Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ August ২০১৯

তথ্যবিবরণী - 17/8/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩০৫৪

 

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

 

গোপালগঞ্জ, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :

 

          আজ সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ও মোনাজাতে অংশ নেন।

 

          সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোঃ নুরুল কবির, জেলা প্রশাসক সাইদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় ঢাকার পরিচালক মিনা মাসুদুজ্জামান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

          শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দুস্থ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।

 

          সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে বিধবা ভাতাভোগীর সংখা ১৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৭ লাখে, বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখা ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ লাখে ও প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।

 

          জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় সারা দেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্ত এতিমখানার নিবাসীরা মাসব্যাপী কোরান খতমের অংশ হিসেবে ১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৩১২ বার পবিত্র কোরান খতম করেন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৫০ হাজার বার পবিত্র কোরান খতম করা হবে এবং খতম শেষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আখেরী মোনাজাত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

 

#

 

জাকির/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩০৫৩

যে দলের চেয়ারপার্সনের জন্মতারিখ ঠিক নেই, সে দল কিভাবে এগুবে! - প্রশ্নœ তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :

            বিএনপি’কে তাদের চেয়ারপার্সনের জন্মের তারিখ ঠিক করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ প্রশ্ন রেখেছেন, ‘যে দলের চেয়ারপার্সনের জন্মতারিখ ঠিক নেই, সে দল কিভাবে এগুবে!’

            আজ দুপুরে ঢাকার তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার বিএনপি বেগম জিয়ার জন্মদিনের কেক ১৫ আগস্ট কাটেনি, জন্মদিন একই রেখে কেক কেটেছে পরদিন। জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিনের নামে কেককাটা উৎসবের কারণে তারা জনগণের যে ব্যাপক ঘৃণার সম্মুখীন হয়েছে, সেটিই এই পরিবর্তনের কারণ। আমি তাদের অনুরোধ করবো, আপনারা বিএনপিনেত্রীর জন্মদিনটি ঠিক করুন। যে দলের চেয়ারপার্সনের জন্মতারিখ ঠিক নেই, সে দল কিভাবে এগুবে!’

            ড. হাছান এ সময় বিএনপি মহাসচিবের ‘পাটশিল্প ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী’ এমন মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘মীর্জা ফখরুলের মিথ্যাচার গোয়েবলসকেও ছাড়িয়ে গেছে।  আদমজী জুট মিলস বন্ধ করেছিল বিএনপিই। দেশের পাটকলগুলোও ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দু’মেয়াদে খালেদা জিয়া ও বিএনপি বন্ধ করে দেয়। আর আওয়ামী লীগ সরকার পাটকলগুলো শুধু পুনরায় চালুই করেনি, শ্রমিকদেরকে এগুলোর  মালিকানারও অংশীদারিত্ব দেয়। ফখরুল সাহেবের মিথ্যাচারে কবরেও গোয়েবলস লজ্জা পাবে বলে মনে হয়’।

            ‘চামড়াশিল্প নিয়েও বিএনপির রাজনীতি করার অপচেষ্টা সফল হয়নি’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ  বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে চামড়া রপ্তানি ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে সবমিলে ২ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। দেশে গত দশ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পশু কোরবানি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, আগের ৩০-৪০ লাখ পশুর জায়গায় এখন প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়। সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেনি, যদিও অনেক চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা  বেড়েছে, কিন্তু পরিবেশবান্ধবতা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতায় বেশকিছু ট্যানারি বন্ধও হয়ে গেছে। এবারের ঈদে এ অবস্থারই সুযোগ নিতে চেয়েছিল কিছু মুনাফালোভীরা। সে কারণেই চামড়ার দরপতন হয়। আর বিএনপি চেয়েছিল এটা নিয়ে অপরাজনীতি করতে। কিন্তু তারা সফল হয়নি, সরকার সিন্ডিকেটের বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করছে।'

            ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি  বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি  জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা কখনো স্বাধীন ছিলাম না। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি প্রথম একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে বাঙালি নিজে নিজেদের শাসন করার অধিকার অর্জন করে। তার আগ পর্যন্ত বাঙালি সবসময় পরের দ্বারা শাসিত হয়েছে। সিরাজুদৌলার জন্য আমরা সবসময় গর্ব করি। তিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বটে। কিন্তু তার অন্দরমহলের ভাষা বাংলা ছিল না। তিনি বাঙালি ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই প্রকৃতপক্ষে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে। এ ঐতিহাসিক সত্যকে বুকে ধারণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’

            মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পূর্ণ হয়নি কারণ, পলাতক খুনি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলব ও সর্বোপরি সেই হত্যার পটভূমি তৈরিকারকদের বিচার এখনো হয়নি। এজন্য একটি কমিশন গঠন করে বিচার সম্পন্ন করা উচিত, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হয়ে থাকবে।'

            মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক ও ডিবিসি ২৪ টিভি চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রফিকুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল, কুদ্দুস আফ্রাদ, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, ওমর ফারুক, মোজাম্মেল হক  প্রমুখ সভায় তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন।

#

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩০৫২

 

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি

                                         -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :

 

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি। বাংলাদেশ স্কাউটের কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। কাজেই স্কাউটদের এ কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বসতবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি ড্রেন, লেক, খাল প্রভৃতিও পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বায়ু দূষণ ও নদী দূষণের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে।

 

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় স্কাউট ভবনের শামস্ হলে ‘পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ নির্মাণে ডেঙ্গু সচেতনতাসহ অন্যান্য দুর্যোগকালীন উত্তম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৯টি সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          বহুপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরকারী ৯টি সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয় হলো - বাংলাদেশ স্কাউটস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর, এটুআই, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে।

 

          বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ইউসুফ হারুন, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

          চুক্তি স্বাক্ষরের পর মন্ত্রী ‘স্টপ ডেঙ্গু’ নামে একটি বিশেষায়িত অ্যাপের উদ্বোধন করেন। ই-ক্যাব বাংলাদেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অ্যাপটি তৈরিতে কারগরি সহায়তা প্রদান করে ই-পোস্ট ও বিডি ইয়ুথ। ‘স্টপ ডেঙ্গু’ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশের মশার প্রজনন স্থানের ম্যাপিং করা হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাসমূহ যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে। 

#

 

হাসান/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩০৫১

সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য কোনো সতর্ক সংকেত নেই

নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :

          দেশের সমূদ্র বন্দরসমূহের জন্য কোনো সতর্ক সংকেত নেই। ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিঃমিঃ বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের বেলা ৩ টা ৩০ মিনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ এ তথ্য পাওয়া গেছে।

          রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে । সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

          ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং গঙ্গা-পদ্মা স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় এবং গাঙ্গীয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, মনু, খোয়াই, ও জাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র–যমুনা নদ- নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

          বিগত ২৪ ঘণ্টায় পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে ৪৯টি স্থানে ও সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১টি স্থানে।

          সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বন্যাদুর্গত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৮৫০ মে. টন চাল, ৫ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।

#

কাদের/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৭৩৮ ঘণ্টা             

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৩০৫০

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) : 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে সর্বমোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি  রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৭৬ জন। তার মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৪৩ হাজার ৫৮০ জন। আর এ যাবত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৪০ জন।  

          বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গুরোগী আছেন ৭ হাজার ৮৫৬ জন, যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ হাজার ৪৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৩ হাজার ৮১৩ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন ১ হাজার ৪৬০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকা শহরে ৬২১ জন এবং অন্যান্য বিভাগসমূহে ৮৩৯ জন।

#

আয়শা/অনসূয়া/রবি/শামীম/২০১৯/১৫৫৪ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৩০৪৯

ট্যানারি শিল্পনগরীর সিইটিপি সম্পূর্ণ চালু রয়েছে

                                           -শিল্প সচিব

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :  

          শিল্প সচিব মোঃ আব্দুল হালিম বলেছেন, সাভার ট্যানারি শিল্পনগরীর সিইটিপি সম্পূর্ণ চালু রয়েছে। কোরবানির সময় ট্যানারিগুলো সারা বছরের সরবরাহের অর্ধেক চামড়া সংগ্রহ করে। তাই আগামী দু'-তিন মাস এই শিল্প নগরী ট্যানারিগুলো পূর্ণ গতিতে  চলবে। পিক সিজনে উৎপাদিত চামড়ার আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার স্বার্থে সব ট্যানারিকে একসঙ্গে কাজ না করে নিজেদের মধ্যে সময় নির্ধারন করে কাজ করার আহ্বান জানান সচিব।

          শিল্প সচিব আজ সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে চামড়া শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সভায় বিসিকের চেয়ারম্যান মোশ্তাক হাসান, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জিতেন্দ্রনাথ পাল, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিলজাহান ভূঁইয়া ও  উপদেষ্টা এম এ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।

          তিনি আরো বলেন, চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার ফলে কিছু কিছু স্থানে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া নষ্ট করে ফেলেছেন।  এটি সমগ্র দেশের চিত্র নয়। অন্যান্য স্থানের চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।  এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানদণ্ডে মোট ১ হাজার ৩৬২ টি পয়েন্ট রয়েছে। এরমধ্যে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্টের জন্য ২০০ পয়েন্ট। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সার্টিফিকেট অর্জনে অবশিষ্ট পয়েন্টগুলোর প্রতি মনোযোগী হবার আহ্বান জানান সচিব। 

          বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সাভার ট্যানারি শিল্প নগরী ভালোভাবে কাজ করছে। শিল্প নগরীর সিইটিপি'র চারটি ইউনিটই যথাযথভাবে কাজ করছে। শীঘ্রই লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানদন্ড অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  চামড়ার গুণগত মান ভালো থাকলে  সরকার নির্ধারিত মূল্যে  ট্যানারিগুলো চামড়া ক্রয় করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          সভায় বিসিকের চেয়ারম্যান বলেন, সিইটিপি সম্পূর্ণ অটোমেটেড হবে। দূর থেকে এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে। ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য খুব শীঘ্রই অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩টি ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। ত্রুটিযুক্ত এ ধরনের ট্যানারিগুলো শনাক্ত করে সেগুলোকে নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়। ট্যানারিগুলো যাতে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলে সেজন্য মালিকদের পক্ষ থেকে তদারকির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়।

       #

মাসুম/অনসূয়া/রবি/শামীম/২০১৯/১৬২৪ ঘণ্টা 

Todays handout (4).docx