Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

তথ্যবিবরণী -18/12/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৮১৮

 

গার্মেন্টস খাতে আরো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে

                                      --- পরিকল্পনা মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করতে এবং সামনে এগিয়ে নিতে গার্মেন্টস খাত-সহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে আরো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

          মন্ত্রী আজ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি যৌথভাবে আয়োজিত স্টাডি অন সাপ্লাই চেইন রেজিলিয়্যান্স অভ্ আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ (Study on Supply Chain Resilience of RMG Sector in Bangladesh) বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম একটি মাত্র হাইওয়ে হওয়ায় প্রাকৃতিক যে কোনো দুর্যোগে চট্টগ্রাম বন্দর বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কর্মশালায় এক বক্তার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আলাদা একটা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

          পরিকল্পনা সচিব মোঃ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক, ইনস্টিটিউট অভ্ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রফেসর ডক্টর রকিব আহসান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ ভ্যান গুয়েন (Van Nguyen)  প্রমুখ।

#

শাহেদ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৮১৭

 

রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রকাশিত তালিকা স্থগিত

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন মহল হতে অভিনন্দিত করা হয়েছে, আবার তালিকায় কিছু ভুল-ত্রুটির জন্য তীব্র সমালোচনাও হয়েছে।

          স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে যাতে কোন ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্য তালিকাটি স্থগিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছেন। কী প্রক্রিয়ায় দ্রুততম সময়ে দেশব্যাপী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা যায় সে ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সাথে আলোচনা প্রয়োজন’। 

          আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এ তালিকা প্রকাশের প্রচেষ্টা থাকবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন।

#

 

মারুফ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৪৮১৬

 

পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের সাথে আজ তাঁর সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার সাক্ষাৎ করেন।

 

সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশের নদীসমূহের অবৈধ দখল, দূষণ ও নাব্যতা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন  উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন ও কমিশনের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

আলোচনার শুরুতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পরিবেশ মন্ত্রীর নিকট কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। চেয়ারম্যান জানান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বছরব্যাপী দেশের সকল নদী বিস্তারিত জরিপ করে। তিনি বলেন, নদীসমূহ কীভাবে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীসমূহের দূষণের ভয়াবহ পরিস্থিতিও বার্ষিক প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে মর্মে তিনি পরিবেশ মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

 

পরিবেশ মন্ত্রী জানান, দেশের নদীর পানিকে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহারের লক্ষ্যে নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং কমিশনের বাস্তব অভিজ্ঞতা মন্ত্রণালয় কাজে লাগাবে। মন্ত্রী এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রাপ্ত তথ্যসমূহ মন্ত্রণালয়ের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনার প্রস্তাব করেন। আলোচনা শেষে আগামী জানুয়ারি মাসে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের যৌথ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

 

#

 

দীপংকর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৮১৫

নির্মল বায়ু আইন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          সরকার দেশবাসীকে পরিশুদ্ধ বায়ু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে নির্মল বায়ু আইন, ২০১৯ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

          সভায় জানানো হয়, বায়ু দূষণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুমানের উন্নতি, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অংশের বায়ুমান সন্তোষজনক অবস্থায় রাখার জন্য এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য এবং নাগরিকের জীবন ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের অধিকারের নিশ্চয়তা বিধানও এই আইনটি প্রণয়নের লক্ষ্য। আরো জানানো হয়, এই আইনটি প্রণীত হলে পরিশুদ্ধ ও লাগসই প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া, অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থা উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ ও প্রশমন করা যাবে।

          উল্লেখ্য, সর্বসাধারণের অবগতি ও মতামতের জন্য আইনের খসড়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সকল মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর মতামতসমূহ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়সমূহের প্রস্তাবনা বিষয়ে আলোচনা হয়। শীঘ্রই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে আইনটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

#

দীপংকর/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৪৮১৪

 

রূপকল্প ’৪১ বাস্তবায়নে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই

                                                                                                -- শিক্ষামন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি বলেছেন, একটি দেশের জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক কাঠামো অনুযায়ী কর্মক্ষম জনসংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় তখন সে দেশে একটি সুযোগের সৃষ্টি হয়, যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে  অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি সাধন করা যায়। জনমিতির ভাষায় এই অবস্থানকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এর সুবিধা পেতে হলে সঠিক বিনিয়োগ দরকার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে এই সুযোগ এক পর্যায়ে দেশের জন্য বিপর্যয় হয়ে দেখা দেবে। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বেড়ে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে, খরচ বাড়বে, সঞ্চয় কমবে এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে।  ভিশন-২০২১, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জন করতে তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তাই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই।

 

মন্ত্রী আজ  সকালে রাজধানীর নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. এফ আর পেট্রিক ডি জেফনি, সি এস সি  (Professor D. F. R. Patrick D. Gaffney, C.S.C) এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিংস কলেজ ইউএস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফআর থমাস জে. ও হারা সিএসসি (Dr. Fr. Thomas J. O’ Hara CSC)। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার আর্চ বিশাপ এইচ ইএম কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও, সিএসসি।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, Ôআমাদের মনে রাখতে হবে যে একদিকে যেমন দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে হবে তেমনি তাদের মানবিক গুণাবলি ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতেও সক্ষম হতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারলে আমরা স্নাতকদের ও চাকরিদাতাদের পারস্পরিক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যেও দূরত্ব দূর করতে পারবো। শিক্ষাঙ্গনকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং যে কোনো ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও অভিভাবকদের সজাগ, সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে এবং সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন হয়ে ওঠে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সুকুমার বৃত্তি চর্চার পীঠস্থান।’

 

#

খায়ের/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৮১৩

‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ উদযাপিত

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০১৯’ উদ্যাপন উপলক্ষে আজ বিস্তারিত কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

          দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তর বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১০ টায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম-সহ বিজিবি’র ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক-সেবা (বিজিবিএমএস), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-সেবা (পিবিজিএমএস) প্রদান করেন।

          ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর পিলখানার এই মাঠেই বাংলাদেশ রাইফেল্স এর তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। আজকের এই প্যারেডের সময় উক্ত ভাষণটি প্রধানমন্ত্রী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে দেখানো হয়। এছাড়াও ডগ মার্চ, মোটরসাইকেল, অল টেরেইন ভেহিক্যাল (এটিভি), আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), আদর্শ বিওপি বহনকারী গাড়ি, ‘কালের বিবর্তনে বিজিবি’ বহনকারী গাড়ি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজকে দেয়া বাসের ওপর উক্ত স্কুলসমূহের কোমলমতি শিশুদের আঁকা বিভিন্ন ধরনের চিত্র-সহ দু’টি বাসের মোটর র‌্যালি এবং ‘স্বাধীনতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিজিবি’ এর উপর বর্ণাঢ্য ও মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি রেজিস্টার স্বাক্ষর-সহ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তন হলে বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান করেন।

          বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অন্যান্য মন্ত্রিবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          বিজিবি দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আগামীকাল ১৯ ডিসেম্বর পিলখানাস্থ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তন হলে বিজিবি মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে। দরবার শেষে অনারারি সুবেদার মেজর হতে অনারারি সহকারী পরিচালক এবং অনারারি সহকারী পরিচালক হতে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিধান, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান নিরোধ ও মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার এবং মহাপরিচালকের অপারেশনাল প্রশংসাপত্র ও প্রশাসনিক প্রশংসাপত্র (ইনসিগনিয়া-সহ) প্রদান করা হবে।

#

শরিফুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৪৮১২

 

শোষণ ও বৈষম্য অবসানের দিন ১৬ই ডিসেম্বর

           -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাঙালির ওপর দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে চলে আসা অন্যায়, বঞ্চনা, শোষণ ও বৈষম্যের অবসান হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মাধ্যমে যা বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন। মহান বিজয় দিবস একদিনে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম বীজ বপন করা হয়। এর পর জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ দেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যায়। 

 

প্রতিমন্ত্রী আজ  ঢাকায় ইস্কাটন রোডে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। এ সময় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

 

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, নারীদের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, Ôআমার মা-বোনেরা পেট ভরে খাবার না পেলে, ভাল কাপড় না পরলে স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে’। আজ বাংলাদেশের নারীদের তৈরি কাপড় ও উৎপাদিত চাল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের নারীরা আজ স্বাবলম্বী।  তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, সেই নারীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এ জন্য জাতির পিতা স্বাধীনতার পর পরই নারীদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেন। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা অসহায় ও ঠিকানাহীন নারীদের বলেছিলেন, ’প্রয়োজনে তাঁরা ঠিকানার জায়গায় লিখবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর’। 

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ ও শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সরকার বাস্তবায়ন করছে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের গড় প্রবৃদ্ধি যেখানে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে বাংলদেশের গড় প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ২০০৯ সালে মাত্র ৭৫৯ মার্কিন ডলার থেকে বর্তমান ১৯০৯ মার্কিন ডলার ও  দারিদ্র্যের হার কমে এখন মাত্র ২০ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এখন ২২ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। খাদ্য উৎপাদনে এ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

 

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। 

#

আলমগীর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৪৮১১ 

 

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শেখের কিল্লায় স্মৃতিসৌধ  নির্মিত হবে

                                                             -- ভূমিমন্ত্রী

 

লক্ষ্মীপুর, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকার বাইরে প্রথম গ্রাম সফর ও ঐতিহাসিক দেশ গড়ার আহ্বানের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার শেখের কিল্লা সংলগ্ন স্থানে মুজিব কিল্লা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।

 

আজ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় অবস্থিত শেখের কিল্লা ও পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এ সময় এ কে এম শাহজাহান কামাল, এমপি (লক্ষ্মীপুর-৩) ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, এমপি (লক্ষ্মীপুর-৪) উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, মুজিব কিল্লা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে জাতির পিতার স্মৃতি স্তম্ভ, ম্যুরাল ও অন্যান্য অবকাঠামো থাকবে।

 

ভূমিসচিব মোঃ মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী ও গুচ্ছগ্রাম-২ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জাবেদ আহমেদ, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল-সহ স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রামগতি উপজেলায় আসেন। সেখানে তিনি দুর্যোগগ্রস্ত মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু রক্ষার জন্য নিজ হাতে মাটি কেটে কিল্লা স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন এবং চর পোড়াগাছায় গুচ্ছগ্রাম স্থাপনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ কিল্লার কাজ যে স্থানে উদ্বোধন করা হয়েছিল সে স্থান পরবর্তীতে শেখের কিল্লা বা মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দেশ গড়ার ও অর্থনৈতিক মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।

 

#

নাহিয়ান/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৪৮১০ 

 

দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহণ জরুরি

                                                  -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী 

 

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

 

           দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশবাসী প্রতিনিয়ত নানা ধরনের দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। 

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ইনস্টিটিউট অভ্‌ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ এবং International Safety for Photogrammertry and Remote Sensing এর যৌথ উদ্যোগে ‘পরিবেশ, দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক’ তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অভ্‌ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিস - এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. ফজলে এস ফারুক ও ড. আতিক রহমান।  

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে এ দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি-সহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এদেশের মানুষ দুর্যোগের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পরিবেশবিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিজ্ঞানী-সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

উল্লেখ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ভৌগলিক তথ্য পদ্ধতি বিষয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষকবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করছেন।

 

#

 

সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৮০৯

শুদ্ধাচারে শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বিতীয়

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          গত অর্থবছর (২০১৮-১৯)-এ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ও পরিবীক্ষণ কাঠামো মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সার্বিক মূল্যায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ অর্জনের জন্য মন্ত্রণালয়ের সচিব-সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভালোর শেষ নেই। এ অর্জন ধরে রেখে ভবিষ্যতে অধিকতর সাফল্য অর্জনের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

          সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমকে এক আধা সরকারি পত্রে মন্ত্রণালয়ের এ অর্জনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। সার্বিক মূল্যায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্জিত নম্বর ৯৭ দশমিক ৫০। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সার্বিক মূল্যায়নের গড় নম্বর ৮২ দশমিক ৪৩।

#

আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৮০৮

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সচিবালয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          মহান বিজয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আজ বাদ জোহর বাংলাদেশ সচিবালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

          মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যগণ, মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, দেশের অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা ইতোমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।

          মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।

          মাহফিলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

#

আনোয়ার/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৮০৭

 

রাজাকারের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করে বিএনপি নিজেদের স্বরূপ উন্মোচন করেছে

                                                               --- ড. হাছান মাহ্‌মুদ

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

          তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান  মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘রাজাকারের তালিকা কেন - এ প্রশ্ন করে বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’

          আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন র‌্যালি উদ্বোধনকালে ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকা কেন’ - বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

          ড. হাছান বলেন, ‘মীর্জা ফখরুল সাহেব তার এ বক্তব্যের  মধ্যে দিয়ে রাজাকারদেরই পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন এবং তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। আজ রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর মীর্জা ফখরুল সাহেব কেন তালিকা প্রকাশ হলো- এ প্রশ্ন রেখে রাজাকারদের পক্ষ অবলম্বন করে নিজেদের মুখোশই উন্মোচন করেছেন।’

          ‘কারণ রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, রাজাকারদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, তারা বিএনপি ও তাদের সহযোগী এবং সেজন্যই এ তালিকা প্রকাশে তাদের এত গাত্রদাহ’, বলেন আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক।

          এ সময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো  কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  

জাতির মনন তৈরিতে বেতারের ভূমিকা অনন্য

          বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতি গঠন এবং উন্নত রাষ্ট্র গড়ার পাশাপাশি জাতির মনন তৈরিতে বেতারের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ‘নিউ-মিডিয়ার’ এই যুগেও বেতার তার স্বাতন্ত্র বজায় রেখেছে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ এখন গাড়িতে, মোবাইলেও বেতার শোনে।

          ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ বেতার ১৯৩৯ সালে পূর্ব-বাংলা আমলে প্রতিষ্ঠা পেয়ে এ অঞ্চলের মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে অবদান রেখেছে, তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।

          এরপর বেতার চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ বক্তব্

2019-12-18-21-31-430b2083c9ba860d5a2824203d7d071f.docx