Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১০ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৩৫২৫

 

   

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে এবং বন্যার আগাম পূর্বাভাস পেতে হবে

                                                                                  -- পানি সম্পদ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

  

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে এবং বন্যার আগাম সঠিক পূর্বাভাস পেতে হবে। আমাদের ইনস্টিটিউশনগুলোকে ক্ষমতায়িত করার যে পদক্ষেপ তাতে বিলম্ব করলে চলবে না।

 

আজ ঢাকায় ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের প্রবাসী মিলনায়তনে জালালাবাদ অফিসার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘Flood Hazards in Sylhet Region: Problems and Way Forward’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের সাথে আলোচনা চলছে। তারা যেন আমাদেরকে সাইট স্পেসিফিক বন্যার আগে থেকে বলার জন্য সহায়তা দেয় এবং তাদের যে হাইরেজুলেশন ডাটা আছে সেটাতে তারা আমাদেরকে প্রবেশের সুযোগ দেয়। তাহলে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। তিনি বলেন, বন্যা হবে। বন্যাকে আমাদের আটকানোর কোন উপায় নেই, আটকানোর কোন সুযোগ নাই। আমাদের সক্রিয় বদ্বীপ, এখানে ভূতাত্বিক গঠন এখনো হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, বন্যাকে আমরা কতটুকু আটকাতে পারবো, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, বন্যার ঝুঁকিটাকে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে কতটুকু বাড়িয়ে দিচ্ছি সেটা আমাদের দেখতে হবে। বন্যা হয়তো আমরা আটকাতে পারবো না কিন্তু আমাদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং অন্যান্য উৎস থেকে জলবায়ু পরিবর্তন যে হচ্ছে সেখানে আমাদেরকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।

 

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ২০২৫-২০২৮ সাল পর্যন্ত একটা প্রকল্পে প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে যেটার মোট বাজেট ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ হাওর এলাকার বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২৫-২০২৮ সাল পর্যন্ত একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে যার বাজেট ধরা হয়েছে ২০৬৪ কোটি টাকার। এ বিষয়গুলোতে আপনারা আপনাদের মতামত জানাবেন বলে তিনি তার বক্তব্য উল্লেখ করেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, হাওরে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের একটা নির্দেশনা তৈরি করতে হওয়ার অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর এবং হাকালুকি হাওরের সীমানা চিহ্নিত করে কোথায় আমাদের সোয়াম ফরেস্ট তৈরি করতে হবে, আদৌ লিজ দেবো কি দেব না, হাওরে মালিকানাধীন যে জমিগুলো আছে ওই জমিগুলো ভরাট করা এবং সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান করা থেকে কেমন করে বিরত রাখা যাবে সে কাজগুলো করতে একটা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে হাওর অধিদপ্তরকে ।

 

উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি নদী চিহ্নিত করেছি। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১টি করে নদী এবং কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীসহ মোট ১১টি নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করনের দিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্ততপক্ষে একটি নদীও যদি দখল এবং দূষণমুক্তকরণের কাজ আমরা আমাদের মেয়াদে শুরু করতে পারি তাহলেও এটি একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর বাকি নদীগুলোও দখল ও দূষণমুক্ত করনের জন্য প্রস্তুতি শেষ করে দিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডঃ মোঃ আব্দুর রব। সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মোঃ আবদুল্লাহ।

 

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে জালালাবাদ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খানকে এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২ বছরের জন্য নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

#

 

মামুন/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩৫২৪

  

খেলোয়াড়দের উন্নয়নে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে

                                                           -- ক্রীড়া উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ট্যালেন্ট হান্ট একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা নতুন এবং সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড় খুঁজে পাই। যাদেরকে যথাযথ ট্রেনিং এবং ফেসিলিটিজ দেওয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত করা হবে যাতে তারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারেন; দেশকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। খেলোয়াড়দের উন্নয়নে সকল প্রকারের সহযোগিতা প্রদানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচেষ্ট আছে।

 

 আজ রাজধানীর মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ -২০২৫’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ফেডারেশনগুলোকে প্রকৃত ক্রীড়াবিদদের মাধ্যমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন ফেডারেশনের কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। বিগত সময় ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিকরণ করার কারণে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য ক্ষতি হয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিরাজনীতিকরণ এই সরকারের একটি অন্যতম পলিসি। জবাবদিহিতার মাধ্যমে ক্রীড়ার উন্নতি বাস্তবায়ন করা হবে।

 

#

 

নূর আলম/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২২০ ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                                                       Number: 3523

We must enhance our preparedness to reduce flood

 damage and improve early warning systems
                                   -- Environment Advisor

Dhaka, 10 May:

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Water Resources and the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, stated that to minimize flood damage, we must increase our preparedness and ensure accurate early flood forecasting. She emphasized that several improvements are necessary and that delays in empowering our institutions must be avoided.

She made these remarks while speaking as the chief guest at a seminar titled “Flood Hazards in Sylhet Region: Problems and Way Forward,” organized by the Jalalabad Officers' Association at the Probashi Kallyan Auditorium of the Probashi Kallyan Bhaban in Eskaton, Dhaka, today.

Advisor Rizwana Hasan further stated that discussions are ongoing with the UK Met Office to assist Bangladesh in obtaining site-specific flood forecasts and access to their high-resolution data. She expressed optimism that a partnership would enable Bangladesh to overcome critical gaps in flood preparedness.

Environment Advisor added that Sylhet faces riverbank erosion in addition to flooding. While flooding presents challenges, it also has benefits for a dynamic delta like ours, as the silt carried by rivers during floods enriches the soil. However, when flood events exceed our management capacity, they become problematic. She noted that floods have occurred throughout history and will continue to occur, and there is no way to prevent them entirely. Our delta is still geologically active, and the impacts of climate change are intensifying these issues.

She stressed that although we may not be able to stop floods, we must examine how our activities are increasing flood risks, especially in the context of climate change. We must also take action to reduce climate change by limiting the use of fossil fuels and controlling other contributing factors.

Advisor Rizwana Hasan mentioned that preliminary approval has been given for the Surma-Kushiyara Flood and Water Management Project (2025–2028), with a total estimated budget of Tk 1,042 crore. She invited feedback on this project. Additionally, a project for flood and water management in the Sunamganj Haor region is being planned for the same period, with an estimated budget of Tk 2,064 crore. She also requested opinions on this initiative.

She informed that the Haor Department has been instructed to develop guidelines for regulating tourism in the haor areas. Delineation of the boundaries of Tanguar Haor and Hakaluki Haor is underway to determine where to establish swamp forests, whether to allow land leasing, and how to prevent filling of land and industrial development on private land within the haor areas.

The advisor also mentioned that 11 rivers have been initially identified—one from each division, 4 from around Dhaka city and the Bankkhali River in Cox's Bazar for targeted plans to eliminate encroachment and pollution. She said that if work can begin on restoring at least one river during the current term, it would serve as an example, and preparations for cleaning up the remaining rivers will also be completed.

Special guests at the event included Professor Dr. Bidhan Ranjan Roy Podder, Advisor to the Ministry of Primary and Mass Education, and Matiur Rahman Chowdhury, Editor of Manab Zamin newspaper.The keynote presentation was delivered by Dr. Md. Abdur Rob, former professor at the University of Dhaka and current Acting Vice Chancellor of Manarat International University.

The welcome address was given by Additional Secretary Zafrur Reza Chowdhury. Other speakers on flood risk in the Sylhet region included BUET IWFM Professor Dr. Mashfiqus Salehin and Professor Dr. Mohammad Faizul Islam Chowdhury, among others.

The seminar was chaired by prominent physician Professor Dr. Md. Abdullah. At the end of the event, the Jalalabad Officers' Association announced its new executive committee for the next two years, electing Additional Secretary of the Ministry of Civil Aviation and Tourism, Mr. Abdun Naser Khan, as President and Dhaka Divisional Commissioner Mr. Sharaf Uddin Ahmed Chowdhury as General Secretary.

#

Mamun/Mehedi/Sanjib/Salim/2025/22.00 Hrs.
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩৫২২

 

   

সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে

                         -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):   

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরিবের জন্য অনিরাপদ খাদ্য আর মধ্যবিত্তের জন্য নিরাপদ খাদ্য- এ ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

 

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদবধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়
এ কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য নিয়ে আলোচনা প্রায়শই কৃষিকে কেন্দ্র করেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন শুধু কৃষি থেকেই নয়; মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ খাতও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একসাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষির সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় না।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করলে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি হতে পারে। বর্তমানে অনেক সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে হলেও রাসায়নিক ও এন্টিবায়োটিকমুক্ত মাছ-মাংস কিনতে আগ্রহী। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষ নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন নয়, তাই তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে।

 

ফরিদা আখতার বলেন, কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছানাশকের ব্যবহার শুধু কৃষিকেই নয় প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

 

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর প্রেসিডেন্ট শামসুল আরেফিন খালেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরডাপের মহাপরিচালক ড. পি.চন্দ্র শেখারা। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মামুন/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২১২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩৫২১

 

   

 দেশে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে

                                                -- আইন উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):   

 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল  বলেছেন, দেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য  প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টাসহ একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকাতে যাচ্ছে। ফিরে এসে কমিশন গঠনের সময় দেশের  বিশিষ্টজনের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

 

আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত  ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি খসড়া আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে নিজস্ব   মতামত তুলে ধরেন।

 

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনন্তকাল হানাহানি করে এ জাতির মুক্তি  হবে না, আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য কাজ করেছে, তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা যে এই জাতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হলেও ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করতে হবে।

 

আসিফ নজরুল বলেন, যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে গুমসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এসব অপরাধ আর না ঘটে।

 

সভায় খসড়া অধ্যাদেশটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম,  রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেলিন ও সায়েরা রহমান খান, মায়ের ডাক সংগঠনের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তাদের গুরুত্বপূর্ণ  মতামত তুলে ধরেন।

 

#

 

রেজাউল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৩৫১৮  

শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা লালনের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে 

                                                     -শিক্ষা উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে) :   

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা লালনের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। আমাদের এমন কিছু কাজ করা প্রয়োজন যাতে আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেল তাদের এই প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে, ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৫’ এর উদ্বোধন ও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ স্লোগান নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ই নয়, সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত এই স্লোগানের মধ্যে তা অন্তর্নিহিত রয়েছে। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। শিক্ষকরা শুধু চাকুরি করতে আসেন না, তারা শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নেন। আমাদের সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারছি না। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এই মহান পেশায় যে শিক্ষকরা রয়েছেন তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার। আজকের প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি আমরা শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখবো। তিনি আরো বলেন, গভর্নিং বডি ছাড়া অভিভাবকরাও যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে নজর রাখেন তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমস্যা থাকবেনা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃতি, খেলাধুলা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবে, পড়াশোনার পাশাপাশি  তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। এসকল আয়োজনে অভিভাবক ও সমাজের সকল স্তরের লোকজনের সহযোগিতা প্রয়োজন।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪’ প্রদান করা হয়। 

#

সিরাজ/ফাতেমা/রমজান/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৫৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৩৫১৭

শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পার্বত্য উপদেষ্টার

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে কল্যাণময় সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সরকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও সহযোগিতায় সব সময় আন্তরিক আছে।

উপদেষ্টা আজ রাঙ্গামাটি জেলা সদরের তবলছড়ি আনন্দ বিহার বহুমুখী হলরুমে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা-২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে ধর্মীয় উপাসকগণের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা সকলকে সৎকর্মে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুঃখ, জরা, রোগ, শোক, ব্যাধি নিরোধ ও চিকিৎসার কথা বলা আছে বৌদ্ধ ধর্মে। সকলকে দেশের কল্যাণে পাপাচার থেকে বিরত থেকে নিজেকে ভাল কর্মে নিয়োজিত রাখতে হবে।

 

সুপ্রদীপ চাকমা বিশ্বের সকল মানুষের সুখ, শান্তি ও সম্বৃদ্ধি কামনা করেন। সৎকর্ম, সৎ চিন্তা, মৈত্রী ও করুণা আরো সুদৃঢ় হওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে প্রার্থনা করা হয়। এসময় উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।   

 

রাঙ্গামাটি বৈশাখী পূর্ণিমা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মাহাথেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ-এর উপসংঘ রাজ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মাহাথের, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান ও বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব কৃষ্ণচন্দ্র প্রমুখ।

#

রেজুয়ান/ফাতেমা/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১৫৫০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৫১৬ 

বিআইপির নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধন

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে

                                                  -গণপূর্ত উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে) :   

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা নিজেদের মতো করে বিক্ষিপ্তভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করছে। এইভাবে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে প্রতি বছর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি জমি ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশের নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে জীববৈচিত্র্য বজায় রাখা যাবে। তিনি আরো বলেন, ভূমি-জনসংখ্যার হার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে অনেক বেশি। যেমন: চীন প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৪৮, জাপান ৩ দশমিক ২৬, মালয়েশিয়া ১ দশমিক ৫, সৌদি আরব শূন্য দশমিক ১৬, থাইল্যান্ড ১ দশমিক ৪০, শ্রীলঙ্কা ৩ দশমিক ৩২ ও বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৮ জন। যার ফলে বাংলাদেশের জন্য জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রয়োগ জরুরি প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অবকাঠামো কাজে লাগানোর জন্য স্থানিক পরিকল্পনার বিকল্প নেই।

উপদেষ্টা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর তিন দিনব্যপী নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। 

‘নগর, অঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকার বৈষম্যহীন উন্নয়নে স্থানিক (Spatial) পরিকল্পনা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান এবং সূচনা বক্তব্য দেন বিআইপির যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ মানব বসতি কর্মসূচির (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) নির্বাহী পরিচালক আনাক্লাউদিয়া রসবাখ (Anacláudia Rossbach), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম এবং বিআইপির উপদেষ্টা পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন।

বিআইপির এবারের সম্মেলনে সবমিলিয়ে অন্তত ৬০ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন দেশী-বিদেশি পরিকল্পনাবিদ এবং পেশাজীবীরা। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী, ইরান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেনসহ অন্তত ১৫ টি দেশের ৩৫ জন বিদেশি ডেলিগেট সম্মেলনে অংশগ্রহন করবেন।

এবারের ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে নগর, অঞ্চল এবং গ্রামীণ পরিকল্পনার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত পরিকল্পনাবিদ, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করা। এর মাধ্যমে পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের বিনিময়, সাম্প্রতিক উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করা এবং পরিবর্তিত বাস্তবতায় আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি সুষম টেকসই দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনাগত দিক থেকে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়ন।

#

আলমগীর/ফাতেমা/রমজান/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৫১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৫১৫  

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

                                                                                               -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে) :   

         স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার দেশত্যাগের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা এ ঘটনায় দায়ী বা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড ও অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করছে ইন্টারপোল।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ) বলেন, আজকের বিমানবন্দর পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক উন্নত ও যুগোপযোগী হয়েছে। এ উন্নতির ধারা যেন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তিনি তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।

#

ফয়সল/ফাতেমা/রমজান/আলী/মানসুরা/২০২৫/১৪৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩৫১৪ 

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধন এবং

‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ প্রদান করেন শিক্ষা উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে) :   

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার আজ ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধন এবং ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ প্রদান করেন। এবারের প্রতিপাদ্য-‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’। অনুষ্ঠানে ১৪টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এবং শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার ১৮টি ক্যাটাগরিতে (বালক ও বালিকা) প্রথম স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হয়েছেন শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) শ্রেষ্ঠ সুপারিনটেনডেণ্ট টাঙ্গাইল পিটিআইর সুপারিনটেনডেণ্ট মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন সরকার, শ্রেষ্ঠ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর রাজশাহী পিটিআই'র ইন্সট্রাক্টর মোঃ কামরুজ্জামান, শ্রেষ্ঠ উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর নীলফামারীর ডিমলার ইনস্ট্রাকটর মোঃ মাসুদ করিম, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা  শিক্ষা অফিসার হবিগঞ্জের  মাধবপুর উপজেলার সহকারী উপজেলা  শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক বগুড়ার গাবতলীর পদ্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নীলফামারীর সৈয়দপুরের সাবর্ডিনেট কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলি সুলতানা, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের  ষাড়েরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইনাম উল্লাহ খান, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা জামালপুর সদরের হাছানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা ইসলাম, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডুর কুল্যাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহা: মতিয়ার রহমান, শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নোয়াখালীর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে  শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সুব্রত খাজাঞ্জী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রেষ্ঠ পিটিআই রাজশাহী পিটিআই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

শিশুদের প্রত

2025-05-10-16-32-2cf095449ebfeefc2e1fba00479cb251.docx