Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৫ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ৩৫৭৪

বৈষম্য ঘুচিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার

                                                  --- ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

            ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বৈষম্য ঘুচিয়ে নারী ও গ্রামের মানুষদের এগিয়ে নিতে ইন্টারনেট ও ডিভাইস অ্যাক্সেস বাড়ানোর জন্য কাজ করছে সরকার। মুঠোফোনে ব্যক্তি নিজেই যেন সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যেও কাজ চলছে।

            বিশেষ সহকারী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

            বিশেষ সহকারী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১০ নম্বর লক্ষ্য অসমতার হ্রাস যা আমাদের এবারের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তার মধ্যে নারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম। একই সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও নারীদের সংখ্যা কম। অর্থাৎ ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এবং এ সংক্রান্ত যে সূচকগুলো রয়েছে সেগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ এবং অ্যাক্সেস টু ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং এক্সেস টু ডিজিটাল সার্ভিসেস দুটো ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ কম। আমাদের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, তাই তাদের এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে। আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা নিয়ে অংশীজনদের কাছে পৌঁছাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

            ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, আগে বাজেটে অযথা মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিয়ে মুখরোচক প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হতো। বর্তমান সরকার সেই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে। এবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি কার্যালয়েই সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য। এবারের আয়োজনে বেশ কিছু ব্যতিক্রম কার্যক্রম রেখেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গত এক বছরে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা কৃতি সন্তানদের সম্মাননা দেওয়া। এর পাশাপাশি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিযোগী তাদের আইডিয়াগুলো উপস্থাপন করেছে।

            প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মুখোরোচক প্রকল্প না বাড়িয়ে এবং সরকারি ব্যয় কমিয়ে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেই জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

            আইসিটির বাজেট নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার বাজেট কম হবে।

#

জসীম/মাহমুদুল/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২২০০ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 3573

 

Government bans plantation, collection, and sale of eucalyptus

and acacia auriculiformis (akashmoni) saplings

 

Dhaka, 15 May:

 

To protect the environment, ecosystems, and biodiversity, the government has banned the plantation, collection, and sale of eucalyptus and akashmoni saplings. The Forest-1 Wing of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change issued an official notification today announcing the ban.

 

According to the directive, in line with national and international commitments, all government, non-government organizations, and individuals must now replace these invasive species in afforestation programs with native fruit-bearing, timber, and medicinal plants.

 

It is to be noted that these invasive species absorb excessive amounts of groundwater, which depletes soil moisture and severely affects dry and seasonal climate zones. The leaves of these trees contain toxins that fall to the ground, rendering the surrounding soil infertile and unsuitable for other plant species. Moreover, these trees pose a threat to local biodiversity, as many native plants, insects, and birds cannot find shelter or food in them.

 

The Ministry urges all organizations and citizens to promote and participate in the plantation of native species to protect the environment and conserve biodiversity.

 

#


Dipankar/Mahmudul/Rana/Rafiqul/Salim/2025/19.30 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩৫৭২

 

ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

 

পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন- ১ অধিশাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এখন থেকে উক্ত আগ্রাসী প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করতে হবে।

 

উল্লেখ্য, উক্ত প্রজাতির গাছ মাটি থেকে অত্যধিক পানি শোষণ করে, ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং শুষ্ক বা মৌসুমী জলবায়ু যুক্ত এলাকায় এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। এই গাছের পাতায় থাকা টক্সিন গোড়ায় পড়ে মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে, যার ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। এগুলোর চারপাশে অন্য কোনো গাছ সহজে জন্মাতে পারে না। এটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি, কারণ বহু দেশীয় গাছ, পোকামাকড় ও পাখি এই গাছে বাসা বাঁধে না বা খাদ্য খুঁজে পায় না।

 

তাই পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সকল সংস্থা ও নাগরিককে দেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

#

 

দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৯২৫ ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 3571

 

British High Commissioner meets Information Adviser


Dhaka, 15 May:

 

British High Commissioner to Bangladesh Sarah Cooke met with Information and Broadcasting Adviser to the Interim Government Md. Mahfuj Alam. The meeting was held today at the Ministry of Information and Broadcasting in Dhaka.

 

Several issues of mutual interest between the two countries were discussed during the meeting. At this time, the Adviser said that several reform initiatives have been taken as per the recommendations of the Media Reform Commission. The issue of formulating an ordinance related to the responsibilities and protection of journalists is also being considered. Highlighting the activities of the Ministry of Information and Broadcasting in disseminating information about the events of the July Uprising, he said that several documentaries have been made on the July Uprising at the initiative of the ministry and they are being disseminated in the media. In addition, several publications have also been made on the July Uprising. During the meeting, the adviser also said that the ministry will produce some more documentaries and publications to mark the 5th of August.

 

Regarding media freedom, the adviser said that the government is not interfering in the country's media. The current interim government is working to establish media freedom.

 

During the meeting, British High Commissioner said that Bangladesh has improved in the World Press Freedom Index this year. She thanked the Bangladesh government for this success. The High Commissioner shared her experience on the freedom and responsibility of the British media. During this time, she expressed her interest in working together for the development of the media in Bangladesh.

 

Second Secretary of the British High Commission Ellie Boot was present during the meeting.

 

#


Mamun/Mahmudul/Rana/Rafiqul/Salim/2025/19.40 Hrs.

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩৫৭০

 

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আজ বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সাক্ষাৎকালে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, দেশের গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। এ সময় উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের বিষয়ও বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ওপর বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর কয়েকটি প্রকাশনাও তৈরি করা হয়েছে। এ সময় তিনি আরো জানান, আগামী ৫ই আগস্ট উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো কিছু প্রামাণ্যচিত্র ও প্রকাশনা তৈরি করা হবে।

 

সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, এ বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। এ সাফল্যের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়ে হাইকমিশনার তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

এ সময় দু’দেশের মধ্যকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি এলি বুট উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মামুন/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩৫৬৯

 

দূষণ রোধে বিশেষ অভিযানে ২৫ কোটি টাকার বেশি জরিমানা এবং প্রায় ২ লাখ কেজি পলিথিন জব্দ

 

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে গত ২ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত  মোট ৯১৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, বায়ুদূষণকারী স্টিল মিল, শব্দ দূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সিসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা ও খোলা জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই সময়ে ২ হাজার ১৩৬টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৬ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

 

এই অভিযানে ৪৭১টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে ফেলা হয় এবং কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটাকে বন্ধ করতে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৩০টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ১ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৮টি ট্রাকে থাকা সিসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয় এবং কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

এছাড়া, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৩৯৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৭৩৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৫৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায়-সহ আনুমানিক ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৫ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়।

 

অপরদিকে, আজ বায়ু দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০২২ অনুসারে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদনের মাধ্যমে বায়ুদূষণের দায়ে ঢাকার আদাবর ও মোহাম্মদপুরসহ রাজবাড়ী ও ঝালকাঠি জেলায় ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ২ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

 

একই দিনে ফরিদপুর জেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় এবং ২টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কালো ধোঁয়া নির্গমনের অভিযোগে ঢাকার মিরপুর-১ এলাকায় ১টি মোবাইল কোর্ট ৪টি মামলায় ১১ হাজার টাকা জরিমানা করে।

 

এছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে গাজীপুর জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অপরাধে ১টি মোবাইল কোর্ট ৯টি মামলা করে এবং ৩৫ কেজি পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিক-সহ সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক দূষণবিরোধী এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

#

 

দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/১৮৫০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 3568


Department of Environment Continues Mobile Court and Anti-Pollution Drives
 

Dhaka, 15 May:

 

Under the initiative of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, the Department of Environment (DoE) conducted a total of 919 mobile court drives across the country between 2 January and 15 May 2025. These drives targeted vehicles emitting black smoke, illegal brick kilns, air-polluting steel mills, noise pollution, hazardous waste disposal, illegal lead/battery recycling plants, wetland encroachment, tyre pyrolysis units, charcoal factories, and the open storage of construction materials contributing to air pollution.

 

During this period, 2,136 cases were filed, resulting in the collection of fines amounting to Tk 25,06,93,200 (Twenty-five crore six lakh ninety-three thousand two hundred taka). As part of the operations, 471 brick kilns had their chimneys demolished and were fully shut down, 216 kilns were ordered to cease operations, and raw bricks from 130 kilns were destroyed. Additionally, utility and power connections were cut off from 4 establishments, 1 individual was sentenced to one month of simple imprisonment, and 8 truckloads of lead/battery melting equipment were seized from 6 factories. Those factories were shut down.

 

Moreover, from 3 November 2024 to date, 396 mobile courts were conducted across Bangladesh against the production, sale, distribution, and marketing of banned polythene. A total of Tk 59,83,300 in fines was collected from 738 establishments, and approximately 1,96,515 kg of illegal polythene was seized.

 

Separately, on 15 May 2025, 4 mobile courts were conducted in Adabor and Mohammadpur areas of Dhaka, as well as in Rajbari and Jhalokathi districts, under the Air Pollution (Control) Rules 2022. These drives targeted air pollution from coal production by burning wood, resulting in 4 cases and the collection of Tk 2,22,000 in fines.

 

On the same day, one mobile court in Faridpur targeted illegal brick kilns, filing two cases and collecting Tk 2,00,000 in fines. In Mirpur-1 area of Dhaka, one mobile court fined Tk 11,000 through four cases related to black smoke emission.

 

Furthermore, in Gazipur, one mobile court filed nine cases for violations of Section 6(Kha) of the Bangladesh Environment Conservation Act, 1995 (Amended 2010), for the illegal production, sale, and distribution of banned polythene. A total of 35 kg of polythene was seized. During the drive, awareness messages were also delivered to various super shops, shop owners, and the public.

 

The Department of Environment will continue such anti-pollution drives in the future. Public awareness and cooperation are essential for protecting the environment.

 

#


Dipankar/Mahmudul/Rana/Rafiqul/Salim/2025/19.30 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৬৭

কওমি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে  রাজশাহী-সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আম পৌঁছাবে ডাক বিভাগ

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

          রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও সাতক্ষীরার বিখ্যাত আম এবার ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাবে সরাসরি চাষিদের হাত থেকে। ডাক বিভাগের বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক এবং পরিবহন ও সেবা কাঠামো ব্যবহার করে কওমি তরুণ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার কেজি আম ঢাকার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

          আজ আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

          ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে আমরা সংস্কারের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই সংস্কার কার্যক্রমের একটি অংশ হচ্ছে সাপ্লাই চেইনগুলোকে সচল করা। ডাক বিভাগের বিদ্যমান অবকাঠামোগুলোকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কিভাবে উপকৃত হতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি। যেহেতু ডাক বিভাগ অত্যন্ত প্রাচীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে  শাখা রয়েছে তাই আমরা মনে করি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ডাক বিভাগের বিদ্যমান সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারবে। অন্যথায় তাদের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর এ কাজটি কঠিন হবে।

          এই কার্যক্রমের নেতৃত্বে রয়েছেন কওমি উদ্যোক্তারা যারা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষিত তরুণদের জন্য তৈরি করা একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু করেছেন। ইসলামি আদর্শ ও নৈতিকতার আলোকে গড়ে ওঠা এই কমিউনিটির লক্ষ্য হালাল উপার্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা অর্জন, প্রযুক্তি ও দক্ষতা শেখানো এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বরকতময় ব্যবসায়িক মানসিকতা গড়ে তোলা।

          বর্তমানে তাদের কমিউনিটিতে যুক্ত আছেন ৮০ হাজারেরও বেশি কওমি তরুণ উদ্যোক্তা, যারা ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন বিজনেস, ই-কমার্স, কৃষি ও উৎপাদন খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ছেন।

          বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এই প্রকল্পের পরিবহন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ডাক বিভাগের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহীত আম প্রতিদিন ঢাকার প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে, যা ভোক্তাদের জন্য নিশ্চিত করবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

          উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই প্রকল্প শুধু একটি মৌসুমি কার্যক্রম নয়, বরং এটি একটি টেকসই কৃষিপণ্য বিপণন মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যা আগামীতে অন্যান্য ফল, কৃষিপণ্য ও আঞ্চলিক উৎপাদনের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে।

          এই উদ্যোগের আওতায় প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার কেজি আম ঢাকায় পরিবহন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ডাক বিভাগের বিশ্বস্ত লজিস্টিক নেটওয়ার্কের ওপর আস্থা রেখে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে  সুলভে পরিবহন সুবিধা পাচ্ছেন উদ্যোক্তা ও চাষিরা; ভোক্তামূল্য পর্যায়ে যার সুফল সরাসরি গ্রাহকরাও উপভোগ করবেন।

          এই উদ্যোগের সেবা গ্রহণ করতে যেকোনো নাগরিক কওমি উদ্যোক্তা নামক ফেসবুক গ্রুপ বা এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত বিক্রেতাদের ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করে অর্ডার করতে পারবেন।

#

জসীম/মাহমুদুল/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৮০০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                Number: 3566

The 6th round of Bangladesh-Japan Foreign Office

Consultations (FOC) held in Tokyo

Tokyo, 15 May :

The 6th round of Bangladesh-Japan Foreign Office Consultations (FOC) is held today in Tokyo. The Bangladesh side was led by Ambassador Dr. Md. Nazrul Islam, Secretary (East) of the Ministry of Foreign Affairs while the Japanese side was led by Mr. AKAHORI Takeshi, Senior Deputy Minister for Foreign Affairs of Japan.

The Consultation was held in a very warm and friendly atmosphere where both sides had very productive, fruitful and wide-ranging discussion. The meeting touched upon political, economic and sectoral cooperation issues along with trade and investment, people-to-people connectivity and cultural exchanges, Forcibly Displaced Myanmar Nationals (The Rohingyas), security cooperation, and regional and global issues.

Both sides reviewed the progress made since the 5th round of Consultations held in June 2024 in Dhaka and outlined future area of cooperation and Hon’ble Chief Adviser’s upcoming visit to Japan. During the meeting, both sides also discussed on human resource cooperation, joint crediting mechanism in energy transition, climate change, disaster and earthquake management and cooperation in Effluent Treatment Plant (ETP), Treatment Storage and Disposal Facility (TSDF) and solar power plants along with mechanization of agriculture and modernization of shipyards.

During the meeting, the Japanese side reiterated its firm support to the interim government and its reform initiatives, and said that it would continue its support for the socio-economic development of Bangladesh.  

Both sides agreed to deepen political trust, prioritize development strategies and fully realized ‘Strategic Partnership’. Japan took positive note on Bangladesh’s request to continue Duty-Free Quota-Free (DFQF) access for Bangladeshi products during the post-LDC graduation period and would work for the market access of Bangladeshi products including fruits and vegetables. 

Under the Bay of Bengal Initiatives (Big-B), the Japanese side said that Japan would engage with Bangladesh more robustly for ensuring the high-quality infrastructure development projects and would also encourage Japanese manufacturing plants and production houses to extend their production and industrial value chain to Bangladesh. Under the new plan for Free and Open Indo Pacific and Big-B initiatives, Japan wants to see the sustainable development of the region.

Bangladesh also sought Japan’s support for more ODA concessional loan, extension of loan repayment period and for budgetary support.

Appreciating Bangladesh’s role in giving shelter to the Rohingyas, the Japanese side said that Japan would continue their efforts for the early repatriation of the Forcibly Displaced Myanmar Nationals (the Rohingyas) to their motherland in Myanmar and would continue its humanitarian assistance to the Rohingyas. 

The Both sides also discussed key regional and global developments and reaffirmed their commitment to strengthen cooperation on various multilateral issues of mutual interests. The Foreign Office Consultations ended with a vision to fully use and integrate the resources, strategic locations and competencies to ensure development of the peoples of both countries.

The Secretary (East) thanked the Japanese Senior Vice-Minister for extending warm welcome and gracious hospitality.

#

Imranul/Tohidul/Fatema/Mitu/Masum/2025/1640 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর: ৩৫৬৫

টোকিওতে বাংলাদেশ-জাপান ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠিত

টোকিও, ১৫ মে:

বাংলাদেশ-জাপান ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আজ টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় দু’দেশের নেতৃত্ব দেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনিয়র উপমন্ত্রী আকাহোরি তাকেশি।

সভায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন খাতভিত্তিক সহযোগিতা বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতা, এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুসহ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাপান সফর নিয়েও আলোচনা হয়। এসময় ২০২৪ সালের জুন মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম পরামর্শ সভার গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় মানবসম্পদ ও জ্বালানি বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ও ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা, ইটিপি, ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ অ্যাণ্ড ডিসপোজাল ফেসিলিটি, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতাসহ কৃষির যান্ত্রিকীকরণ এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পের আধুনিকীকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

জাপান অন্তর্বতী সরকার এবং সংস্কার উদ্যোগের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পূর্নব্যক্ত করে।

উভয়পক্ষ বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে এবং ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়। জাপান বাংলাদেশি পণ্যের জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে এবং ফল ও সবজিসহ জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের জন্য কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

এছাড়া, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের (বিগ-বি) আওতায় জাপান বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আরো জোরালোভাবে যুক্ত হবে এবং জাপানি উৎপাদনকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য উৎসাহিত করবে। জাপান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিগ-বি উদ্যোগের আওতায় এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন দেখতে আগ্রহী।

বৈঠকে বাংলাদেশ ওডিএ কনসেশনাল লোন, বাজেট সহযোগিতা ও ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য জাপানের সমর্থন চেয়েছে ।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জাপান নিশ্চিত করেছে।

#

ইমরানুল/তৌহিদ/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/আলী/মাসুম/২০২৫/১৫৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর: ৩৫৬৪

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন

           -অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ১ জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে):

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে ধারণ করে। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন। 

ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের পাশাপাশি প্রত্যাশাও প্রকাশিত হয়েছে। বারবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হোক তা দেশের জনগণ চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকলের সমানাধিকার থাকবে, নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।

কমিশনের সহ-সভাপতি আরো বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে কমিশন। এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে দলটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব ও রাহাত আহম্মেদ আলোচনায় অংশ নেন।

#

পবন/তৌহিদ/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/সাঈদা/আলী/মাসুম/২০২৫/১২১৭ ঘণ্টা

2025-05-15-16-02-e7d09ee3a5cfb892a917a83a4a2791cd.docx