তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭২৯
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা ও প্রবর্তন চট্টগ্রাম থেকেই উদ্ভাসিত হয়েছে
--ফারুক ই আজম
চট্টগ্রাম, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম,বীর প্রতীক বলেছেন, বিশ্ব সভ্যতায় এক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা ও প্রবর্তন চট্টগ্রাম থেকেই উদ্ভাসিত হয়েছে। এই মানবিক অর্থনৈতিক দর্শন বিশ্বকে চমকিত ও আশান্বিত করেছে। সমাজতান্ত্রিক কিংবা পুঁজিবাদী বিশ্ব—সর্বত্র অনুসন্ধিৎসার সাথে এই নব্য অর্থনীতির জ্ঞান ও ধারণা আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রাম কলেজ আয়োজিত ৭ম ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াড ২০২৫, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রোইকোনমিক্স, সামাজিক ব্যবসা এবং সমস্যার সমাধানভিত্তিক ব্যবসা—এই ধারণাগুলোর জন্মও হয়েছে চট্টগ্রামের মাটি থেকেই। এখানেই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার সূচনা, যা পরবর্তীতে ‘Banking for the Poor’ এবং মাইক্রোক্রেডিট নামে বিশ্বজুড়ে বিস্তার লাভ করে। এখান থেকেই নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘সামাজিক ব্যবসা’ ধারণাটি বিশ্বজয় করে। আজকের দুনিয়ায় অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানভিত্তিক উদ্যোগ—যেমন Problem Solving Business—চট্টগ্রাম থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যেখানে জামানত, সম্পদ ও প্রতিশ্রুতি মুখ্য, সেখানে ট্রাস্ট-বেইজড ব্যাংকিং মানুষের বিশ্বাসকে মূলধন হিসেবে বিবেচনা করে। তিনি বলেন, এই অনন্য ধারণাটিও চট্টগ্রাম থেকেই উৎসাহিত হয়েছে এবং এটি মানবিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নৈতিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এই নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তত্ত্ব ও প্রয়োগই বাংলাদেশকে প্রথম নোবেল জয়ের গৌরব এনে দিয়েছে। আমাদের গ্রামীণ ব্যাংক ও এর উদ্ভাবক প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন।
ফারুক ই আজম বলেন, অলিম্পিয়াড আমাদের তরুণদের শুধু মেধা যাচাইয়ের ক্ষেত্র নয়, বরং অর্থনৈতিক নেতৃত্ব, নীতিনির্ধারণ, বাজেট বিশ্লেষণ এবং টেকসই উন্নয়নের জ্ঞান অর্জনের এক উৎকর্ষ মঞ্চ। আজকের শিক্ষার্থীরা যেন শুধু তত্ত্ব নয়, বাস্তব জগতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হয় সেই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।
তত্ব্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বাংলাদেশ ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বক্তৃতা করেন।
#
এনায়েত/মাহমুদুল/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭২৮
আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে
-কৃষি সচিব
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে):
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, উন্নত কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদিত আম স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
কৃষি সচিব আজ রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে কৃষকের বাজারে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে উৎপাদিত নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব বলেন, দেশে উৎপাদিত আম সুস্বাদু ও গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় সারাবিশ্বে পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সেগুলো পৌঁছাতে পারি না। উন্নত কৃষি চর্চার মাধ্যমে সমস্যা কাটিয়ে আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের আম ৩৮টি দেশে রপ্তানি হয়। এবছর নতুন করে চীন যোগ হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৩ শত মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। আমরা আম রপ্তানি ৫০ হাজার টনে উন্নীত করতে পারি। এর জন্য আমদানিকারক দেশের বিধিবিধান মেনে আম উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হবে।
সচিব আরো বলেন, আমাদের দেশের আম বেশ সুস্বাদু। কিন্তু আমের রং নিয়ে বিদেশে সংশয় রয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তা বজায় রেখে কিভাবে আমের রং ও মৌসুম বাড়ানো যায়, তার জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমকে যথাযথভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে আমরা কাজ করছি। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একাধিক প্রকল্পও রয়েছে। রপ্তানি বাধা কাটিয়ে উঠতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে জানিয়ে এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, রপ্তানির সমস্যাগুলো আমরা সমস্যা সমাধান করবো।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নার্গীস আক্তার, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশীপ এন্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে সচিব উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে উৎপাদিত নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
#
জাকির/ফাতেমা/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১২২০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৭২৭
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে):
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের ৪টি ক্যাটাগরির চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত যথাসময়ে ঢাকা শহরের ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি’ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরের অনুকূলে SMS এবং প্রবেশপত্রের ডাউনলোড লিংক প্রেরণ করা হয়েছে।
কতিপয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে অতিবৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের এসকল অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
ইমদাদ/ফাতেমা/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১২২০ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৬
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
সব ধরনের তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক সেবনের ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, অ্যাজমা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল ও প্রাণঘাতী রোগে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তামাক কোম্পানিগুলো তরুণ প্রজন্মকে তামাক সেবনে প্রলুব্ধ করতে নিত্যনতুন তামাকপণ্য আকর্ষণীয় প্যাকেজিং ও ডিজাইনে বাজারজাত করছে। আমাদের যুব সমাজকে তামাকজাত পণ্য থেকে দূরে রাখতে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’- একটি সময়োপযোগী আহ্বান।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং প্রচলিত তামাকপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া, বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার Framework Convention on Tobacco Control (FCTC)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ সংশোধন ও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে চিকিৎসক, পেশাজীবী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্ম তামাক ও নিকোটিনের সর্বনাশা ছোবল থেকে মুক্তি পাবে।
আমি ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।”
#
আশরোফা/ফাতেমা/রমজান/আলী/মানসুরা/২০২৫/১০৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ