Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ২৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩৬৭১

 

ত্রিশালবাসীর নিকট নজরুল জন্মবার্ষিকী কেবলই অনুষ্ঠান নয়, একটি আবেগ, দায়বদ্ধতা ও প্রেরণার নাম

                                                                                             ---তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

 

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ), ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে):

 

    তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ত্রিশালবাসীর নিকট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কেবলই একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি আবেগ, দায়বদ্ধতা ও প্রেরণার নাম। জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী যেন অন্য কোথাও নয়, বরং জাতীয়ভাবে ত্রিশালেই উদ্‌যাপন করা হয়, সে ব্যাপারে নিজ জায়গা থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নজরুলকে কেবল স্মরণ নয়, তাঁর চেতনা, মানবিকতাকে হৃদয়ে, মননে ধারণ করার প্রত্যয় যেন সৃষ্টি হয় সকলের মাঝে।

 

    জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব। আজ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুরে 'চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার' প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

 

     তথ্য সচিব বলেন, নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার। নানা গুণে গুণান্বিত জাতীয় কবি ছিলেন এক ধ্রুবতারা। তিনি ছিলেন প্রেমের, দ্রোহের, মানবতার কবি। বাঙালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে আছেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদ, বৈষম্যের প্রতি কবি হয়েছেন বিদ্রোহী। সাম্যের পক্ষে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ আন্দোলনে যেমন কবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তেমনি তাঁর গান, সৃষ্টির চেতনা ১৯৫২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গড়িয়েছে। ২৪ এর আন্দোলনে নজরুলের গান, কবিতা উদ্দীপিত করেছে ছাত্র-জনতাকে। তরুণ প্রজন্মের কাছে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাপক।

 

     উদ্বোধনী দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আতাউল কিবরিয়া, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য-২ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। স্মারক বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান, কবি ও নজরুল গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যগণ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-সহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

                                               #

 

 রিদওয়ান/মেহেদী/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২২১০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৬৭০

 

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের বৈঠক

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে):

 

     বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদ বৈঠক করেছেন।

 

     আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

     বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে হাইকোয়ালিটি নির্মাণসামগ্রী তৈরি করছে। প্লাইউড, পাইপ, টাইলস ও উন্নতমানের গ্লাস তৈরির ফলে বাংলাদেশ এখন এসব পণ্যের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। মালদ্বীপ এসব পণ্য তাদের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার করতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশে মালদ্বীপের বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহবান জানান।

 

     দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি দু’দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে মালদ্বীপ ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় তিনি মালদ্বীপে শ্রমিক পাঠানোর খরচ কমিয়ে আনার আহ্বান জানান।

 

    মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদ বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি দু’দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেবে। এসময় তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মালদ্বীপের বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।

 

    বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার ও মালদ্বীপ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব আহমেদ মাইশান উপস্থিত ছিলেন।

 

                                                      #

 

কামাল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৫/২০৪৯ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৬৬৯

 

দেশের শ্রম আইন আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সাথে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হচ্ছে

                                                               --- শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে):

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশের শ্রম আইন আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সাথে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হচ্ছে।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে Advancing Decent Works in Bangladesh শীর্ষক প্রকল্পের ১ম PAC কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এ কথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, আইএলওর সহায়তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও শ্রম আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, জাতীয় মজুরি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। 

শ্রম সচিব আরো বলেন, সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ত্রিপক্ষীয় সংলাপের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প RMG ও অন্যান্য খাতে নারী ও যুব শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। ট্যানারি, গার্হস্থ্য পোশাক উৎপাদন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেলাই শিল্পে শিশুশ্রমের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তা করা হবে। এছাড়া, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত দুর্ঘটনা, রোগ বা মৃত্যু ক্ষেত্রে আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষত নারী শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। 

আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সরকার ও অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। RMG খাতের সাফল্য অন্য শিল্পেও পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছি।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, কানাডা ও ডেনমার্ক দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং শ্রম অধিদপ্তর ও কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মালেক/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৫/২১০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৬৬৮

চামড়া শিল্পের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও ডিজাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে

                                                                                             - শিল্প উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, চামড়া শিল্পের  উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সমন্বিতভাবে চামড়া শিল্পের পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন, সনদপ্রাপ্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। এই খাতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ট্যানারি এস্টেটে প্রশিক্ষণ ও ডিজাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ ঢাকা চেম্বার অভ্‌ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর আয়োজনে ‘চামড়া শিল্পের কৌশল নির্ধারণঃ এলডিসি পরবর্তী টেকসই রপ্তানি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, চামড়া শিল্পের বিদ্যমান নানাবিধ প্রতিকূলতা নিরসনে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়ক নীতি পরিবেশ প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে এখাতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন নিশ্চিতকরা সম্ভব হবে। এখাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ করতে হবে। চামড়া শিল্পের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি বিস্তৃত ইকো-সিস্টেম প্রবর্তনের উদোগ গ্রহণ করেছে।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের সভাপতিত্বে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেদারগুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অভ্‌ বাংলাদেশ (LFMEAB) এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম ও এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যানার্স  এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম ও বে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমানসহ চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তাবৃন্দ।

#

আলমগীর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০৩৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর: ৩৬৬৭

ভূমিসেবায়  সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে

                                     - ভূমি উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ভূমি সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি সেবায় ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। সন্তোষজনক সেবা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের ‘সার্ভে-এন্ড-সেটেলমেন্ট’ প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তা প্রারম্ভিক পর্যায় সম্পন্ন করতে হবে।

আজ রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনারকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভূমি মেলা ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস।

উপদেষ্টা বলেন, ভূমিসেবায় অনলাইন সংস্করণ যুক্ত হওয়ায় দৈনিক গড়ে ১০-১২ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। সুষ্ঠু জরিপ কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভূমিসেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে, আর এ জন্য প্রশিক্ষণের গুরত্ব অনস্বীকার্য।  

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবাসহ সংশ্লিষ্ট সব সেবাকে  শতভাগ অনলাইন এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে ক্যাসলেস করা হয়েছে। বিদ্যমান প্রযুক্তিনির্ভর অটোমেটেড ভূমিসেবাসমূহ সেবাগ্রহীতাদের নিকট জনপ্রিয় করাসহ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় তথা রাজস্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনের এই মেলায় ১৯ স্টলে ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ১৫ বছর বলা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ অথচ বাস্তবে তা হয়েছে কিছু ডিজিটাল দ্বীপ’ বা আইল্যান্ড। তবে এ আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে ইন্টারকানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে; এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন গতি পাবে। এ ট্রান্সফরমেশনকে দুইভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। একটি হলো মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর ট্রান্সফরমেশন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে নাগরিক সেবা নামে একটি প্লাটফর্ম। এই নাগরিক সেবা নামটি প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণ করেছেন।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরো বলেন, ভূমি জরিপ কাজ জিপিএস ও জিও ফেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন  হবে।  জমির মালিক চাইলে জরিপ কার্য গুগল আর্থে দেখতে পারবে। ভবিষ্যতে এই জরিপের সাথে ভূমির মালিকানার ম্যাপিং, কোনো মামলা আছে কি না থাকলে মামলার বর্তমান অবস্থা ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য সংযুক্ত থাকবে। অর্থাৎ একটা সিঙ্গেল গেটওয়েতে বসে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপের সাথে তার মালিকানাসহ বর্তমান অবস্থা দেখা যাবে। আর এই কাজটি করতে পারলে সেটিই হবে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশন। 

 সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম। আলোচনার শুরুতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন।

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও অতিথিবৃন্দ ভূমি জাদুঘর ও মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

#

গিয়াস/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ৩৬৬৬

কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ বছর গরুর লবণযুক্ত প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকায় এই দাম হবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ বছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দামের পাশাপাশি ছোট গরুর আকার হিসেবে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।

আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রফতানি করা যাবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চামড়া রফতানি সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি তিন মাসের জন্য শিথিল করা হবে। কোরবানির ঈদের ১০ দিন ঢাকাতে চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ উপযোগী করার জন্যই সারা দেশে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দুইটা তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে, যেটা সারা দেশেই প্রদর্শন করা হবে। তথ্যচিত্রে কিভাবে চামড়া সংরক্ষণ ও প্রসেস করতে হয় সেটা জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া ৮৬ হাজার কসাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করেছে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, যেহেতু বিনামূল্যে লবণ দিচ্ছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং চামড়ায় লবণ লাগাতে যে শ্রম ব্যয় হয় সে সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই এবার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা যৌক্তিক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহমান খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

কামাল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯২০ঘণ্টা

 

 

 

Handout                                                                                                             Number: 3665
 

Environment Advisor Inaugurates Sal

Tree Plantation and Boundary Demarcation Work

 

Tangail, 25 May:

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, has said that the government is committed to restoring the degraded Sal forests of Madhupur. She announced that Sal trees will be planted on 750 acres this year and on 6,610 acres over the next three years.

The Advisor added that alongside Sal, companion trees are also being planted with the active involvement of the local community. She made these remarks as the chief guest at a discussion program held at Dokhla in Madhupur National Park, Tangail today, marking the International Day for Biological Diversity.

The Advisor said that boundary demarcation of the Sal forest is underway, and boundary pillars have already been installed in the Rajabari area. Only Sal trees will be allowed in the Sal forest,” she said. Out of every 100 trees, 70 will be Sal and 30 will be companion species—no foreign species will be allowed.

The Advisor further announced the withdrawal of 129 cases but clarified that cases involving forestland encroachment or assault on forest officials would not be withdrawn. No harassment of local communities will be tolerated, she said, directing forest officials accordingly. This is not a promise—this is a declaration. She emphasized that forest-friendly programs will be undertaken to prevent deforestation and that the traditional rights of forest-dwelling communities will be protected. Addressing the Garo community, she said, You cannot cultivate pineapple or banana on hundreds of acres using harmful pesticides and hormones that damage the Sal forest.

Rizwana Hasan stated, No one—rich or poor—will receive forest land plots. Landless or river erosion-affected people will be rehabilitated on khas land, not in forest areas.

Before the discussion, the Advisor launched the Sal forest restoration program by planting 1,000 Sal saplings with local students. She later inaugurated the project titled “Restoration of Madhupur Sal Forest through Community Participation” in Rajabari area and released peafowl and Koi fish in the Sal forest and nearby ponds.

Earlier in the day, The Environment Advisor inaugurated the Land Fair and the campaign to plant 500,000 trees by releasing balloons at the premises of the Tangail Deputy Commissioner’s office.

The event was chaired by Chief Conservator of Forests Md. Amir Hossain Chowdhury. Renowned wildlife expert Professor Dr. Mohammad Ali Reza Khan attended as the keynote speaker. Md. Navid Shafiullah, Additional Secretary of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, Professor Dr. Firoz Zaman of the Department of Zoology, University of Dhaka, former president of Joyenshahi Adivasi Parishad of Madhupur Mr. Ajay Mree, and current president Mr. Eugene Nokrek were present at the program.

#

Dipankar/Mehedi/Ferdows/Sanjib/Shamim/2025/1910hrs

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ৩৬৬৪

শাল গাছ লাগানো, সীমানা চিহ্নিতকরণ কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

টাঙ্গাইল, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মধুপুরের অবক্ষয়িত শালবন পুনরুদ্ধারে সরকার বদ্ধপরিকর। এবার ৭৫০ একর এবং আগামী তিন বছরে ৬ হাজার ৬১০ একর জায়গায় শাল রোপণ করা হবে। তিনি বলেন, শালের পাশাপাশি সহযোগী বৃক্ষরোপণ চলছে, যাতে স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, শালবনের সীমা চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে এবং ‘রাজাবাড়ী’ এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, শালবনে শুধু শালগাছই থাকবে। ১০০ টি গাছের মধ্যে ৭০ টি শাল এবং ৩০ টি সহযোগী গাছ থাকবে কিন্তু কোনো বিদেশি গাছ থাকবে না।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ১২৯টি মামলা প্রত্যাহার করা হবে, তবে বনজমি দখলের মামলা এবং যেসমস্ত মামলায় বন বিভাগের লোকজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, কোনোভাবে এখানের জনগোষ্ঠীদের হয়রানি করা যাবে না। আমি বনবিভাগের লোকজনকে নির্দেশনা দিচ্ছি। তিনি বলেন, এটি কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, একটি ঘোষণা। বনবিনাশ রোধে বনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ এবং প্রথাগত বনবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি। গারো জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তবে শত শত একর জমিতে আনারস, কলা চাষ করতে পারবেন না। শত শত একর জায়গায় হরমোন ও পেস্টিসাইড দিয়ে শালবন নষ্ট করার সুযোগ পাবেন না।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন বিভাগের প্লট কেউ পাবে না – না ধনী, না দরিদ্র। নদীভাঙা বা দরিদ্রদের জন্য বন্দোবস্ত হবে খাসজমিতে, বনভূমিতে নয়।

আলোচনার আগে উপদেষ্টা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক হাজার শালগাছের চারা রোপণের মাধ্যমে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করেন।

পরে তিনি রাজাবাড়ী এলাকায় ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং শালবনে ময়ূর ও পুকুরে কাইট্টা মাছ অবমুক্ত করেন।

সকালে পরিবেশ উপদেষ্টা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে ভূমি মেলা এবং ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ নাভিদ শফিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান, মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় মৃ এবং সভাপতি ইউজেন নকরেক।

#

দীপংকর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৮৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ৩৬৬৩

নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই

                                                            - অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ঐকমত্য গঠনে শুধু রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি নাগরিক সমাজের সাথেও আলোচনার প্রয়োজন। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই।

ঢাকায় ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে সুশীল সমাজের আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য যেমন হয়েছে, তেমনি মতভিন্নতাও রয়েছে। তিনি বলেন, বিপুল রক্তপাতের মধ্য দিয়ে আমরা এ পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। ঐক্যের এমন সুযোগ বারবার আসবে না। একমত না হওয়া বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সনদ প্রতিষ্ঠা করা। 

এসময় বক্তারা মানবাধিকার, নারীর অধিকার, ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্ত্বা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর একমত হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করার তাগিদও দেন তারা। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যূত্থানের পর তরুণ প্রজন্মের নারীরা প্রবল আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতিতে আসতে চাইছেন বলেন দাবি করেন বক্তারা। এছাড়া, তারা ঐকমত্যের বিষয়টি জাতীয় সনদের মাধ্যমে প্রতিফলনের আশাবাদ প্রকাশ করেন। যাতে ভবিষ্যতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল যেন সেই জাতীয় সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের পথে ভূমিকা পালন করতে পারে।

এতে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে বিচারপতি আব্দুল মতিন, মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মনীরুজ্জামান, ড. ওয়ারেসুল করিম, ড. মির্জা হাসান, ড. গীতি আরা নাসরিন, ড. সামিনা লুৎফা, সুলতানা রাজিয়া, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, ইলিরা দেওয়ান, আশরাফুন নাহার মিষ্টি এবং চৌধুরী সামিউল হক উপস্থিত ছিলেন।

#

পবন/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/সুবর্ণা/আলী/শফিক/২০২৫/১৬১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                         নম্বর: ৩৬৬২

ব্যবসা শুরুর পাঁচ সেবা এক আবেদনে

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় পাঁচটি সেবা-নামের ছাড়পত্র, কোম্পানি নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক হিসাব খোলা-একটি মাত্র আবেদন ও এককালীন ফি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (OSS) পোর্টাল থেকে পাবেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই পাঁচটি সেবা অনলাইনে চালু হবে এবং ধাপে ধাপে অন্যান্য সেবাও এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে।

আজ বিডার কনফারেন্স হলে বিডা’র সাথে ছয়টি সরকারি সংস্থার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো হলো-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR), যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (RJSC), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (DSCC), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (DNCC), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (CCC) এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।

এসময় বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী মাহমুদ বিন হারুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই সাত দিনের মধ্যে ব্যবসা শুরু করা যায়। আমাদেরও একটি স্বপ্ন রয়েছে। ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক সেবাগুলো বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মের আওতায় এনে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশেও অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, এই সেবা চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাঁরা একটি মাত্র ফর্ম পূরণ করে ব্যবসা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অনুমোদন পেয়ে যাবেন এবং সেই প্রক্রিয়াটি অনলাইনে ট্র্যাক করতেও পারবেন।

            অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। তিনি বলেন, ওয়ান প্রসেস, ওয়ান ফি ধারণায় ব্যবসা শুরু করার এই ডিজিটাল ও সমন্বিত সেবা পদ্ধতি দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও কার্যকর ও বিনিয়োগবান্ধব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

             অনুষ্ঠানে বিডার মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায় ওয়ান প্রসেস, ওয়ান ফি ভিত্তিক সমন্বিত সেবা প্রদানের পদ্ধতি এবং ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য এর সম্ভাব্য সুফল বিষয়ে একটি উপস্থাপনা করেন।

#

প্রশান্ত/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/সুবর্ণা/আলী/শফিক/২০২৫/১৫০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর: ৩৬৬১

৩ জুন থেকে বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আগামী ৩ জুন থেকে বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) সংশ্লিষ্ট ডিপোতে গতকাল থেকে অ

2025-05-25-16-27-f1ef959a50ee9e6d734eeeaa517330af.docx