Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৪ মে ২০২৫

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩৫৬৩   

ই-কমার্সকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ করতে চাই

                                    - ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আমরা ই-কমার্স খাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। যেমন কেউ যদি গ্রাম থেকে তার বানানো পণ্য ঢাকায় ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে চান, এর মাঝখানের ভ্যালুচেইন এড করে আপনারা দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। আমারা এই রিভার্স চ্যানেলটা গ্রাম থেকে শহরে অথবা বিদেশে ছড়িয়ে দিয়ে অ্যাক্সেস টু কাস্টমার নিশ্চিত করতে চাই।

আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে ডাক অধিদপ্তর, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এবং ই-কমার্সের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিধিমালায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত যে শর্ত রয়েছে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণার পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে রেটিং প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। ই-কমার্স ব্যবসাকে শহর থেকে গ্রামে না গিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে ‘রিভার্স ই-কমার্স’ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

বিশেষ সহকারী আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে ই-কমার্স খাতে যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তাতে মানুষ এ সেক্টরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের সে আস্থা পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ই-কমার্সের বিস্তৃতি ঘটাতে ডাক বিভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করে যেন লাভবান হতে পারে সকলকে সে চেষ্টা করতে হবে। তিনি ডাকের অব্যবহৃত গাড়ির ইনভেন্টরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

পোস্ট অফিসে ওয়াইফাই সার্ভিস চালু, পোস্ট অফিসের ওয়্যার হাউজ ব্যবহার, অব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ায় পরিচালনা করা, বিধিমালায় ক্ষতিপূরণ প্রদানের যে শর্ত রয়েছে তা শিথিল করার বিষয়ে উদ্যোক্তারা বিশেষ সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া লাইসেন্সের স্তর কমিয়ে আনা ও লাইসেন্সের মেয়াদ দু’বছর থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধি করার বিষয়ে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো যেন ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে, পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে ডাক সেবার সময় বৃদ্ধি করা এবং আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটির সময় যেন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি চলতে পারে সে বিষয়েও তারা বিশেষ সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, ই- কমার্সের প্রতিনিধি এবং ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

জসীম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২২৩৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর: ৩৫৬২

বালু মহাল সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):

        মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আজ দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বালু মহাল সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

        সভায় নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়: অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকগণকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে সকল স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলিত হয় সেসকল স্থানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে; জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে জানাতে হবে; নতুন বালু মহাল ঘোষণার পূর্বে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ-সহ প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; দীর্ঘদিনের পুরানো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে প্রদত্ত বালু মহালের ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে পুনরায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে; ইজারাধীন বালুমহালের সীমানা ইজারাদারকে চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং চিহ্নিত এলাকার বাহিরে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; যেসব বালু মহাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক জেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; অবৈধভাবে উত্তোলিত জব্দকৃত বালু নিলামে না দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বালু মহালের ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক শর্ত ভঙ্গ হলে শুধু শ্রমিকদেরকে নয়, বরং ইজারাদারকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং জেলা পর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

#

মেহেদী/মাহমুদুল/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩৫৬১  

মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্টদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):   

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারী।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুটি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমাজে অনগ্রসর অংশকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে এবং শিশু ও নারীদের মাতৃসেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজে অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন-সহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে আরো পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শারমীন এস মুরশিদ ।

নেপালের রাষ্ট্রদূত দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

#

রফিকুল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৯১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩৫৬০

প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবে না

                                          -- পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবে না। তিনি বলেন, আমরা যদি প্রকৃতিকে ধ্বংস করে, বন কেটে, পাহাড় কেটে রেললাইন নির্মাণকে উন্নয়ন ভাবি, তাহলে আমরা ভুল পথে চলছি। এ ভুল পথ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

আজ ঢাকায় শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)'র সম্মেলন কক্ষে ‘Introduction to Financial Analysis and Investment Instruments for Climate Finance’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দ সহযোগিতা যতই আসুক, তা যথেষ্ট হবে না যদি আমরা প্রকৃতিকে সংরক্ষণ না করি, যদি আমরা অভিযোজন এবং প্রশমন উভয় ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ চুক্তি (UNFCCC) এবং প্যারিস চুক্তির অধীনে যেসব দেশগুলো আমাদের অর্থ দেওয়ার কথা, তারা এখন প্রকৃতিনির্ভর সমাধানের কথা বলছে অথচ প্রকৃত অর্থ বরাদ্দ করছে না। তারা বলছে, তোমরা নিজেদের প্রস্তুত করো, প্রকৃতি রক্ষা করো, যাতে দুর্যোগে টিকে থাকতে পারো। কিন্তু তারা নিজেদের দায় কমিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। এটি কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রকৃতি ও বন রক্ষার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, একটা সুবিধার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। যেখানে সিডা, এডিবি এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা সহায়তা করছে। আমরা ইতোমধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছি বলে তিনি জানান।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আজকের বাস্তবতায়, অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন না পেলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বরাদ্দের যে গ্লোবাল সমতা, তার কাছেও আমরা পৌঁছাতে পারিনি। বেশিরভাগ অর্থই যাচ্ছে প্রশমনে, যা উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব। ফলে আমরা একদিকে এমন সমস্যার ভুক্তভোগী, যা আমরা তৈরি করিনি, অন্যদিকে সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের ঋণ নিতে হচ্ছে। তাই জলবায়ু অর্থায়নের রাজনীতি এবং ন্যায়বিচারের রাজনীতি গভীরভাবে বোঝা দরকার। আমাদের পরিকল্পনা আরও স্মার্ট, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সংগত হতে হবে। এখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনেক কিছু হয়েছে, আরো অনেক কিছু হওয়া দরকার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন। ইআরডি'র অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। এসময় এডিবি, সিডা, জিআইজেড-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার এদেশীয় প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

#

মামুন/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৫/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                   নম্বর : ৩৫৫৯

জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করবে আইএমএফ

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):     

আইএমএফ চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।

এছাড়া, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

#

তৌহিদুল/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/মানসুরা/২০২৫/১৫১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ৩৫৫৮

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির সাথে আর. এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস্ প্রেসিডেন্টের বৈঠক

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):     

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস্ প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডি'র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকায় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আর. এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের এশিয়ার স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যাথরিন কুপার এবং আন্তর্জাতিক পরামর্শ ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলিটা ব্যায়েন্স উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সমৃদ্ধশালী, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্দেশ করবে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন। তিনি আরো বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারে। 

এ সময় আর. এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডি ঐকমত্য কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কমিশনের সাফল্য কামনা করেন। 

#

পবন/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/মানসুরা/২০২৫/১৫২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                        নম্বর : ৩৫৫৭

খাদ্য উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):     

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন বৈঠক করেন। এসময় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাসহ রাশিয়া থেকে গম আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যশস্য- বিশেষ করে গম ও সারের বড়ো একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে বর্তমানে গমের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং বাকী ৬০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে খাদ্য সচিব মোঃ মাসুদুল হাসান এবং ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের কাউন্সেলর Vladimir Mochalov উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমদাদ/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/মানসুরা/২০২৫/১১৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর: ৩৫৫৬

বায়ুদূষণ রোধে টাস্কফোর্স কমিটির ২য় সভা

ময়লা ও রাস্তা পরিষ্কারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে):

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বায়ুদূষণ রোধে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ও রাস্তা পরিষ্কারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সভায় বায়ুদূষণ রোধ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া, অনাবৃত স্থান দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশবান্ধব বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদন করা হবে। এক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণের জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরবরি কালচার, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন ও ডিএমপির প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি রাস্তার অনাবৃত স্থান ঘাস দ্বারা আচ্ছাদনের জন্য পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল বৃক্ষ পরিচর্যার জন্য যুব প্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটির সদস্যকে দায়িত্ব প্রদানের পাশাপাশি ভালো পরিচর্যাকারীকে বার্ষিক মুল্যায়ণের ভিত্তিতে প্রণোদনা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। 

ধূলিদূষণ রোধে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন দুই বা ততোধিক বার পানি ছিটানো হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ দূরীকরণে ঝাড়ু দেওয়া এবং কঠিন বর্জ্য পরিবহনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। বালু ট্রাকে উন্মুক্তভাবে পরিবহন না করে ব্যাগ বা বস্তায় ভরে পরিবহন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে রাস্তা ব্যতীত সরকারি সকল নির্মাণ কাজে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। বর্জ্য উন্মুক্তভাবে না পোড়ানো এবং নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক সচেতনতা ও ভূমিকা শীর্ষক একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং স্ক্র্যাপিং নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। মসজিদে জুম্মার খুতবার আগে পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বক্তব্য প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী ‍উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টাগণের উপস্থিতিতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

#

মাহবুবা/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/সুবর্ণা/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১০০০ ঘণ্টা

2025-05-14-16-49-55cd8020573cabbd66d541e37bc3ba34.docx