তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭২৫
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুজব প্রতিরোধে পরিপত্র জারি
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুজব রটনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সরকার আজ এক পরিপত্র জারি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন স¦াক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একটি অসাধু মহল বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সম্প্রতি গুজব ছড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ গুজব প্রতিরোধের জন্য নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণসহ গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। শিক্ষার্থীদের আধিক্য এবং বয়সজনিত কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে গুজব রটনা সহজ বিধায় অসাধু মহল অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণকে এ কাজে ব্যবহার করছে।
পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এ অবস্থায় গুজব থেকে সাবধান থাকার জন্য অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ সচেতন করবেন। এছাড়া এ ধরনের কোনো ঘটনা আর যাতে কোথাও না ঘটতে পারে সে জন্য সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করতে হবে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
#
আনোয়ারুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭২৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিপত্র জারি
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের করণীয় বিষয়ে সরকার আজ এক পরিপত্র জারি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন স¦াক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সতর্কতা অবলম্বন করলে এ রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ডেঙ্গু এডিস মশা বাহিত একটি রোগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের খেলার মাঠ এবং ভবনসমূহের মাঝে পানি জমে থাকে এমন জায়গা, ফুলের টবে জমে থাকা পানি এডিস মশার উপযুক্ত প্রজনন কেন্দ্র। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিপত্র অনুযায়ী নি¤েœাক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করতে হবে :
খেলার মাঠ ও ভবনসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, মাঠ কিংবা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যে সকল ফুলের টব রাখা হয়েছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়সমূহ প্রত্যহ শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে।
#
আনোয়ারুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭২৩
রাজনৈতিকভাবে পরাজিত অপশক্তির গুজব প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হোন
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিকভাবে পরাজিত অপশক্তি নানা ধরনের গুজব রটিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
‘এ ঘৃণ্য গুজব রটনাকারী অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের শতকরা সত্তর ভাগের বেশিই হচ্ছে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠীর, আর ত্রিশ ভাগ গড্ডালিকায় গা ভাসিয়েছে এবং গুজবের প্রথম যে পোস্ট বিদেশ থেকে দেয়া হয়, তার পরিচয়ও উদঘাটিত হয়েছে’, জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ভাসানী’র ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী’র সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিম্ময়কর উন্নয়ন, বিশ্বব্যাপী প্রশংসা এবং বিশ্বব্যাংকে হতবাক করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে একটি মহল প্রচ-ভাবে হতাশ। তারা রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানা ধরনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে সরকারের অনুমোদন নিয়ে না কি পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে, তাও একটা দুটা নয় এক লক্ষ শিশু - এ রকম একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রটিয়ে দেয়া হয়েছে।’
‘সেই সূত্র ধরেই দেশে ছেলে ধরার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘কিছু আতঙ্কিত মানুষ আর কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এ সবগুলোই হত্যাকা-। জড়িত সবাই হত্যা মামলার আসামী। তাদের বিরুদ্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।’
‘যেখানে গুজব সেখানেই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ’
গুজব রটনাকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘যারা দেশের উন্নয়নের পক্ষে, যারা প্রগতির পক্ষে, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, তাদেরকে বলবো, এই ধরনের গুজব রটনা বা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অপচেষ্টা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে নানা ষড়যন্ত্র রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সহযোগী সংগঠন ও মোস্তাক ভাসানীর দল থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দলকে অনুরোধ জানাই এদেরকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করতে হবে। যারা যেখানে গুজব রটাবে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অনুরোধ জানাই।’
‘মাওলানা ভাসানী ক্ষমতার জন্য নয়, জনতার জন্য রাজনীতি করেছেন’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ৬২ বছর পার হয়ে ৬৩তম বর্ষে পদার্পণ করায় ন্যাপ ভাসানীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন নাই। মওলানা ভাসানী জনতার জন্য রাজনীতি করেছেন। মওলানা ভাসানী যদি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করতেন বা ক্ষমতার জন্য যদি তাঁর তীব্র বাসনা থাকতো তাহলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন বা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যেতে পারতেন। কিন্তু মওলানা ভাসানী সেই পথে যাননি। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।’
‘কিন্তু মওলানা ভাসানীর দলের অনেকেই মওলানা ভাসানীকে ছেড়ে চলে গেছেন, তার ইন্তেকালের পর যারা মওলানা ভাসানীর দল করতেন তারা ক্ষমতার লিপ্সাকে ত্যাগ করতে পারেননি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আজকের বিএনপির বড় বড় অনেক নেতা তারা মওলানা ভাসানীর দল করতেন। তারা আদর্শ থেকে বিচ্যূত হয়ে জিয়াউর রহমানের রাজনীতির হাতের পণ্য হয়ে বিক্রি হয়ে গেছেন। পরবর্তীতে এরশাদ যে রাজনীতির হাট বসিয়েছিল সেই হাটেও মওলানা ভাসানীর দলের অনেক নেতা বিক্রি হয়েছেন। কিন্তু মোস্তাক বিক্রি হন নাই। সেই জন্য আমি মোস্তাক সাহেবকে অভিনন্দন জানাই, হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রচ- প্রতিকূলতার মধ্যে, প্রতিবন্ধকতার মধ্যে তিনি মওলানা ভাসানীর প্রতীকটিকে জাগিয়ে রেখেছেন, সেই জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭২২
নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত, যাবে মন্ত্রিসভায়
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
সংবাদপত্র ও বার্তাসংস্থার কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়াতে নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কমিটির এই সুপারিশ এখন মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নবম ওয়েজবোর্ডের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছি, কিন্তু এই রিপোর্টই চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেবলমাত্র মন্ত্রিসভা। স্টেক হোল্ডারেদের সঙ্গে আলোচনার পর মন্ত্রিসভা কমিটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তা বাস্তবসম্মত এবং যুক্তিসংগত।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই রিপোর্টটি এখন কেবিনেট ডিভিশনে আমরা পাঠিয়ে দেব। কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপিত হবে এবং মন্ত্রিসভা বৈঠকের অনুমোদনের পর এটা গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ আগস্ট দেশে ফিরলে মন্ত্রিসভার যে কোনো বৈঠকে নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ তোলা হবে।’
‘অহেতুক আমরা এখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে জল্পনা-কল্পনা বা গুজব সৃষ্টি করতে চাই না, গুজবের ডালপালা বিস্তার করতে চাই না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েই যাবে, এটা ম্যাটার অভ্ টাইম।’ ইলেকট্রানিক মিডিয়ার কর্মীদের ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন হবে, সেই আইনে সেটা থাকবে।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এ বিষয়ে বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য আলাদা একটি নীতিমালা করার কথা বলা আছে। কিন্তু নবম ওয়েজবোর্ড শুধু সংবাদপত্রের জন্যই। কারণ নবম ওয়েজবোর্ডের ম্যান্ডেটের মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়া নেই। সে কারণে নবম ওয়েজবোর্ডে এটা অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভবপর নয়।’
গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের ‘ভেটিং’য়ে রয়েছে জানিয়ে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘ঐ আইন পাস হলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনা হবে।’
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭২১
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সরকার দেশের পশ্চাৎপদ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এনে তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। শহরাঞ্চলে বসবাসরত নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা দূর করতে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হচ্ছে ।
মন্ত্রী আজ জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রী হোস্টেলের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অতি দারিদ্র্য এবং নগরের দরিদ্র পথবাসী সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ আয়োজিত ‘নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ: বৈষম্য ও দারিদ্র্য নিরসনে আইন প্রণেতাগণের ভূমিকা’ শীর্ষক লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মূসা ।
মন্ত্রী বলেন, শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় নগরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ ও সুদ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শহরে বসবাসরত দরিদ্র ব্যক্তিদের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার ৮৯১টি পরিবার উপকৃত হয়েছে যার মধ্যে মহিলা উপকারভোগীর সংখা ৪৪ হাজার ৮১৮ জন।
নূরুজ্জামান আহমেদ জানান, ৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে পরিচালিত মানব সম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ২০টি ট্রেডে ৩৬০ ঘণ্টার বেসিক কোর্স-সহ নানামুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ থেকে ২ লাখ ৬২ হাজার ১০৫ জন বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে।
পরে মন্ত্রী ওরিয়েন্টশেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ২৫ জন সংসদ সদস্যের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।