Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৮ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৯৩

 

দূষণের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান: জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

 

ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট আজ তিনটি ভিন্ন দূষণের ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করেছে।

কদমতলী ও সাভার এলাকায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন এবং টায়ার পাইরোলাইসিসের মাধ্যমে বায়ু দূষণের অভিযোগে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে।

বায়ু দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুসারে ৩টি মামলায় মোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একটি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

অন্যদিকে, শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে নওগাঁ ও খিলগাঁও এলাকায় ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

৪টি মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।

এছাড়া, মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গতকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি এলাকায় ১টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করা হয় এবং ১০ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

#

দীপংকর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর: ৩৫৯২

ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসা চলমান থাকবে 

                                                            -বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসা চলমান থাকবে। ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানি না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর ব্যবস্থা নিতে পারবো। যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সোস্যাল মিডিয়া ও নিউজ থেকে আমরা জেনেছি তারা স্থলবন্দর বিশেষ করে আখাউড়া, ডাউকিস্থ বন্দরসহ কিছু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনই আমাদের বড় লক্ষ্য। এটা দু’দেশের জন্য লাভজনক বিষয়। আমরা মনে করি ভারত নিজেও একটা টেক্সটাইল বা বস্ত্র শিল্পে সমৃদ্ধ দেশ। এরপরও যখন আমাদের দেশ থেকে এসব পণ্য রফতানি হয় সেটা আমাদের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই। তিনি আরো বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রভাব আমাদের নেই। আমরা নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এ সমস্যার সমাধান করেছি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা যেহেতু ভৌগোলিকভাবে কানেক্টেড একটা দেশ, আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিদিষ্ট। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের কৃষিপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি, ভারতও করে। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া এবং আমরা সে বিষয়ে কাজ করছি। সেখানে যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।

উপদেষ্টা বলেন, আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাসী। আমার কাছে বাণিজ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাণিজ্য ইনক্লুশন ছাড়া আর কোনো রাস্তা আমি দেখি না। বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈচিত্রকরণ ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কাজ করবো।

#

কামাল/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/আলী/মাসুম/২০২৫/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                      নম্বর: ৩৫৯১

দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চায় ঐকমত্য কমিশন

 -অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চায় কমিশন। তিনি বলেন, জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-একদিনের মধ্যে শেষ করে শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতের ভিন্নতা থাকবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সেসব বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্ধিত আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যাদের আত্মদানে এ সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নয়, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক শক্তি ও সুশীল সমাজ এবং সামাজিক শক্তিগুলোরও এ দায় রয়েছে। 

আলোচনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়েরসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলে সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শিশির মোহাম্মদ মনির এবং সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০ মার্চ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয়। দলটির সাথে ২৬ এপ্রিলের আলোচনার অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে আজ বর্ধিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

#

পবন/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/আলী/মাসুম/২০২৫/১৩২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৩৫৯০

শিশু শ্রম নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন     

                 -শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

শ্রীমঙ্গল, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শিশু শ্রম নিরসনে সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু শ্রম একটি বড় সমস্যা। কৃষক পরিবারের শিশুরা মাঠে কাজ করছে, জেলেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে মাছ ধরছে এবং ইটভাটায় শিশুরা শ্রম দিচ্ছে। এ কারণে অনেক শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এসব শিশু পরিবারের আর্থিক চাপ কমাতে বাধ্য হয়ে কাজে নামছে, যা তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

উপদেষ্টা গতকাল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, শিশুদের অধিকার, সুরক্ষা ও তাদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিতে জাতীয় শিশু কল্যাণ পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, উপদেষ্টা সুবিধাবঞ্চিত, পথশিশু, শ্রমজীবী ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সকল সংস্থাকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, শিশু শ্রম নিরসনে গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি এবং উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলেও উপদেষ্টা উল্লেখ করেন। 

সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুযায়ী শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শিশুবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাব শিশু শ্রমের প্রধান কারণ উল্লেখ করে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবারগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি বলেন, বাংলাদেশে শিশু শ্রম একটি জটিল সামাজিক সমস্যা এবং এটি নিরসনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে রয়েছে পুনর্বাসন, সামাজিক সুরক্ষা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি। 

এছাড়া, সভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি Neeran Ramjuthan, মৌলভীবাজার জেলার জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, আইএলও কান্ট্রি অফিস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/আলী/মাসুম/২০২৫/৯২৮ ঘণ্টা

2025-05-18-12-53-f38fccc93d44628d7a99234e03e602d0.docx