তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৯০
পরিসংখ্যান বিভাগকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে
---পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ কার্তিক ( ২৭ অক্টোবর) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কোনো কিছুর পরিসংখ্যান নিখুঁতভাবে করতে হবে। পরিসংখ্যান বিভাগকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের সকল পরিকল্পনার ভিত্তি হবে পরিসংখ্যান।
মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটরিয়ামে কৃষি শুমারি-২০১৯ এর প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যের বিভিন্ন সমালোচনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, কৃষি শুমারির মতো এত বড় মহাযজ্ঞ একেবারে নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হয় না । তবে সংশোধনের বিষয় থাকলে সংশোধন করে নেয়া হবে । প্রতিটি তথ্য যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে করা হবে । তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বর্তমানে বিবিএসের তথ্য ব্যবহার করছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব রইছউল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এবং বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ৷
#
শাহেদ/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৯
খাদ্যে ভেজাল রোধে বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালিত হচ্ছে
---খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ কার্তিক ( ২৭ অক্টোবর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ঢাকা-সহ সারা দেশে বাজার মনিটরিং ও অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে জরিমানা ও দণ্ড প্রদান করা হচ্ছে। খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল প্রদান করে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘খাদ্য নিরাপত্তায় সুশাসন ও বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পণ্যের সঠিক মান, মূল্য তালিকা, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে পণ্য ক্রয় করাও ভোক্তার দায়িত্ব। মন্ত্রী খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারের সাথে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার-সহ সর্বস্তরের জনগণকে একযোগে কাজ কাজ করার আহ্বান জানান।
ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান, ডিএনসিআরপি এর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, ডিএফআইডি, বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।
#
সুমন/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯৪০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৮
দল থেকে অনুপ্রবেশকারী উইপোকা ও ছারপোকাদের বের করতে হবে
---তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১১ কার্তিক ( ২৭ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী উইপোকা ও ছারপোকা ঢুকেছে, তাদেরকে বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল না আওয়ামী লীগ। বুকে পাথর বেঁধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তখন সংগঠন দুর্বল ছিল না, শক্তিশালী ছিল। সেই শক্তির উপর ভর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সেই পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে। আমাদের সেই পোড় খাওয়া নেতৃত্বের আদলে এখন নেতাকর্মী দরকার। কোন্ চেতনার ভিত্তিতে দেশ রচনা হয়েছে এবং বাঙালি না বাংলাদেশি নিয়ে যাদের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে, বা ২১ বছর যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলাম না তখন আমাদের ওপর যারা অত্যাচার করেছে বা পেট্রোল বোমা মারার সাথে যুক্ত ছিল, তাদেরকে সংগঠনে দরকার নাই, তাদেরকে দল থেকে বের করতে হবে।’
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের কিং অভ্ চিটাগাং হলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় ৬ সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অপর বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমূখ। প্রতিনিধি সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে কোনো কোনো এলাকায় আলস্য দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সুসময় সবসময় থাকবে এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। যেকোন পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ‘৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন কেউ ভাবেনি আমাদের দলে এই ধরণের একটি দুর্যোগ বয়ে আসবে। পেট্রোলবোমা বাহিনী, স্বাধীনতার বিরোধী চক্র, যারা আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় চান না তারা বসে নাই। সুতরাং তাদের আজকের ষড়যন্ত্রের নতুন সংস্করণ হচ্ছে আমাদের সংগঠনের মধ্যে উইপোকা-ছারপোকা ঢুকিয়ে দিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। এই ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে ।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুগে যুগে যখন আওয়ামী লীগের দুঃসময় এসেছে তখন অনেক নেতা ভোল পাল্টে মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে সরে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সাথে আপস ও আঁতাত করেছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কারো সাথে আপস ও আঁতাত করেনি। আজ এখানে যারা আছেন, তারাই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রাণ। তৃণমূলের কারণেই ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে আওয়ামী লীগ ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের যখন দুঃসময়, ক্ষমতাসীনদের সাথে আপস করে দলকে বিভক্ত করা হলো, তখন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ ই মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বিধ্বস্ত আওয়ামী লীগকে তিনি মায়ের মমতা-স্নেহে লালন করেছেন। তার নেতৃত্বে দল আজ চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি, প্রতিনিয়ত সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য দিন-রাত্রি পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।’
‘পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চান’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে, সেই সম্মেলনকে সামনে রেখে দলকে পরিষ্কার করার কাজে আমরা হাত দিয়েছি। দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে বিভিন্ন স্তরে অনেক অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদী ঢুকেছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, সম্মেলনকে সামনে রেখে তাদেরকে পদ-পদবী থেকে বাদ দিতে হবে, সংগঠনকে পরিষ্কার করতে হবে, সুবিধাবাদী মুক্ত করতে হবে।’
#
আকরাম/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৭
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
---ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ কার্তিক ( ২৭ অক্টোবর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, নিকট অতীতে বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্প মোকাবিলা করেনি। তাই ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের করণীয় বিষয়ে সম্যক ধারণা এবং অধিকতর সচেতন থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় আর্মি গলফ্ ক্লাবে Disaster Response Exercise & Exchange Bangladesh 2019 (প্রশিক্ষণ) বিষয়ক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামাল ।
এবারের মূল প্রতিপাদ্য Resilience Through Preparedness কে সামনে রেখে DREE Bangladesh 2019 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ৫৪টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধি, ৭৬টি জিও, আইএনজিও ও এনজিও প্রতিনিধি, ২০টি দেশের শতাধিক প্রতিনিধি এবং ইউএন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি-সহ ৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন ।
#
সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৬
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই
---কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষক, কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীদের মেধা, শ্রম ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশে কৃষিজ উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে সর্বশেষ এবং সর্বোত্তম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে আধুনিক জীবপ্রযুক্তি তথা জিএম প্রযুক্তির ব্যবহার শ্রেয়। খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার্থে জিএম প্রযুক্তির মতো উন্নত প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং সেই জ্ঞানের সুচিন্তিত, সুনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জিএমও ক্রপস: পলিসি অ্যান্ড প্র্যাক্টিস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোবেল বিজয়ী স্যার রিচার্ড জে রবার্টস।
জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম বা জিএমও) শস্য উৎপাদন করলে প্রচুর ফলন পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার রিচার্ড জন রবার্টস। তিনি বলেন, জিএমও শস্যের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেশি। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ, সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অভ্ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স এর পরিচালক প্রফেসর তৌফিক এম হক। সমাপনী বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আতিকুল ইসলাম।
#
গিয়াস/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮১৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৫
শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১১ কার্তিক ( ২৭ অক্টোবর) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে । প্রতিমন্ত্রী এ সময় নিজেকে শিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিল আয়োজিত নবীন বরণ ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগে তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর জন্য একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা সিটি কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে গভর্নিং বডির সদস্য এডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান খান, প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডঃ মশিউর রহমান।
#
শিবলী/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৪
সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ূন কবিরের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিরের মৃত্যুতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, তিনি রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
#
রেজাউল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৯/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৮৩
বাংলাদেশি দূতাবাসে হস্ত ও কারুপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও
বিমানবন্দরসমূহে হস্তশিল্প কর্ণার চালু করা হবে
- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ কার্তিক (২৭ অক্টোবর) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি হস্ত ও কারুপণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও রপ্তানির সুযোগ এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসে হস্ত ও কারুপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে হস্তশিল্প কর্ণার চালু করা হবে। বছরব্যাপী জামদানি, তাঁত, বস্ত্র, হস্ত ও কারুপণ্যের প্রদর্শনীর জন্য রাজধানীতে একটি স্থায়ী ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপন করা হবে।
গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভাল ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অভ্ ফ্যাশন ডিজাইনার্স অভ্ বাংলাদেশ (এএফডিবি) যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে।
মন্ত্রী অর্থায়ন ও পণ্যের বিপণনকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ ও বাজার সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে আলোচনা করে শিল্প মন্ত্রণালয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি হস্ত ও কারুশিল্প উদ্যোক্তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম, সংস্কৃতি সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএফডিবি এর প্রেসিডেন্ট মানতাশা আহমেদ।
উল্লেখ্য, বাঙালি সংস্কৃতির শেকড় ও জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই চার দিনব্যাপী এ উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে ৪৫টি স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের তাঁত, বস্ত্র, চারু ও কারুপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
#
জলিল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/আসমা/২০১৯/১১৩০ ঘণ্টা