নম্বর: ৬৩
টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বিষয়টি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো:
মূলবার্তা :
‘২৫-২৭ মে ২০২৫ দেশব্যাপী ভূমি মেলা আয়োজন উপলক্ষ্যে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ অন্যান্য ভূমিসেবা গ্রহণের সুযোগ নিন। বিস্তারিত জানতে কল করুন-১৬১২২ নম্বরে - ভূমি মন্ত্রণালয়’।
#
গিয়াস/মাহমুদুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৪১
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার
-- সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, গ্রামের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও পিছিয়েপড়া মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কুইক রেস্পন্স টিম এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজকর্মী দ্রুততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘Her Dignity, Her Rights: Unit for Stopping Violence Against Women and Children’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদে’ স্বাক্ষরকারী একটি দেশ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৫) অনুযায়ী নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে আমরা সচেতন নাগরিক এবং সর্বোপরি মানবিক মানুষ হিসেবে দেশের সকল নারী ও শিশুর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় আমাদের সকলের একটি নৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনেকরি নারী নির্যাতনের ধীরগতির আইনি ব্যবস্থাকে দ্রুত বাস্তবায়নের নীতি নীতিনির্ধারক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সচেতনতা এবং সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে একটি সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।
উপদেষ্টা বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এই মতবিনিময় সভায় সকলের মতামত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে, যা নারী ও শিশুদের প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ সিএসও অ্যালায়েন্স, নারী আন্দোলনের প্রতিনিধি, তরুণ সমাজ এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পরিবেশকর্মী, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সহায়তা করবে এবং একটি কার্যকর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের পথ সুগম করবে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে যৌক্তিক ও বিজ্ঞানমনস্ক ন্যায়সঙ্গত দাবির বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক, অধিকার ও উন্নয়নকর্মী খুশি কবির, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বক্তৃতা করেন।
ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ডক্টর হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। সভায় নারী ও শিশু অধিকারকর্মী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
রফিকুল/মাহমুদুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৪০
সরকারি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিগনেচার ভূমিকা রাখবে
--ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল সক্ষমতায় অনেক পিছিয়ে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করে দেশে নানা রকম প্রতারণা হচ্ছে। এসব প্রতারণা বন্ধের পাশাপাশি সরকারি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিগনেচার ভূমিকা রাখবে।
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক (সিসিএ) এর কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার (পিকেআই) সামিট- ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের জনগণকে পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার (পিকেআই) বিষয়ক উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
বিশেষ সহকারী বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, বারোটি সিটি কর্পোরেশন, কয়েকশত পৌর কর্পোরেশন রয়েছে। এ প্রত্যেকটা অফিস, মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ প্রতিদিন প্রচুর ডকুমেন্ট তৈরি করে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন শত শত ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে। শিল্প মন্ত্রণালয় ট্রেড মার্ক তৈরি করে, শিক্ষা বোর্ডগুলো সার্টিফিকেট তৈরি করে, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কিংবা হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সার্টিফিকেট তৈরি করে। এছাড়া এনআইডি কর্তৃপক্ষ, জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন কিংবা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকেই ডকুমেন্ট তৈরি করে। এগুলো ডিজিটাল হওয়া দরকার। ব্যক্তি যে ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছে, এই ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট ভেরিফাই করার মতো জনবল নেই। তাই আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে কিভাবে ডকুমেন্টেড বা সার্টিফিকেট ওরিয়েন্টেড করা যায় সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, যতদিন যাবে বিদেশি এজেন্সি, সংস্থা এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট গ্রহণ করা বন্ধ করে দিবে। কারণ তারা প্রথমে এআই, ব্লকচেইনসহ প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্টিফিকেটগুলো যাচাই-বাছাই করবে। তখন ম্যানুয়ালি সার্টিফিকেটগুলো অনুমোদন হবে না। আর এই সমস্যাগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে। তাই আমাদের সিসিএ থাকাটা জরুরি।
সেমিনারে ডিজিটাল সিগনেচার বেস্ট ইউজার ক্যাটেগরিতে RJSC, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, BRAC Bank PLC এবং Robi Axiata Limited এই চার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ টি এম জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আইসিটি ডিভিশনের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
#
জসীম/মাহমুদুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২১১৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৩৯
হয়রানিমূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর
-- সিনিয়র সচিব
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, হয়রানিমূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ভূমি মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। নামজারী, ভূমি উন্নয়ন করা, পর্চা ও নকশা সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা শতভাগ অনলাইনভিত্তিক ও ক্যাশলেস করা হয়েছে। যে কোন নাগরিক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ২৪ ঘণ্টাই কলসেন্টার ও নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মেলা, ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। এবারের ভূমি মেলার প্রতিপাদ্য ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’। মেলা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় মোট ১৯টি স্টল হতে নাগরিকগণদের ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করা হবে। এবারের ভূমি মেলার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে উদ্বুদ্ধ করা এবং সচেতন করা।
সিনিয়র সচিব বলেন, দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায়ের ফলে রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সারা দেশের মোট ৫১৬ টি উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩৪৬৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হয়েছে। এই সিস্টেম থেকে জুলাই/২৪--১৫মে/২৫ পর্যন্ত প্রায় ২৯০ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর হতে প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকা এবং অনলাইন খতিয়ান হতে প্রতি মাসে গড়ে ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। বর্তমানে ৬ কোটি ৫০ লাখের অধিক খতিয়ান অনলাইনে রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ হোল্ডিং ডাটা ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। নাগরিককে অনলাইনে দাখিলা প্রদান করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। প্রতিদিন সার্ভারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সচল থাকলে দিনে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা সম্ভব।
সালেহ আহমেদ আরো জানান, প্রতিদিন ই-পর্চা থেকে সরকারের কোষাগরে প্রায় ১৪-১৮ লাখ টাকা জমা হয়। জুলাই-২৪ থেকে মে-২৫ পর্যন্ত ই-পর্চা হতে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ডাক বিভাগের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ খতিয়ান এবং ১১ হাজারের অধিক মৌজা ম্যাপ জনগণের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসসমূহের কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ, রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে সারা দেশে ১৩৩০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে এবং ১৫০টি সমন্বিত উপজেলা ভূমি কমপ্লেক্স নির্মাণকল্পে ডিপিপি প্রণীত হয়েছে।
সিনিয়র সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাগ্রতা সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নাগরিকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/মাহমুদুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৩৮
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি
--- পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা শুধু একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নয়, এটি সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতির পথে বড় বাধা। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা, দ্রুত বিচার, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও অভিযুক্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপদেষ্টা আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ÔHer Dignity, Her Rights: Unite for Stopping Violence Against Women and ChildrenÕ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় আমাদের পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রীয় নীতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর আইন প্রয়োগ ও প্রতিরোধমূলক শিক্ষা কর্মসূচি বিস্তারের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক, অধিকার ও উন্নয়ন কর্মী খুশি কবির প্রমুখ। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
সভায় নারী ও শিশু অধিকারকর্মী, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৩৭
শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলছে --- শ্রম সচিব
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুযায়ী শিশুশ্রম বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। শ্রমিকদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। গাজীপুরে শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র আয়োজনে ‘Developing Nationally-defined Social Protection Plan for
Working-age Persons in Bangladesh’ শীর্ষক এক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এসব কথা বলেছেন।
সফিকুজ্জামান আরো উল্লেখ করেন চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, নারী শ্রমিকদের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা ও পানির ব্যবস্থা, অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং শিশুদের প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
শ্রম সচিব শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের বিভিন্ন সেবার কথাও তুলে ধরেন। এসব কেন্দ্রে শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, আইনি পরামর্শ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিকেএমইএ সভাপতি, বিজিএমইএ প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং আইএলও’র প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মালেক/মাহমুদুল/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০০০ঘণ্টা
Handout Number: 3636
Sustainable Development Demands Genuine Harmony with Nature
--- Environment Advisor
Dhaka, 22 May 2025:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, stated, Sustainable development cannot be achieved by greenwashing projects or treating environmental protocols as routine exercises. We must build systems that respect public participation, access to information, and access to justice.
Environment Advisor said this in the consultation workshop organised in observance of the International Day for Biological Diversity (IBD) 2025 with the theme ‘Harmony with Nature and Sustainable Development’, held today at the Department of Environment (DoE), Agargaon, Dhaka.
She emphasized that sustainability requires more than compliance checklist. ‘Environmental Impact Assessment (EIA) reports are meaningless if they are not written in people’s language or shared with the people. Public voices must not only be heard—they must be acted upon,’ she noted.
Expressing concern over the growing gap between environmentalists and government agencies, the Advisor observed, ‘There is a tendency to approve development projects without properly addressing environmental concerns. Environment is often treated as an afterthought. That mindset must change.’
She further said, ‘I have directed the Department of Environment to make all EIA reports public. People have the right to know. Responding to public complaints is not a favor—it’s our duty. We must act transparently and communicate back to the citizens.’
Underscoring the importance of governance reform, she added, ‘We must move beyond departmental silos. The vision of environmental protection must be owned by all ministries—not just one.’
Referring to environmental degradation in Bangladesh, the Advisor warned, ‘Our air, rivers, and biodiversity are in peril. Without putting nature at the center of our development model, we cannot move forward.’
The workshop was chaired by Dr. Md. Kamruzzaman, ndc, Director General, DoE; Among the distinguished speakers were Dr. Farhina Ahmed, Secretary, Ministry of Environment, Forest and Climate Change; Dr. Fahmida Khanam, Additional Secretary (Environment); Sonali Dayaratne, Deputy Resident Representative, UNDP Bangladesh; Prof. Dr. Mohammad Ali Reza Khan, renowned wildlife biologist; and Dr. Md. Sohrab Ali, Additional Director General, DoE.
The event brought together policymakers, environmentalists, academics and development partners to reaffirm Bangladesh’s commitment to protecting biodiversity and promoting sustainable development in true harmony with nature.
#
Dipankar/Mahmudul/Rafiqul/Joynul/2025/1815 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৬৩৫
নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকার নির্দেশ রেল কর্তৃপক্ষের
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বদা তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসময় প্ল্যাটফরমে বিনা টিকিটের যাত্রী প্রবেশ প্রতিরোধ, টিকেট কালোবাজারী, বিনা টিকেটে ভ্রমণ, ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছাদে ভ্রমণ, নির্দিষ্ট প্ল্যাটফরম ছাড়া অন্যত্র যাত্রী উঠানামা ও স্টেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী যেকোনো কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ করে আরএনবি সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাওয়ার কার, খাবার গাড়ি ও ইঞ্জিনে যেনো কোনো যাত্রী উঠতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সজাগ থাকতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
আগামী ১ জুন থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহে পর্যাপ্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ স্টেশনসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করবেন বলেও সভায় জানানো হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন-সহ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/মাহমুদুল/রফিকুল/আব্বাস/২০২৫/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৬৩৪
টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি জরুরি
--- পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃত টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সত্যিকারের সম্প্রীতি জরুরি। প্রকল্পকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে তুলে ধরার জন্য ‘সবুজ প্রলেপ’ বা নিয়মতান্ত্রিক কাজের মতো পরিবেশ সংরক্ষণকে দেখলে টেকসই উন্নয়ন অর্জিত হবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য জনসম্পৃক্ততা, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ পরিবেশ অধিদফতরের আগারগাঁও কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস (ওইউ) উপলক্ষ্যে ‘হারমনি উইথ নেচার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য শুধু চেকলিস্ট পূরণ করাই যথেষ্ট নয়। পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ঊওঅ) প্রতিবেদনগুলো যদি মানুষের ভাষায় লেখা না হয় বা জনসাধারণের সঙ্গে শেয়ার না করা হয়, তাহলে সেগুলোর কোনো কার্যকারিতা থাকে না। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ বিদদের সঙ্গে সরকারি সংস্থাগুলোর দূরত্ব দিনে দিনে বাড়ছে। অনেক সময় প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরিবেশগত দিকগুলোকে উপেক্ষা করা হয়। পরিবেশকে ‘পরবর্তীতে ভাবার বিষয়’ হিসেবে দেখা হয় এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি যেন সকল ঊওঅ প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করে। জনগণের জানার অধিকার আছে। অভিযোগের জবাব দেওয়া দয়া নয়-এটা আমাদের দায়িত্ব। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু একটি মন্ত্রণালয় পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে হবে না সকল মন্ত্রণালয়কে এই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের পরিবেশগত অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের বায়ু, নদী ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে। প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রে না রাখলে আমরা এগোতে পারব না।
পরামর্শ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে, খ্যাতিমান বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলী।
পরিবেশবাদী, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই কর্মশালায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা