Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৯ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ৩৮৮৬

 

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে প্রোপার মার্কেটিং

এবং ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আরো জনপ্রিয় করা হবে

                                -- যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রতি বছর ইউনিয়ন পর্যায় থেকে প্রায় এক লাখ পার্টিসিপেন্টস অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে বেস্ট প্লেয়ার নিয়ে টিম গঠিত হয় এবং সর্বশেষ বিভাগীয় পর্যায়ে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, এই ধরনের টুর্নামেন্টকে আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করার সুযোগ আছে। সামনের দিনগুলোতে এই টুর্নামেন্টকে প্রোপার মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আরো জনপ্রিয় করা হবে। এই ধরনের টুর্নামেন্ট যত বৃদ্ধি পাবে আমরা তত ভালো খেলোয়াড় স্থানীয় পর্যায়ে থেকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবো।

 

আজ ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে-২০২৪ (অনূর্ধ্ব-১৭) এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন,  ফুটবল, ক্রিকেট-সহ সকল খেলাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিকেন্দ্রীকরণের কাজ করছে। বিসিবি ইতিমধ্যে রিজিওনাল ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। বাফুফেও রিজিওনাল ফুটবল নিয়ে কাজ করবে। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ভেন্যুর পরিধি বৃদ্ধি করার কাজ করছি। আশা করছি এই বছরে নীলফামারীতে কোন একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ এবং রাজশাহী ও খুলনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারব। এভাবেই আমরা খেলাধুলাকে বিকেন্দ্রীকরণের একটি বাস্তব রূপ দিব। সকলের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এগুলোকে বাস্তবে প্রমাণ করতে চাই। আমাদের এই ধরনের উদ্যোগ সামনের দিনেও চলমান থাকবে।

 

#

 

নূর আলম/মেহেদী/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২২১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩৮৮৫

আড়িয়াল বিলকে জলাভূমি কেন্দ্রিক সংরক্ষিত এলাকা

বা বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে

                                      -- পানি সম্পদ উপদেষ্টা                      

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আড়িয়াল বিলকে হয় একটা জলাভূমি কেন্দ্রিক সংরক্ষিত এলাকা অথবা বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, আড়িয়াল বিলকে আমাদেরকে একটা জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘আড়িয়াল বিল এলাকার জীবনযাত্রার মান এবং পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের ফলাফলের ওপর অনুষ্ঠিত এক জাতীয় কর্মশালায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, একটা প্রটেকশন স্ট্যাটাস বা সংরক্ষিত মর্যাদা আড়িয়াল বিলকে দিতে হবে, তা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিলের ধ্বংসযজ্ঞটা আমরা কমাতে পারবো না। বেলাই বিল এবং চলন বিলকেও জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, নদ-নদীকে নষ্ট করে আমরা উন্নয়ন করতে পারি না। দরকার হলে আমরা অনেক দূর ঘুরে যাব কিন্তু খাল বা নদীর উপর বাঁধ দিয়ে যাওয়ার যে টেন্ডেন্সি বা প্রবণতা এ জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।

রিজওয়ানা হাসান মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে আড়িয়াল বিলের ভিতরে মৎস্য চাষের জন্য খালের ওপর বেআইনিভাবে নির্মিত অপরিকল্পিত মাটির বাঁধগুলো তালিকা করে অবিলম্বে অপসারণ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, যে বাঁধগুলো লোকজন চলাচলের জন্য করেছে, ওখানে বাঁধগুলো কেটে দিয়ে খালের ওপর বাঁশের পথ করে দিতে হবে। উপদেষ্টা আড়িয়াল বিলে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত ৮টা বন্ধ খাল যেগুলো ক্লোজার করে রাখা হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সমন্বিতভাবে কাজ করা নির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আড়িয়ল বিলে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় গরিব কৃষক যেন উপকৃত হয় সে বিষয়টি আমাদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে।

সম্মানিত অতিথি শিল্প এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, আড়িয়াল বিল এলাকায় পানির মাধ্যমে নদীমাতৃক যোগাযোগ কিভাবে গড়ে তোলা যায় এ বিষয়ে আমাদেরকে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান।

দিনব্যাপী কর্মশালায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক-সহ শ্রীনগর, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আড়িয়াল বিল সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

মামুন/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/সেলিম/২০২৫/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ৩৮৮৪

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। জানুয়ারি ২০২৫ হতে এ পর্যন্ত ৭ জন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫০৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

#

 

 রিজওয়ানুর/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/সেলিম/২০২৫/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ৩৮৮৩  

ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য

                      - মৎস্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষা শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব নয়; সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। করণ ইলিশ মাছ সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটা বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘জাটকা ও ইলিশ সংরক্ষণ বাস্তবায়ন ২০২৪-২৫’ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ইলিশের দাম নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের দাম বেশি বলেই আমাদের বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। যখন কিছু ভালো হয়, তখন এর দাম একটু বেশি হয়। ভালো জিনিস দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নয় - মাঝে মাঝে উপভোগ করা হয়। ইলিশ আমাদের জাতির গর্ব এবং এটি রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করে ইলিশ বিক্রি করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়বে। অহেতুক যেনো ইলিশের দাম বাড়ানো না হয় সেজন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার এবং আড়তদারদের সাথেও আলোচনা করবেন বলে জানান।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী। স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: আহসান হাসিব খান।

#

মামুন/মেহেদী/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩৮৮২

গত ১০ মাসে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে সনদ পেয়েছে ৯৪টি চলচ্চিত্র

 

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে গত ১০ মাসে জনসম্মুখে প্রদর্শিত হবে এমন ৯৪টি চলচ্চিত্রকে সনদ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ৩৮টি, পূর্ণদৈর্ঘ্য ইংরেজি চলচ্চিত্র ২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২টি এবং প্রামাণ্যচিত্র ১৫টি।

 এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাস থেকে প্রেরিত এবং ফিল্ম ক্লাব ও চলচ্চিত্র সংসদ কর্তৃক আয়োজিত উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মোট ৪৮৪টি চলচ্চিত্রকে পরীক্ষণপূর্বক বিশেষ সনদ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ১৯টি বাংলা ও ইংরেজি চলচ্চিত্রের ট্রেইলারকে সনদ প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, বর্তমান চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে সনদ গ্রহণের জন্য কোনো চলচ্চিত্রের আবেদন অপেক্ষমাণ নেই।

#

মামুন/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩৮৮১

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে হচ্ছে

                                                 - অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি দল স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত জানাতে পারছেন। মতভিন্নতা থাকলেও মতামত প্রদানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিরাজ করছে।

আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার চতুর্থ দিন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সকল রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন বিষয়ে একমত হয়েছে। এছাড়া দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার বিষয়েও অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনায় উচ্চকক্ষে ১০০ আসনের বিষয়ে মত প্রদান করেছে দলগুলো। কিন্তু, এসব বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আরো বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

যে সকল বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না তার বিষয়ে জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, তা স্বচ্ছতার সাথে উল্লেখ করা হবে। বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সকল বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন প্রত্যাশা করাও ঠিক হবে না। কিন্তু, কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়ার সদিচ্ছা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

#

পবন/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮৮০ 

বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জ, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

মুন্সিগন্জের শিমুলিয়ায় আজ বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ড্রেজিং বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ছিলো না। কিন্তু এটা দরকার ছিলো। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ), পানি উন্নয়ন বোর্ড-সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সারাদেশেই বছরের বিভিন্ন সময়ে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু আমাদের ড্রেজিং বিষয়ে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এজন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখান থেকে ড্রেজিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা ড্রেজিং কোম্পানিগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান দেশের ড্রেজিং কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া তিনি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে একটি ইমার্জেন্সি ফেরিঘাট স্হাপন ও বিদ্যমান শিমুলিয়া নদী বন্দর বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তা ওপর জোর দেন। ইকো ট্যুরিজমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এখানে একটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা যায় মর্মে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এসময় উপদেষ্টা অবৈধ ড্রেজিং বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে আরো সতর্কভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা প্রদান করেন। নদী পাড়ের অবৈধ দখল-সহ বিভিন্ন স্হাপনা অপসারণে পদক্ষেপ নিতে বিআইডব্লিউটিএ-কে নির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-সহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইনস্টিটিউটটিতে বিভিন্ন মেয়াদে ২৮ টি কোর্সের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এখানে ড্রেজার মেশিন প্রস্তুত বিষয়েও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

#

আরিফ/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ৩৮৭৮

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শ্বেতপত্র প্রণয়নে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য আহ্বান

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

        প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে (স্মারক নং- ১৪.০০.০০০০.০১০.২৭.০০৭.১৮ (পার্ট-১)-১৪৩, তারিখঃ ২১/০৪/২০২৫ ইং। এই টাস্কফোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে বিগত ১৫ বছরে দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা।

        টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে শ্বেতপত্র প্রণয়নে নাগরিক ও বিভিন্ন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে, কমিটি দেশবাসীর কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে একটি তথ্যভিত্তিক ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়।

        যদি কোনো ব্যক্তির নিকট ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের জনবল নিয়োগ/পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পলিসিগত বৈষম্য/অনিয়ম, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি, লাইসেন্স রেজিম ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ব্যবস্থাপনায়

অনিয়ম-সহ যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য থাকে তাহলে নিচের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে তাদের তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে পারবেন।

        তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানোর মাধ্যম: ইমেইল: ptdtaskforce0425@ptd.gov.bd এবং লিংক:  https://tinyurl.com/ptd-taskforce.

        উল্লেখ্য, টাস্কফোর্স প্রাপ্ত তথ্য ও মতামত সর্বোচ্চ গোপনীয়তা এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।

#

জসীম/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/জয়নুল/২০২৫/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩৮৭৭  

দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অভ্‌ বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে ‘জাতীয় ফলজ মেলা ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ৬৪ জেলায় এই মেলা হবে, উপজেলায়ও মেলা হবে। এর উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফল সবার কাছে পরিচিত করা। অনেকেই দেশি ফল চেনেন না। তারা আঙুর, আপেলের মতো বিদেশি ফল খান। অথচ আমাদের ফলের গুণগত মান ও স্বাদ বিদেশি ফলের থেকেও বেশি।

দেশবাসীকে দেশি ফল খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশি ফল খেলে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। আমরা বিদেশে প্রচুর দেশি ফল পাঠাচ্ছি। যার মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা। চীনে নতুনভাবে আম পাঠানো শুরু হয়েছে। রপ্তানি বাড়লে কৃষকরা উপকৃত হবেন।

মেলা উপলক্ষ্যে খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশী ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় ফল উৎপাদনে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতেও বিদেশি ফল আমদানি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর দেশে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন ফল আমদানি করতে ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায়। আমদানিকৃত ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দখলে। তবে আশার কথা, দেশেও সীমিত পরিসরে কমলা ও মাল্টার চাষ হচ্ছে যা ক্রমান্বয়ে ফল আমদানি নির্ভরতা কমাবে।

উপদেষ্টা সমন্বিতভাবে টেকসই নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন আমরা সকলে এই বছর অন্তত একটি করে ফলদ গাছ লাগাই এবং প্রতিদিন ন্যুনতম একটি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এর আগে উপদেষ্টা তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলজ মেলার উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানী-সহ দেশের ৬৪ জেলার ৪৩১ উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় ফল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য- ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।

#

জাকির/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৩৮৭৬  

বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবা ও সুরক্ষায় সাহসিকতা ও অবদানের স্বীকৃতি পেলেন তিন রেল কর্মী

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবা ও সুরক্ষায় আত্মনিবেদন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতিস্বরূপ তিন রেল কর্মীকে সম্মাননা প্রদান করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

আজ রাজধানীর রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সম্মাননা প্রাপ্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও স্মারক প্রদান করেন।

সম্মাননা প্রাপ্ত রেল কর্মীগণ হলেন, প্রাক্তন এল এম গ্রেড-১ মো: সাহাব উদ্দিন, কুমিরা রেলক্রসিং এর গেইটম্যান নাজমুল হোসেন, টি.কে. গ্রুপের সিকিউরিটি গার্ড মো: দেলোয়ার এবং ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুর রহিম।

গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলস্টেশনের নিকট মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন অন্যান্য বগিতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে প্রাক্তন লোকোমাস্টার (গ্রেড-১) মো: সাহাব উদ্দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জ্বলন্ত বগির সংযোগস্থলের হুক খুলে দেন। তাঁর এই অদম্য সাহসিকতা ও কর্মতৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পায় উক্ত ট্রেন ও ট্রেনের যাত্রীগণ।

গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুমিরা রেলক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালনের সময় ডাউন মালবাহী ট্রেন ৬০৪ আসার আগে নিয়ম মাফিক গেইট বন্ধ করে দেন গেইটম্যান নাজমুল হোসেন। এ সময় একটি অটোরিক্সায় রোগী আছে দাবি করে কিছু ব্যক্তি গেইট খোলার অনুরোধ জানালে সে দ্রুত গেইট খুলে দিয়ে অটোরিক্সা পার করে দেয়। এর দুই/তিন মিনিট পর উক্ত ব্যক্তিবর্গ পুনরায় গেইট খোলার অনুরোধ জানায়। ট্রেন উক্ত গেইটের নিকটবর্তী থাকায় তিনি গেইট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ব্যক্তিবর্গ গেইটম্যান নাজমুল হোসেন ও সিকিউরিটি গার্ড মো: দেলোয়ারকে নৃশংসভাবে প্রহার করে আহত করে। তথাপি তারা কর্তব্যনিষ্ঠ থেকে গেইট না খুলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হন।  

গত ৪ এপ্রিল ৪ নং ডাউন কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া স্টেশনে বিপুল সংখ্যক টিকিটবিহীন যাত্রী জোরপূর্বক পাওয়ার কারে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম উক্ত যাত্রীদের পাওয়ার কারে উঠতে বাধা দিলে তাদের একটি অংশ তাঁকে আক্রমণ করে এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

তিন রেল কর্মী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের একজন সিকিউরিটি গার্ড নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন রেলসেবা নিশ্চিত করায় এবং মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে যাত্রী ও ট্রেনকে রক্ষা করায় তাঁদের সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিগত ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও ঝামেলামুক্ত নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

 রেজাউল/মাহমুদুল/রফিকুল/কনক/শামীম/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর: ৩৮৭৫

শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

                  রাজশাহী, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সুনাগরিক না হতে পারলে শিক্ষার কোন মূল্য নেই।

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে আজ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নৈতিকতা শিক্ষার একটি ভালো উপায় হচ্ছে- বিভিন্ন মানুষের কাহিনী ও গল্প জানা। পাশাপাশি নৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে, বিদ্যালয়ের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ শিশুরা অন্যদেরকে আদর্শ হিসেবে দেখে বেড়ে ওঠে। তাই প্রতিটি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলো নৈতিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীরা যেন সমাজ ও প্রকৃতির প্রতি একাত্মতাবোধ নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি যথাযথভাবে মাতৃভাষা ও গণিত শিক্ষার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো: শামসুজ্জামান, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, রাজশাহী বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো: সানাউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টুকটুক তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

#

শিবলী/ফাতেমা/মেহেদী/মিতু/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/১৬০০ ঘন্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর: ৩৮৭৪

বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ এর জ ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের “বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার” প্রদানের জন্য ৭টি শ্রেণিতে মোট ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

          ‘ক’ শ্রেণিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে লালমনিরহাটের দলগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে যথাক্রমে যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ এবং ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

          ‘খ’ শ্রেণিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ ও রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

          ‘গ’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগত বৃক্ষরোপণে প্রথম হয়েছেন টাঙ্গাইলের মিজ দিলরুবা রহমান। দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের মুহাম্মদ ইউসুফ এবং তৃতীয় হয়েছেন লালমনিরহাটের মোছাঃ হাছিনা আখতার।

          ‘ঘ’ শ্রেণিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন নার্সারির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে রংপুরের সোহেল নার্সারি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে মুন্সীগঞ্জের জননী গার্ডেন সেন্টার এবং টাঙ্গাইলের মৌ নার্সারি।

          ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ‘ঙ’ শ্রেণিতে সৃজিত ছাদবাগানের জন্য প্রথম হয়েছে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেলোয়ার হোসেন ও সাবিনা ইয়াসমিন। তৃতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের মিজ নাছুহা সাদাফ।

          ‘চ’ শ্রেণিতে বন বিভাগের উদ্যোগে সৃজিত বাগানের মধ্যে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে যথাক্রমে নোয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগ এবং যশোরের সামাজিক বন বিভাগ।

          ‘ছ’ শ্রেণিতে বৃক্ষ সম্পর্কিত গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য প্রথম হয়েছে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট। দ্বিতীয় হয়েছে ঢাকার বন অধিদপ্তরের রিমস ইউনিট এবং তৃতীয় হয়েছেন ফরেস্টার মোঃ তৌহিদুর রহমান।

          পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১টি করে সনদ, ১ট

2025-06-19-16-19-ade4da216c264510aef4ef8a71d75425.docx