Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৫ জুলাই ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ১৭৫                                                                                                

 

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ গুরত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে

                                                                                            -- শিক্ষা উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সাথে আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে কৃষ্টি; বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেইঞ্জ এন্ড এডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান); সাইটসেভার্স ও ভিজ্যুয়াল ইমপেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) সংস্থার প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে প্রস্তাবনা পেশ করে। এছাড়া তারা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করারও প্রস্তাব দেন।

 

প্রতিনিধিদলের উত্থাপিত স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনাসমূহের মাঝে রয়েছে:  শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সকল ধরনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে একটি সমন্বয় কমিটি করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি অভিন্ন শ্রুতিলেখক নীতিমালা প্রণয়ন করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ব্রেইল শাখা চালু করা এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে একীভূত শিক্ষা, সমন্বিত শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষা-সহ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের প্রস্তাবনাগুলো গুরত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

 

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সাবরিনা সুলতানা, সভাপতি, কৃষ্টি; ইফতেখার মাহমুদ, সহসভাপতি, কৃষ্টি; সালমা মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেইঞ্জ এন্ড এডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান); খন্দকার সোহেল রানা, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন কোর্ডিনেটর, সাইটসেভার্স; জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সদস্য, ভিজ্যুয়াল ইমপেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

সিরাজ/মাহমুদুল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২১৩০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                           Number: 174

Government Prioritizing Restoration of Canal Flow

to Reduce Waterlogging, Pollution, and Public Suffering                                                                                                                                                                                                              --- Environment Advisor

Rangpur, 15 July 2025:

            Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, stated that the government is working on a priority basis to restore the natural flow of canals across the country in order to reduce waterlogging, pollution, and public suffering.

            The Advisor made the remarks during a field visit to various sections of the Shyamasundari Canal in Rangpur Sadar Upazila under Rangpur district today as part of the project titled
‘Re-excavation, Pollution Control and Afforestation of Shyamasundari Canal to Tackle Climate Change’ funded by the Bangladesh Climate Change Trust. Following the visit, she briefed journalists and held discussions with relevant officials.

            The flow of the Shyamasundari Canal must be restored, the Advisor emphasized. ‘Without maintaining the natural flow of water, cities cannot survive. A canal is not just a water body—it is a living ecosystem. If we fail to protect it, the problems of waterlogging, pollution, and public distress will worsen.’

            Rizwana Hasan informed that dredging of 10 kilometers of the canal is planned. Waste screening devices will be installed at 68 discharge points. Since a portion of the canal passes through military installations, discussions have been held with the authorities concerned and have progressed positively. All existing barriers to natural water flow will be removed.

            The Advisor also instructed the concerned authorities to install a sewerage treatment plant for the canal and called for coordinated efforts among the implementing agencies. She urged city residents to remain aware and actively participate in protecting the canal.

            Present during the visit were Chief Engineer of the Bangladesh Water Development Board (BWDB) Md. Enayet Ullah, Rangpur BWDB Chief Engineer Md. Mahbubur Rahman, Rangpur Deputy Commissioner Mohammad Rabiul Faisal, Conservator of Forests Md. Subedar Islam, Director of the Department of Environment Nur Alam, and Kurigram BWDB Executive Engineer Md. Rakibul Islam, among others.

            Earlier, Advisor Rizwana Hasan visited the ongoing embankment works along the Teesta River adjacent to Ghoriyaldanga Khitabkha Government Primary School in Rajarhat Upazila of Kurigram, the embankment near Gatiasham Clinic, and the right-bank protection works upstream of the Panjarbhanga Railway Bridge in Kaunia Upazila of Rangpur. She also interacted with local communities during the visit.

#

Dipankar/Mahmudul/Sayem/Rana/Ferdows/Mosharaf/Konok/Joynul/2025/2010hours 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর:  ১৭৩                                                                                                 

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল। কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। 

 

সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত ‘সময়ের বীর শহিদ তানভীর’ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত ‘দ্য মনসুন রেভুলেশন’ প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন। 

 

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

 

#

 

মামুন/মাহমুদুল/রানা/সায়েম/খায়ের/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯৩০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর:  ১৭২                                                                                                 

 

বুধবার শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী বিয়ার (BEAR) সম্মেলন এবং

বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সবচেয়ে বড় সামিট বিয়ার (BEAR) সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ আয়োজন করছে। আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ আয়োজন হতে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ (EDGE) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে এর আয়োজন করছে।

 

আজ এ বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

 

সচিব বলেন, সরকার-সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া এবং প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এমন আয়োজন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম। সব ধরনের পলিসিগত সহায়তা প্রদানে আইসিটি বিভাগ তথা বর্তমান সরকার প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমরা ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর পলিসি’র খসড়া প্রস্তুত করেছি এবং শীঘ্রই চূড়ান্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা হবে। দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে (বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম এবং এনসিপি) এই আয়োজনে যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে তাঁরা আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারবে বলে মনে করেন শীষ হায়দার চৌধুরী।

 

বিয়ার সামিট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫-এর আহ্বায়ক পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ মোস্তফা হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এই ধরনের আয়োজন আমাদের সত্যি নতুন করে স্বপ্ন দেখায়।  ‘Bangladesh as a Nation of Innovation’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত  BEAR Summit এবং National Semiconductor Symposium 2025 আমাদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। সারাবিশ্বের সামনে আমরা আমাদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ পাবো। তিনি আরো বলেন, এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং রোবটিক্সয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাতের সম্ভাবনাকে নতুন করে খুঁজে দেখা; তরুণ মেধার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেওয়া। 

 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডঃ. মোঃ মেহেদী হাসান, গ্লোবাল ফাউন্ডারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাশেদ-সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

জসীম/মাহমুদুল/রানা/খায়ের/ফেরদৌস/মোশারফ/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ১৭১                                                                                                    

 

‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষ্যে ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা হবে

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। এ দিবসে বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

 

শহিদগণের মাগফেরাতের জন্য আগামীকাল বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

 

আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

#

 

মেহেদী/মাহমুদুল/সায়েম/রানা/খায়ের/ফেরদৌস/রফিকুল/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ১৭০                                                                                                  

 

বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পসহ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পসহ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন  নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।  তিনি আজ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুরের ভারপ্রাপ্ত  পরিবহন মন্ত্রী জেফ্রি সিও এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।

 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জাহাজ শিল্প খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে এবং সকল প্রক্রিয়া এখন স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সম্ভাবনাময় জাহাজ শিল্প-সহ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

 

বৈঠকে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় সিঙ্গাপুরের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের চমৎকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর, বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে শিপইয়ার্ড নির্মাণ, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দরসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারে।

 

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা সম্প্রসারণ প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণে বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অনেকাংশে কমে আসবে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়। উপদেষ্টা বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে পিএসএ সিঙ্গাপুরের সাথে আসন্ন অক্টোবর মাসের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তিনি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর বা বাংলাদেশের উপর্যুক্ত যে কোনো স্হানে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ড নির্মাণে সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ জানান।  সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী এ বিষয়ে উপদেষ্টাকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

 

বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও মেধাবী মেরিনারদের সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক ট্রানজিট ভিসা প্রদানের আহ্বান জানান। সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী বাংলাদেশী নাবিকদের জন্য দ্রুতই ট্রানজিট বা ওয়ার্কিং ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

 

বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটেগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

 

বৈঠকে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আরিফ বিল্লাহ/মাহমুদুল/সায়েম/রানা/খায়ের/ফেরদৌস/মোশারফ/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর:  ১৬৯                                                                                                  

 

জলাবদ্ধতা, দূষণ ও জনদুর্ভোগ কমাতে খালগুলোর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার

                                                                                     -- পরিবেশ উপদেষ্টা

 

রংপুর, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলাবদ্ধতা, দূষণ ও জনদুর্ভোগ কমাতে দেশের খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।

 

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রংপুর জেলার রংপুর সদর উপজেলাধীন শ্যামাসুন্দরী খাল পুনঃখনন, দূষণ রোধ ও বনায়ন কাজ” শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ উপদেষ্টা শ্যামাসুন্দরী খালের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্যামাসুন্দরীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই হবে। পানির স্বাভাবিক গতি রক্ষা না করে শহরকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। খাল মানেই শুধু পানি নয়, এটি একটি জীবন্ত প্রতিবেশ। এটি রক্ষা করতে না পারলে জলাবদ্ধতা, দূষণ ও জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে।’

 

রিজওয়ানা হাসান জানান, খালের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৬৮টি বর্জ্য নিষ্কাশন পয়েন্টে ছাকনি বসানো হবে। সেনাবাহিনীর স্থাপনার মধ্য দিয়ে খালের প্রবাহ আছে; তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। খালের স্বাভাবিক প্রবাহে যেসব বাধা রয়েছে তা দ্রুত অপসারণ করা হবে।

 

উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শ্যামাসুন্দরী খালের জন্য একটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের নির্দেশ দেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নগরবাসীকে খাল রক্ষায় সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

এ সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোঃ এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, বন সংরক্ষক মোঃ সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর তীরে চলমান তীর রক্ষা বাঁধ, গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন বাঁধ এবং রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন।

#

দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/খায়ের/ফেরদৌস/মোশারফ/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯৫০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                          Number: 168

 

The government is prioritizing efforts to prevent erosion along the Teesta

                                                                           -- Advisor Rizwana Hasan

 

Kurigram, 15 July:

 

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, has stated that the government is working on a priority basis to control erosion along the Teesta River. She shared that out of the 45 kilometers of the most erosion-prone areas of the Teesta, riverbank protection work is already underway along 19 kilometers, while funding has been secured for the remaining 26 kilometers construction on which will begin soon.

 

The Advisor made these remarks today while briefing the media during her visit to the ongoing riverbank protection works near Gharialdanga Khitabkha Government Primary School in Rajarhat Upazila, Kurigram district.

 

Rizwana Hasan also noted that the demand for a permanent embankment to control Teesta erosion is legitimate. However, such a project requires long-term planning and time for implementation. The present government is therefore focusing on emergency protection works in the most vulnerable areas within a short time frame.

 

In response to questions from journalists, the Advisor affirmed that the Teesta water-sharing treaty is a rightful demand of the people of Bangladesh. The government is pursuing this treaty in accordance with international law.

 

ৎShe also informed that five public hearings have already been held as part of the formulation of the Teesta Master Plan, with participation from both local and international experts. Feedback and recommendations from these hearings have been forwarded to the relevant ministries, and the plan will be finalized based on a consensus of expert opinions.

 

Among those present during the visit were Director General of the Bangladesh Water Development Board Md. Enayet Ullah, Chief Engineer of Rangpur BWDB Md. Mahbubur Rahman, Deputy Commissioner of Kurigram Nusrat Sultana, Superintendent of Police of Kurigram Md. Mahfuzur Rahman and Conservator of Forests of Rangpur Region Md. Subedar Islam.

 

Later, Advisor Rizwana Hasan visited the river protection works near Gatiasham Clinic in Rajarhat Upazila and the ongoing right-bank protection work upstream of the Panjarbhanga Railway Bridge in Kaunia Upazila, Rangpur. She also interacted with local residents during the visits.

 

#


Dipankar/Mahmudul/Sayem/Rana/Khair/Ferdows/Salim/2025/19.50 Hrs.



তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৬৭                                                                                                  

 

ভবিষ্যতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে গণভোটের প্রয়োজন হবে

                                                                              -- অধ্যাপক আলী রীয়াজ

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বিদ্যমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তর্ভুক্তির পর ভবিষ্যতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম মতভিন্নতা নেই বলে এই ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

 

আলোচনায় সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় বা উচ্চকক্ষ হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের সংশোধনের জন্য সংসদের
দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তবে, সুনির্দিষ্ট কিছু অনুচ্ছেদ যেমন প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিষয়ক ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ এবং ৫৮ঙ অনুচ্ছেদের দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হলে তা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে ৷

 

সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায়ও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এই মত প্রকাশ করেছে। তবে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজও ঐকমত্য হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলেছে ভোটের সংখ্যানুপাতে যেন উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যদিকে আসনের সংখ্যানুপাতেও উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আছে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো এ বিষয়ে একাধিক আলোচনার পরেও ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি, সেহেতু দল এবং জোটগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট বিষয়ে নিজেদের মধ্যে এবং পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আগামী সপ্তাহে একটি অবস্থানে পৌঁছার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

#

 

পবন/মাহমুদুল/রানা/খায়ের/ফেরদৌস/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা




তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ১৬৬

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ২৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। 

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ২৭ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫২৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে।

 

#

 

 রিজওয়ানুর/খায়ের/ফেরদৌস/মোশারফ/কনক/রেজাউল/২০২৫/১৭১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৬৫

তিস্তার ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার
                                    -পরিবেশ উপদেষ্টা

কুড়িগ্রাম, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার । তিনি বলেন, তিস্তার সর্বোচ্চ ভাঙনপ্রবণ ৪৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ১৯ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে এবং বাকি ২৬ কিলোমিটার অংশের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

          উপদেষ্টা আজ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর তীরে চলমান তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
          উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার ভাঙনের স্থলে স্থায়ী বাঁধের দাবি যৌক্তিক, তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণের কাজ করছে।

          উপদেষ্টা আরো বলেন, তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ চুক্তির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এছাড়া, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেছেন। এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহে পাঠানো হয়েছে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে।

          বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

          পরে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন তিস্তার বাঁধ এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান ত

2025-07-15-15-57-5c28ac034de196ea462758746b9822e0.doc