, four mobile courts were conducted in Lalmonirhat, Rajbari, Chuadanga, and Natore. A total of 17 cases were filed, with BDT 15,000 in fines collected, and 27 hydraulic horns were seized. Drivers of several vehicles were also issued warnings.
In Lalmatia and Khilgaon areas of Dhaka, two mobile courts were operated under the Air Pollution (Control) Rules, 2022 for polluting the air with exposed construction materials. Three cases were filed, with BDT 35,000 in fines collected. Nearby establishments were warned and asked to immediately remove construction materials stored in the open.
Additionally, four mobile courts were conducted in Khulna and Rajbari against the production, sale, distribution, and marketing of banned polythene bags, in violation of Section 6(a) of the Environment Conservation Act, 1995 (amended 2010). Six cases were filed, BDT 15,500 in fines were collected, and 549 kilograms of polythene were seized. Several superstores and shop owners were also warned not to use or trade banned polythene.
Furthermore, enforcement actions were taken against illegally operating charcoal factories in Gopalganj for producing coal by burning wood without environmental clearance. The factories were shut down by breaking their burners and extinguishing the fires with the assistance of the fire service.
The Department of Environment has affirmed that such anti-pollution drives will continue across the country. Alongside awareness campaigns, strict enforcement of environmental laws will remain a priority.
#
Dipankar/Mahmudul/Rana/Ferdows/Sanjib/Joynul/2025/1930hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯২
ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে সবাই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম
--- অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত জুলাইয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের মধ্যে ছিলাম। গত জুলাইয়ে আমরা কেউ নিজ দলের পতাকা তুলে ধরিনি, বরং সবাই দেশের পতাকা তুলে ধরেছিলাম। আমরা সবাই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।
আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ৭ম দিনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোই জনগণের এক বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবের মধ্য দিয়েই ৭০ অনুচ্ছেদ, এনসিসি, উচ্চকক্ষ গঠনের প্রক্রিয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশন নমনীয় হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন অবশ্যই রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তরিক থাকতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে এ সময় তিনি বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, আবু সাঈদের শাহাদত বার্ষিকীতে সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।
দেশের স্বার্থে সংস্কার আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। তাই দেশের স্বার্থে আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন। যে অঙ্গীকার নিয়ে আমরা গত জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তার কতটা অর্জিত হয়েছে? আমরা কি শুধু নিজের ও দলের স্বার্থ চাইব, নাকি দেশের স্বার্থও দেখব?
ভবিষ্যতে জনগণের আকাক্সক্ষার বিপরীতে কেউ যাতে সংবিধান সংশোধন করতে না পারে, তা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। সাংবিধানিক রক্ষাকবচগুলো তৈরি করতে হবে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ২৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি এবং উচ্চ কক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কমিশন হতে আগামী ২ জুলাই পরবর্তী আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
পবন/মাহমুদুল/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯১
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ২২ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫২১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে।
#
রিজওয়ানুর/মাহমুদুল/ফেরদৌস/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৫/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৯০
ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। এ সাংবাদিকতা সত্যের পক্ষে দাঁড়ায়, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) সভাকক্ষে আজ ‘Strengthening Investigative Journalism for Law Reporters’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া কর্মশালার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগীয় সংস্কার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে পৃথক জুডিশিয়াল সচিবালয় গঠন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরায় কার্যকরকরণ, সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত আইন পাসের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে নিমকোর মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা শুধু সংবাদ পরিবেশনের দায়িত্ব পালন করে না, তারা সমাজ পরিবর্তনের অগ্রদূতও বটে।
এছাড়া, কর্মশালায় আইনগত স্টোরিটেলিং, সূত্রের সুরক্ষা, আইনের সহজ ব্যাখ্যা, বিচার বিভাগীয় স্বচ্ছতা ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরির বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক সেশন পরিচালনা করেন ইউএনডিপির সিনিয়র রুল অফ ল' অ্যাডভাইজার রোমানা শোয়েগার, বাংলা আউটলুকের বিশেষ প্রতিনিধি মুক্তাদির রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরি এবং এপি’র ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম।
নিমকোর মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আইন রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী এবং ইউএনডিপি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক। এ কর্মশালাটি সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি’র যৌথ অংশীদারিত্বে এবং সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।
#
মান্নান/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/শফিক/২০২৫/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৮৯
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
বিদ্যমান সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ৪ (চার) টি স্কিমে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১২ জন নাগরিক যোগদান করেছেন। ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার পাশাপাশি পেনশন স্কিম সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পেনশন স্কিমে গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে রেজিস্ট্রেশন কাজে উৎসাহিত করতে প্রতিটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ থেকে ফি প্রদানের জন্য অর্থ বিভাগ হতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া, বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পেনশন মেলা ও কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে গ্রাহকবান্ধব করতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১২টি ব্যাংক এবং নগদ ও বিকাশের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। মাসিক কিস্তি জমাদানের সুবিধার্থে আরো ১০টি ব্যাংকের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া, অধিক গ্রাহকবান্ধব করার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।
#
সালমা/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আসমা/২০২৫/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৮৮
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা শহরের সুবিধাজনক স্থানে এই একাডেমি নির্মিত হবে। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করা হবে। বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এটি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করবে।
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এবং মহাসচিব মো. মামুন অর রশিদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবকে ধন্যবাদ জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গত এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভায় বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা উল্লেখ করেন, তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ একাডেমি না থাকায় একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। গত এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে উদ্যোগ গ্রহণের কথাও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
#
মামুন/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/আলী/আসমা/২০২৫/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৯৮৭
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় শহিদ সাংবাদিক পরিবারকে সম্মাননা, অনুদান ও উপহার প্রদান করবে
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন):
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় শহিদ সাংবাদিক পরিবারকে সম্মাননা, বিশেষ অনুদান ও উপহার প্রদান করবে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুলাই জাতীয় জাদুঘরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হবে। সারাদেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং ঢাকার চারটি বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, ডকুমেন্টারি দেশব্যাপী প্রদর্শন করবে। এদিকে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আগামী ০১ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ ফিচার, নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন, ফটোকার্ড তৈরি ও প্রচার এবং পোস্টার, ফেস্টুন মুদ্রণ ও বিতরণ করা হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত প্রকাশনা উৎসব, গণ-অভ্যুত্থানের আলোকচিত্র ও গ্রাফিতিসমূহ প্রদর্শণ করা হবে।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার অংশগ্রহণে বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি, কোরানখানি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা আয়োজন করা হবে।
#
সালমা/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/মানসুরা/২০২৫/১৩৪০ ঘণ্টা