তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৩০
গৌতম বুদ্ধ শান্তির, সত্যির ও সুন্দরের প্রতীক
---শারমীন এস মুরশিদ
ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় দেখেছি একঝাঁক তরুণ প্রজন্মদের যারা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে ২০২৪ এর পর এমনদিন যায় না, যেখানে আমাদের অন্তর থেকে আমাদের তরুণ সমাজের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং আর্শিবাদ থাকেনা। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই এদেশে যত ধর্ম এসেছে, যত কৃষ্টি তৈরি হয়েছে, যত উৎসব তৈরি হয়েছে, যত মূল্যবোধ তৈরি হয়েছে সবটুকু এই দেশের, এই দেশের মানুষের। এখানে আমি তফাৎ দেখিনা, এই ঐতিহ্য আমর। আমি বড় হয়েছি এটাই দেখে যে, আমার দেশ বহুজাতিক, বহু ধর্মের, বহু মানুষের সম্মেলনের আমার এই বাংলাদেশ।
তিনি আজ ঢাকায় বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য এবং বৌদ্ধ ধর্ম ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, একটা বাগানে যেমন আমরা নানান রঙের ফুল দেখি, একই মাটিতে একই শক্তিতে জেগে ওঠে, ভেসে ওঠে ঠিক তেমনি আপনি, আমি একই বাগানের আমরা কজন নানা রঙের মানুষ। এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি গৌতম বুদ্ধকে তার মহাপরিনির্মাণের বাণী আমরা স্মরণ করি, তার সারাজীবনের যাত্রা, শান্তি ও সত্যের পথে অবিচল থাকা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বুদ্ধের শিক্ষা বিশেষ করে করুনা ও শান্তির বার্তা নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করার পথ নির্দেশ করে। সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে বৈষম্য ও নিপীড়ন দূর করায় আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন ২০২৪ যখন গণআন্দোলন ঘটল তখন আমার কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছিল ৫০টি বছর ধরে এই দেশ হিংসা লালন করেছে, বিদ্বেষ, ভেদাভেদ লালন করেছে যারজন্য গণতন্ত্র, সাম্য, বিচার চর্চা দাঁড়াতে পারেনি। ৭১এ মুক্তিযুদ্ধের একজন নারী হিসেবে সেদিন দেখেছি কেমন করে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা একটি রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে একটি দেশ পেয়েছে, মাটি পেয়েছে। আজকে পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে এত ভুল আমরা করলাম, ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধের মত বাচ্চা বাচ্চা ছেলে ময়েরা তারা আমাদের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলল, কেন কারণ-তারা তাদের জীবনে শান্তিত্ব পায়নি। তারা দেখেছে এদেশের অপশাসনে, অন্যায়, আর দুর্নীতির কালোছায়া এতদিন আমরা যে জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি, সেই অপরাগতায় ২০২৪ এ নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। এই ছোট ছেলে-মেয়েদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে সেদিন চিরকুট লিখে এদেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে যুদ্ধে নেমেছিল। তাদের প্রত্যাশা আমরা ভুলতে পারবো না। একটি গভীর মূল্যবোধের জায়গায় থেকে তারা অসত্যকে অসত্য বলেছে, অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস করেছে যেটা আমাদের বড়রা করেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তির, সত্যির ও সুন্দরের প্রতীক। বর্তমান বিশ্বে যখন সহিংসতা, বৈষম্য ও সামাজিক অসাম্য ক্রমবর্ধমান তখন বুদ্ধের বাণী আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সত্যিকার উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ বিশেষত নারীরা ও শিশুরা নিরাপদ, সম্মানজনক ও সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে। আজকের এই পবিত্র দিনে আসুন আমরা সকলে মিলে একটি সহনশীল, শান্তিপূর্ণ ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের সভাপতি মহাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স Tracey Ann Jacobson, রয়েল থাই দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স Panom Thongprayun, বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ বক্তৃতা করেন।
#
রফিকুল/মেহেদী/আব্বাস/২০২৫/২৩০৮ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫২৯
ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
কানসাই (জাপান), ১১ মে:
উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।
আজ ওসাকার কানসাই এ ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ এর ‘বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহ্যের সাথে ভবিষ্যৎ সমাজের সেতুবন্ধের প্রতীক হিসেবে প্যাভিলিয়ন কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের উদাহরণ।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের সাথে সাথে দেশটি এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে। ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষকে সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করেছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি, আসিয়ান দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। তিনি বলেন, উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জাপান বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এ সম্পর্ক গতিশীল হচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায়ও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে নিজ নিজ দেশের জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও জাপানের প্রতিমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে জাপান প্যাভিলিয়ন ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।
#
কামাল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫২৮
সর্বসাধারণকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল-চট্টগ্রাম
ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে):
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল-চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত হাসপাতালসমূহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও রেলওয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার উদ্দেশ্যে গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. উভয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সর্বসাধাণের চিকিৎসাসেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ‘রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল-চট্টগ্রাম’ করা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটিতে ১৯ জন চিকিৎসক ও ৯ জন নার্স পদায়ন করেছে। সেই সাথে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি ও সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে রেল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সকলকে উক্ত হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে অর্থপেডিক্স, গাইনি এন্ড অবস, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, ইএনটি, ডেন্টাল এবং সার্জারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজির সেবা বিদ্যমান রয়েছে। হাসপাতালের আউটডোর সার্ভিস সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং ইনডোর সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালনাধীন অন্যান্য হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে এ সুযোগ সম্প্রসারিত হবে।
#
রেজাউল/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫২৭
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
ওসাকা (কানসাই) ১১ মে:
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে আজ ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর ভেন্যুর জাপান প্যাভিলিয়নে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প (METI) প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরের জন্য পঞ্চম রাউন্ডের আলোচনা ফলপ্রসূ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ তরুণ শ্রেণির, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তিতে রূপান্তর করে জাপানের শ্রম বাজারে পাঠাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে আরো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি ও আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ দানের সুযোগ তৈরিতে জাপান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। উপদেষ্টা আরো বলেন, জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সার কারখানায় বিনিয়োগ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি বাংলাদেশে আরো বেশি জাপানি বিনিয়োগের জন্যও জাপান সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় জাপানের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে জাপান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়নে দুদেশের মধ্যে যে সকল মতপার্থক্য রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জাপানে দক্ষ শ্রমিকের খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি এদেশের শ্রমবাজারে আসলে বাণিজ্যের একটি নতুন দিক উন্মোচিত হবে। এসময় তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে জাপানের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: দাউদ আলী, জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক পরিচালক শিমানো তোশিয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর ইকোনমিক পার্টনারশিপ ডিভিশনের পরিচালক উচিনো হিরুতো এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মনসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/ফাতেমা/মেহেদী/আলী/শফিক/২০২৫/১৫২৪ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫২৬
২৯তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৫
ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে
-যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে):
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ফেডারেশনে এ্যডহোক কমিটি গঠনের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। সারাদেশে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যে ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তা পুনর্গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে আমরা একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যেখানে ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থাগুলো পূর্ণরূপে কার্যক্রম শুরু করেছে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে তিনদিন ব্যাপী (৯ থেকে ১১ মে) ‘২৯তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, খেলাধুলা তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করে। স্পোর্টস সেক্টরে বাজেটের কিছু ঘাটতি থাকলেও তা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে; যার সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে ক্রীড়াক্ষেত্রগুলোকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। এসময় তিনি বিভিন্ন কর্পোরেশন ও ব্যবসায়ীদের স্পোর্ট সেক্টরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে যদি সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা যায় তাহলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সার্ভিসেস সংস্থার ৮৭টি দলের ২১টি শ্রেণিতে খেলোয়াড় পুরুষ ৫১৭ জন, মহিলা ২২৩ জন, বিভিন্ন সংস্থার ম্যানেজার ও কোচ ২৬১ জন এবং ম্যাচের রেফারি বা জাজ ৮০ জন সর্বমোট ১ হাজার ৮১ জন অংশগ্রহণ করেন।
#
নূর আলম/ফাতেমা/মেহেদী/আলী/শফিক/২০২৫/১৫২৪ ঘন্টা