Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুলাই ২০১৯

তথ্যবিবরণী -11/7/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫০৭                                 
 ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংককে সহযোগিতার আহ্বান 
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বিনিয়োগ প্রবাহ ও অর্থ সংস্থানে বিশ্বব্যাংককে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক পরিচালক জন রমি ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিকে তিনি এই আহ্বান জানান। 
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তা মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
  প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডেল্টা প্লান দীর্ঘ সময় ধরে অনেকগুলো কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সম্পর্কিত, তাই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতাও মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য ডেল্টা প্লানের লক্ষ্য অর্জনে সরকার বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে অধিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।
  আলোচনায় পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ডেল্টা প্লানের লক্ষ্যসমূহ তুলে ধরে বিশ্বব্যাংককে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
  প্রতিনিধি দলের প্রধান জন রমি ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের জোর সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটি বাস্তবায়নে একটি কোর গ্রুপ গঠন এবং এর মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুতির ওপর তিনি আলোকপাত করেন। 
জন রমির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে প্রোগ্রাম লিডার সঞ্জয় শ্রীবাস্তাবা, সিনিয়র ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট স্বর্ণা কাজী এবং সিনিয়র ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট এ টি এম খালেকুজ্জামান এবং প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন দলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব নূর আলম  প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। 
#
 
নাছের/মাহমুদ/ইসরাত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২২১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৫০৬                                          
বাংলাদেশ এখন ল্যাপটপ রপ্তানি করার জায়গায় পৌঁছেছে
                                        ---মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ল্যাপটপের মতো পণ্য শুধু তৈরিই করছে না বরং রপ্তানি করার মতো জায়গায় পৌঁছেছে।   
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের ইসেট ল্যাপটপ মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, যে কোম্পানিই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার তৈরি করুক তাদেরকে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের উপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সবাই ব্যবহার করতে না পারলে যত নামিদামি প্রতিষ্ঠানই হোক বাজার ধরতে পারবে না। 
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশে কম্পিউটার নিয়ে মেলা করতে হয়েছে মানুষকে এর সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য। কিন্তু এখন মানুষ নতুন আরো কি প্রযুক্তি আসলো তা দেখতে মেলায় আসে। তিনি বলেন, এখন ম্যাকবুক বা আইফোন তৈরি হয় চীনে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক পণ্যই তৈরি হচ্ছে ভিয়েতনামে। তাই আমরাও ব্র্যান্ডগুলোকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশেও তারা পণ্য তৈরি করুক।
 
মেলাটি সকাল ১০টার সময় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বিকেলে।
 
এক্সপো মেকারের আয়োজনে ২১তম এই ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইসেটের পরিবেশক স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আল রাকিব এবং ডেল, এইচপি, লেনোভো, আসুসের প্রতিনিধি। এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।  
 
পরে মন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
 
তিন দিনের ল্যাপটপ মেলাটি চলবে শনিবার পর্যন্ত।
#
 
শেফায়েত/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫০৫                                   
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ
পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স¦াক্ষর
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর উপস্থিতিতে আজ বনানীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নকশা রিভিউ এবং নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ঞবপহরপধ ণ চৎড়ুবপঃড়ং ঝ.অ, (ঞণচঝঅ) ঝঢ়ধরহ রিঃয ঔঠ উঙঐডঅ ্ উউঈ, ইধহমষধফবংয এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
  তিনশত চার কোটি চৌদ্দ লাখ ঊনসত্তর হাজার চারশত নিরানব্বই টাকার চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ঞণচঝঅ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অহঃড়হরড় জড়ফৎরমঁবু ঈধংঃবষষধহড়ং  চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, এয়ারপোর্ট হতে আব্দুল্লাপুর-ধউর-বড় আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা এবং জিওবি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় আশুলিয়া এলাকার বিস্তীর্ণ হাওরের জলপ্রবাহ অবাধ রাখা, ঢাকা মহানগর ঘিরে সার্কুলার জলপথ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আশুলিয়ায় বিদ্যমান সড়ক বাধের পরিবর্তে প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চারলেন সেতু নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে বিদ্যমান প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। নবীনগরে দু’টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় এক কিলোমিটার। সড়কের দুপাশে প্রায় ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ নির্মাণ করা হবে। 
ঢাকা মহানগরীর সাথে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ও ইপিজেডের যোগাযোগ সহজতর করতে বাংলাদেশ ও চীন সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শীঘ্রই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তিনি আরো বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৮১ ভাগ। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯৩টি পাইল সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ১টি পাইল ড্রাইভের কাজও ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়া সাইটে এ পর্যন্ত ট্রাস (স্প্যান) এসেছে ২৫টি, যার মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ২১০০ মিটার দৃশ্যমান।
এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামসহ সেতু বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
ওয়ালিদ/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১২০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫০৪                                     
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা কার্যকর
                                            --- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে  শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অত্যন্ত কার্যকর একটি উদ্যোগ। তিনি আগামী দিনের প্রযুক্তির বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জাতীয় ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী 
শিশু-কিশোরদের সাথে কথা বলেন। প্রতিযোগিতায় ১ম থেকে ৫ম  শ্রেণির ৬৪টি দল অংশ নিয়েছে। 
এর আগে গত ১৫ ও ১৬ জুন প্রশিক্ষণ শেষে ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হয় জেলাভিত্তিক স্ক্যাচ প্রতিযোগিতা। এতে সারাদেশে ৩ হাজার ৫শ ২৭টি দলে অংশ নেয় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির প্রায় সাড়ে ১১ হাজার খুদে শিক্ষার্থী। 
‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ স্লোগান নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ‘ইয়াং বাংলা’।
৬৪ জেলায় পাইথন প্রতিযোগিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে ‘পাইথন ক্যাম্প’ শুরু হবে ১২ জুলাই। প্রশিক্ষণ শেষে ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে পাইথন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। পাইথন জুনিয়র ও সিনিয়র ক্যাটেগরিতে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে একশ’ ২৮ জন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১১৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৫০৩                                     
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দূতের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত প্যাট্রিসিয়া ফুলার (চধঃৎরপরধ ঋঁষষবৎ) সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের সাথে পরিবেশবান্ধব ইস্যুটি সম্পৃক্ত রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কানাডিয়ান প্রযুক্তি অবদান রাখতে পারে। কানাডা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করতে পারে। এ সময় এলএনজি, সোলার রুফটপ, সোলার হোম সিস্টেম, স্মার্ট মিটার, স্মার্ট গ্রিড, অটোমেশন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ আমদানি, সঞ্চালন লাইন, বায়ু গ্যাস, জ্বালানি মূল্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জ্বালানির মূল্য প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য পরিবেশবান্ধবভাবে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বা জলবিদ্যুৎ আমদানিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে কানাডার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্কের হাত ধরে পারস্পরিক উন্নয়ন করা সম্ভব। সোলার রুফটপ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। শহরাঞ্চলে এর ফলাফল ভালো। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে প্রায় ৪০ মিলিয়ন স্মার্ট মিটার লাগবে। কানাডা এ বিশাল কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করতে পারে। 
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ইবহড়রঃ চৎবভড়হঃধরহব এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। 
#
আসলাম/মাহমুদ/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ২৫০২                                          
যুক্তি-তর্ক-গণতন্ত্রের পথে এক সাথে গড়ি দেশ
                                   ---তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
 
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, 'যুক্তি-তর্ক, আলোচনা-সমালোচনার গণতান্ত্রিক পথে সবাইকে এক সাথে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।'
 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ইয়াং লিডারস ফেলোশিপ গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আলোচনা- সমালোচনা, যুক্তি-তর্ক হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির চর্চার মূল বিষয় এবং এটির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। সেই সমালোচনা শোনার মানসিকতাও থাকতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকার সেই মানসিকতা পোষণ করে।'
 
'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন, সেই কারণে পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য কম হলেও তারা যে সমালোচনা করেন তা থেকে অনেকগুলো গ্রহণ করা হয়', বলেন ডক্টর হাছান মাহ্মুদ।
 
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চার মাসব্যাপী ইয়াং লিডারস ফেলোশিপ গ্রাজুয়েশন কোর্সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের ৩০ জন তরুণ নেতা অংশ নেয়। 
 
অনুষ্ঠানে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অভ পার্টি কেটি ক্রোক (কধঃরব ঈৎড়ধশ), জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আশরাফ-উদ-দৌলা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
 
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০৪৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ২৫০১                                      
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতে হবে
                                                       --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী 
 
মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হলে শিক্ষার্থীদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। এজন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা-সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতে হবে। 
আজ হবিগঞ্জ জেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের স্থান পরিদর্শন পরবর্তী বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তেলিয়াপাড়ার একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। এখান থেকেই মুক্তিবাহিনী গঠন, মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা ও রাজনৈতিক সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এখানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ইতিহাসের অতুলনীয় গৌরব-গাঁথা রয়েছে। এখানকার স্মৃতিসৌধটি যথাযথভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমূলক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা মাসিক ১৫ হাজার টাকা করা হবে। 
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি করে দেওয়া হবে। এসব বাড়ি নির্মাণে ঠিকাদারের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে সদস্য সচিব করে একটি বাস্তবায়ন কমিটি করে দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সরাসরি তাদের একাউন্টে চলে যাবে। 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাশনূভা নাসতারান, মন্ত্রণালয় ও জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা, প্রকৌশলী, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা-সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
মন্ত্রী এর পূর্বে মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন ও স্থানীয় সুধীসমাজ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
 
দীপংকর/ফারহানা/ইসরাত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৫০০                                          
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
 
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈাধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী-সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। 
 
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, ট্রান্সপোর্ট ও ইন্টারনেট সমস্যা, পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কেন্টিনের খাবার ও লাইব্রেরির সমস্যা, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে আলোচনা করেন। মন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সমস্যাসমূহ লিখিতভাবে তাঁকে জানাতে বলেন। তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে  আশ্বাস দেন।
 
মন্ত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। কোনো রকমের সমস্যা হলে তা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিক্ষাঙ্গনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। 
 
উপমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের প্রধান কাজ লেখা পড়া করা এবং নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্য থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
#
 
খায়ের/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৪৯৯                                        
মালয়েশিয়ায় শোকেস বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
  বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের  জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারেন। বিশে^র অনেক বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একমত।
  মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ এসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়ার এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ৪র্থ বারের মতো মালয়েশিয়ায় আয়োজিত ‘শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯ - গো গ্লোবাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মালয়েশিয়ার আন্তর্জতিক বাণিজ্য ও শিল্প উপমন্ত্রী ড. ওয়াং কিয়াং মিং, বাংলাদেশের বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
  মালয়েশিয়ায় ‘শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯ - গো গ্লোবাল’ এ যোগদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল (১০ জুলাই) রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের আমন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে  ব্রান্ডিং করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়ান শিল্প কারখানা বাংলাদেশে গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। এখানে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া মন্ত্রী ১২ জুলাই কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
  মন্ত্রী আগামী ১৩ জুলাই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসি/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৪৯৮                                        
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে নেদারল্যান্ডসের রানির বৈঠক
তথ্য-প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা 
 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করেছে। সফররত নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা আজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে আয়োজিত বৈঠকে এ কথা জানান। নেদারল্যান্ডসের রানি এ সময় তথ্য-প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে 
তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং এ লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
  বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেদারল্যান্ডস সফরকে দু’দশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।
মন্ত্রী এ সময় তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা এবং এরই ধারাবাহিকতায় গত দশ বছরে দেশে তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। দেশের প্রতিটি দুর্গম এলাকাতেও ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে। ডাক বিভাগকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা-সহ যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। 
বৈঠকে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ইন্টারএকটিভিটিজ জোরদার, ডিজিটাল সিস্টেমে এনআইডি অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে রানি তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং পরামর্শ দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র-সহ মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মদকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ২৪৯৭                                          
শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
                      - মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব 
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বলেছেন, মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুদের উন্নয়নে মাতৃত্বভাতা, ল্যাক্টেটিং ভাতা ও শিশুর প্রারম্ভিক যতেœর বিষয়ে ইউনিসেফ, ডব্লিউএফএ’র সাথে কাজ করছে। তিনি শিশুদের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন। 
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সাথে অংশীদারিত্বমূলক সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে সচিব এসব কথা বলেন। 
কামরুন নাহার আরো বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া শিশুদের উন্নয়নে  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে কাজ করছে।  
সভায় এক্সিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি), কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট, শিশুর প্রারম্ভিক যতœ এবং আগামীর শিশু ও অন্যান্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে আলোচনা হয়। 
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ আইনুল কবীর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি নরিন খান, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
আলমগীর/অনসূয়া/নাছির/রবি/জসীম/শামীম/২০১৯/১৫৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ২৪৯৬                                          
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৭ আষাঢ় (১১ জুলাই) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩য় বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বেগম নাসরিন জাহান রতনা, বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন, 
আ ক ম সরওয়ার জাহান, কাজী কানিজ সুলতানা এবং আরমা দত্ত অংশগ্রহণ করেন।
২য় বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন বৈঠকে উপস্থাপন করা হয় এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 
বৈঠকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘রিসোর্স শিক্ষক’ পদে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্র ও সমাজের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে ‘রিসোর্স শিক্ষক’ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুযোগ রেখে নিয়োগবিধি সংশোধণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। সচিব ও মন্ত্রীকে সরাসরি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাথে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাষ্টের সমুদয় সম্পত্তির আয়ব্যয় সংবলিত প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সম্ভাবনাময় ট্রাষ্টটিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও ট্রাষ্টটির সমগ্র কাযক্রম পর্যালোচনা করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং আ ক ম সরওয়ার জাহান ও আরমা দত্তকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট সংসদীয় সাবকমিটি গঠন করা হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বিস্তারিত
Todays handout (8).docx