Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১৭ মে ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৩৫৮৯

তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

                                              - স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সফল একটি সেক্টর হচ্ছে আরএমজি সেক্টর। যার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে নারীদের বিপুল অংশগ্রহণ। আইসিটি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতা আছে তা চিহ্নিত করে সেভাবেই পলিসি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে । তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি অনেক ঝুঁকিও তৈরি করেছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় দেখি নারীরা সাইবার বোলিং, হ্যারাসমেন্ট বা ভায়োলেন্সের শিকার হন। আমাদের সরকার এগুলো শুরু থেকে বিবেচনায় নিয়েছে। আমরা চাই দেশের সাইবার স্পেস তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরাপদ থাকুক নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলের জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা একটি অভাবনীয় ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই রূপান্তর সমাজে সুযোগ তৈরির পাশাপাশি বৈষম্যও তৈরি করছে। ডিজিটাল গভর্নেন্স, ই লার্নিং, ইন্টারনেট সূচক এসব সূচকে সেবা গ্রহীতার দিক থেকে আমাদের নারীরা পিছিয়ে আছে। পলিসি মেকার হিসেবে নারীদের এই পিছিয়ে থাকার বিষয়টি মোকাবেলা করা আমাদের কর্তব্য। সে লক্ষ্যে আমাদের চেষ্টাগুলো অব্যাহত রেখেছি। তবে আমি মনে করি বৈষম্য দূর করতে ইন্ডাস্ট্রির সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে সরকারকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ফাইবারাইজেশন এর টার্গেটগুলো অ্যাচিভ করতে পারি, এক্সেস টু ডিভাইস বানাতে পারি, ডিজিটাল সেবাগুলোকে অফিস থেকে বিকেন্দ্রীকরণ করে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি তাহলে বৈষম্য নিরসনে সফলতা আসবে। যে নিছক একটা দিবস উদ্‌যাপনের বাইরে এসে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনকারী কৃতী সন্তান এবং সফল প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছি।

প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী বলেন, সাইবার আইনের ২৫ ধারায় আমরা নারীবান্ধব একটি নতুন ধারা রেখেছি, যৌন হয়রানি ব্ল্যাকমেইলিং এবং অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীদের বর্ধিত সুরক্ষার কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইনে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। আমাদের নারী কেন্দ্রিক যে সফলতম প্রোগ্রামগুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম হার পাওয়ার। আমরা এই প্রকল্পটির দ্বিতীয় ফেজ শুরু করছি এবং এখানে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্টিফিকেটধারী নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্র্বতী সরকার নারী পুরুষের সমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিল্পায়ন, নাগরিক জীবন এবং শিক্ষা স্বনির্ভরতা নারীকে ঘরের বাইরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়ে প্রশস্ত করেছে দেশের কর্মক্ষেত্র। ফলে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং তথ্য প্রযুক্তিসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অবাধ বিচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কর্মজীবী নারীদের তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের অনুরোধ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি সচিব বলেন, নারীদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স যা মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে তাতে সাইবার বুলিং এর বিষয় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং টেলিকম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

#

জসীম/মেহেদী/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৮৮

বোট ওয়ার্কশপের উদ্বোধন কোস্টগার্ডের

আধুনিকায়নে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন

                                - স্বরাষ্ট উপদেষ্টা

বাগেরহাট (মোংলা), ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

          স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, নবনির্মিত বোট ওয়ার্কশপ ও স্লিপওয়ের উদ্বোধন কোস্টগার্ডের আধুনিকায়নে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।

উপদেষ্টা আজ বাগেরহাট জেলার মোংলায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন এবং নবনির্মিত বোট ওয়ার্কশপ ও স্লিপওয়ের উদ্বোধন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, কোস্টগার্ডের সদস্যদের প্রত্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় নানা প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনসমূহে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আজ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ও প্রযুক্তি নির্ভর বোট ওয়ার্কশপ উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই সংযোজনের মাধ্যমে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। উপদেষ্টা এসময় নবনির্মিত বোট ওয়ার্কশপ কোস্টগার্ডের পাশাপাশি মোংলা বন্দর, নৌবাহিনী, বিজিবি, নৌ পুলিশ এবং বনবিভাগের বোটসমূহের মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে একটি প্রযুক্তি নির্ভর 'মেরামতের হাব' হিসেবে অবদান রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, কোস্ট গার্ডকে একটি যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন এবং টাগবোট সংযুক্ত করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের আধুনিকায়নে বুলেট প্রুফ হাই স্পিড বোট, সারভাইল্যান্স ড্রোন, দ্রুতগামী জাহাজ ও বোট এর সংযুক্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা পশ্চিম জোনেও অন্তর্ভুক্ত হবে। তিনি বলেন, কোস্ট গার্ডকে প্রযুক্তি নির্ভর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারও সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সকল উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের জলসীমায় সার্বভৌমত্ব এবং উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, অতি সম্প্রতি কোস্টগার্ড গোপনে দেশের অভ্যন্তরে পুশ-ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশীকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উদ্ধার করেছেন এবং ভবিষ্যতে পুশ-ইন রোধে সর্বদা তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সমুদ্রে অবস্থানরত জাহাজে ফ্ল্যাগ মিটিং এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে বন্দি জেলেদের বিনিময় কাজ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছেন যা তাদের পেশাদারিত্বেরই প্রমাণ বহন করে। তিনি এ সময় গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং জননিরাপত্তা রক্ষায় সদা জাগ্রত থেকে কার্যকরী ভূমিকা পালনের জন্য কোস্ট গার্ড সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। 

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা শীঘ্রই আরো ৫টি বড় ধরনের বোট কেনার প্রস্তাব করেছি যা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তাছাড়া প্রয়োজন সাপেক্ষে অদূর ভবিষ্যতে কোস্টগার্ডের জন্য হেলিকপ্টার ক্রয় করা হবে। সুন্দরবনে জলদস্যুদের নতুন করে উৎপাত প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জলদস্যুর উৎপাত বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটতে দেয়া হবে না। জলদস্যু বা বনদস্যু যে ধরনের দস্যুই থাকুক না কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। 

#

ফয়সল/মেহেদী/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/১৯৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৮৭

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ

                                                                                                             -  তথ্য সচিব

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।

আজ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ’ ভিজ্যুয়াল বা চিত্রভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের গৌরবময় দায়িত্ব পালন করছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তথ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ফিল্ম ভল্ট ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত ও আধুনিক করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই আর্কাইভ নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ফিল্ম আর্কাইভের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম আর্কাইভস’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অভ্‌ অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্কাইভ’-এর অন্যতম সদস্য। এই দুই আর্ন্তজাতিক সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক এসব সংগঠনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ একটি আধুনিক ও সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চলচ্চিত্রকে সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন,   একটি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সময়ের নির্ভরযোগ্য দলিল হিসাবে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ সেই দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে নিরলসভাবে কাজ করছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণের আঁতুড়ঘর হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ফিল্ম এডিটর ও পরিচালক ফজলে হক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শাহীন সুমন, প্রযোজক ও পরিচালক সায়মন সাদিক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা হেলাল খান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য লাবিব নাজমুস সাকিব ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-সংক্রান্ত জুরি বোর্ডের সদস্য সাইদুর রহমান সাইদ।

আলোচনা সভার আগে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

#

মামুন/মেহেদী/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৮৬

 

চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ার আহ্বান শ্রম উপদেষ্টার

 

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়তে হবে এবং এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা।

আজ শ্রীমঙ্গলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের ভবন উদ্বোধন শেষে চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, দেশের চা শিল্পের উন্নয়ন ও চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে আস্থা ও ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহকরণ সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ও শিশুদের প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকরা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। অনেক বাগানে এখনো মজুরি কম, বাসস্থানের অবকাঠামো দুর্বল এবং স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এছাড়া চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ না থাকায় নতুন প্রজন্মও বাধ্য হয় চা বাগানের কাজে যোগ দিতে। চা সেক্টরের সকল সমস্যা সমাধানে শ্রমিক সংগঠন ও বাগান মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, শুধু মজুরি বৃদ্ধিই নয়, শ্রমিকদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকার, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হবে। বাংলাদেশের চা শিল্পের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে; কিন্তু শ্রমিকদের দুর্দশা এই শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। শ্রমিক-মালিক সংঘাত কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো গেলে এই শিল্প আবারো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে। সর্বস্তরের সমন্বয় ও সদিচ্ছাই পারে চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে স্থানীয় উদ্যোগ—সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। সরকার ইতোমধ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও শ্রমিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে বাস্তবায়নে উভয় পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। চা শ্রমিকের জন্য টিসিবির পণ্য বিতরণ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে।

চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা শ্রমিকদের ছুটি বৈষম্য, পেনশন গ্রাচুইটি, বাসস্থান, নির্বাচন ব্যবস্থা ত্বরান্বিতকরণ, শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের মানোন্নয়ন, সন্তানদের জন্য কারিগরি শিক্ষা, এডহক কমিটি গঠন, বকেয়া মজুরি, জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা, অস্থায়ী শ্রমিকদের বিধি মোতাবেক স্থায়ীকরণ, শ্রমিকদের প্রফিডেন্ট ফান্ডের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ, চা বাগান এলাকায় অবস্থিত স্কুলগুলো সরকারিকরণ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।

এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/মেহেীদী/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/১৮৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৩৫৮৫

আমরা পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী

                                                                             -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

 

আমরা কাউকে পুশ-ইন করি না, কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । 

 

উপদেষ্টা আজ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং খালের সংযোগস্থলে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।  

 

উপদেষ্টা বলেন, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশি পরিচয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন সমস্যা প্রতিরোধে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকল অনুসরণ করে আসছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সমস্যা সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে চিঠি লিখেছি। আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান এ সমস্যার সমাধানে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। 

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা ভারতকে জানিয়েছি বাংলাদেশি কেউ যদি অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করে তবে তারা যেন যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে প্রেরণ করে। বাংলাদেশে যদি অবৈধ ভারতীয় নাগরিক অবস্থান করে তাদেরকে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠাবো। সেজন্য ভারত সরকারকে বলা হয়েছে, তারাও যেন পুশ-ইন না করে যথাযথ চ্যানেলে ফেরত পাঠায়। তিনি বলেন, গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে ভারত পুশ-ইনের চেষ্টা করেছে যা বিজিবি, আনসার ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় প্রতিহত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ও সহযোগিতা করলে ভারত পুশ-ইন করতে পারবে না।

 

 জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভারত গুজরাটে অবস্থিত একটি বাঙালি বস্তি ভেঙে দিয়েছে। সেখানে কিছু রোহিঙ্গা গিয়েছিলো। ঐ বস্তি ভেঙে দেওয়ার পরই মূলত পুশ-ইন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের মধ্যে ইউএনএইচসিআরের কার্ডধারী কিছু রোহিঙ্গাও রয়েছে। আবার যারা ভারতীয় রোহিঙ্গা তাদেরও পুশ-ইন করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেজন্য আমরা একটা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। 

 

ভারত যেহেতু ৩৭০ জনকে পুশ-ইন করেছে, বাংলাদেশেরও একইভাবে পুশ-ব্যাক করার ইচ্ছা আছে কিনা- এ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তারা যদি আমার দেশের নাগরিক হয়, তাহলে তো পুশব্যাক করার অধিকার আমাদের নাই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা অবৈধ ভারতীয় আছে, তাদের আমরা এভাবে পুশ-ব্যাক করবো না। আমরা তাদেরকে যথাযথ চ্যানেলে ফেরত পাঠাবো। কেননা, পুশ-ইন বা পুশ-ব্যাক কোনো আইনসম্মত পদ্ধতি নয়। 

 

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত এই ভাসমান বিওপি একটি অপারেশনাল প্লাটফর্ম, যা জলপথে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করবে। তিনি বলেন, ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ শুধুমাত্র একটি স্থাপনা নয় এটি একটি কৌশলগত নিরাপত্তা পদক্ষেপ, যা সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিজিবির অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এই উদ্যোগ সীমান্তে নতুন নিরাপত্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং কার্যকর সীমান্ত ব্যাস্থাপনায় সহায়ক হবে।

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে কার্যকর জলভিত্তিক নজরদারি নিশ্চিত করতে বিজিবি'র অধীনে একটি বিশেষ ‘রিভারাইন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন’ গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও নদীঘেরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে স্থলপথে নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা বজায় রাখা কঠিন। এই ভাসমান বিওপি চোরাচালান, মানবপাচার, বনজসম্পদ লুণ্ঠন এবং সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবিকে তাৎক্ষণিক এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

 

বাংলাদেশ-ভারত ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার নৌসীমান্ত, যার মধ্যে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার এলাকা সুন্দরবনের অন্তর্গত। পূর্বেও দুইটি ভাসমান বিওপি কাঁচিকাটায় ও আঠারোবেকিতে স্থাপন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বয়েসিংয়ে তৃতীয় ভাসমান বিওপি হিসেবে আজ উদ্বোধন করা হলো।

 

‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ এর উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মোঃ জিয়াউল হক, বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। 

 

পরে উপদেষ্টা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি একটি বৃক্ষ রোপণ করেন এবং ব্যাটালিয়নের সদস্যদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। 

 

#

ফয়সল/ তৌহিদ/ফাতেমা/মিতু/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১৫৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ৩৫৮৪

কুষ্টিয়ায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ

 

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

 কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বারমাইল, লালনশাহ ব্রীজমোড় ও জগশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিড়ি, অসংখ্য জাল ব্যান্ডরোল, লেবেলবিহীন আকিজ বিড়ি এবং ফিল্টারসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।  

কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেলের কাস্টমস কর্মকর্তা পুলক সাহার নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। উৎপাদিত অবৈধ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রি করছে চক্রটি।

এসময় জগশ্বর গ্রামের বাঁশবাগান থেকে অসংখ্য লেবেলবিহীন নকল আকিজ বিড়ি, ৬৬ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত মরিয়ম বিড়ি এবং ৪৫ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত ১১৬ নং বকুল বিড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া, আট হাজার নকল ব্যান্ডরোল ও ফিল্টারসহ বিপুল পরিমাণ নকল বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা নকল বিড়ি ও বিড়ি তৈরির উপকরণ রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। জব্দকৃত নকল বিড়ি ও বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ কাস্টমস হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাস্টমস কর্মকর্তা পুলক সাহা জানান, বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে একটি চক্র নকল বিড়ি তৈরি করে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

#

 

ইকবাল/তৌহিদ/ফাতেমা/মিতু/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১৬০০ ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                             Number: 3583

Attacks on Forest Officials not to be Tolerated

Stern Action to be Taken Against the Responsibles

                                        — Environment Secretary


Dhaka, 17 May:

­­­

Dr. Farhina Ahmed, Secretary of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, has strongly condemned the recent attack on forest officials while they were protecting forest land, calling it "outrageous and unacceptable." She said a group of miscreants, attempting to encroach on forest land, launched the attack on field-level forest officials. “It is our collective responsibility to ensure the safety of those who are working to protect our environment,” she added.

The Secretary made these remarks while visiting injured Beat Officer Mohidur Rahman at Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital today. She urged law enforcement agencies to promptly identify and bring the attackers to justice. The Secretary also inquired about the injured officer’s condition and gave necessary instructions to hospital authorities to ensure proper treatment.

Joint Secretary (Forest) Shamima Begum, Chief Conservator of Forests Md. Amir Hosain Chowdhury, and other senior officials were present during the visit.

 Beat Officer Mohidur Rahman Joy and four other forest staff were injured yesterday in an attack by miscreants while resisting an attempted land grab at the Savar Sub-Beat area in Chhoto Kaliakoir, Savar. Mohidur Rahman is currently under treatment at Suhrawardy Hospital in Dhaka.


#

 

Dipankar/Tohid/Fatema/Mitu/Romzan/Alli/Shafiq/2025/1620 hrs

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ৩৫৮২

বনরক্ষীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

                                                                                  — পরিবেশ সচিব

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, বনরক্ষীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার বন কর্মকর্তাদের উপর হামলাকে ন্যাক্কারজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বনের জমি দখল করতে চাওয়া একশ্রেণির দুর্বৃত্তচক্র মাঠপর্যায়ের বন কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। যারা দেশের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ চিকিৎসাধীন আহত বন বিভাগের বিট অফিসার মহিদুর রহমানকে দেখতে গিয়ে সচিব এসব কথা বলেন।  

পরিবেশ সচিব আহত কর্মকর্তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এসময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

এসময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বন) শামীমা বেগম, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল সাভারের ছোট কালিয়াকৈর এলাকায় বন বিভাগের সাভার সাববিটের জমি জবরদখলের চেষ্টা প্রতিহত করতে গেলে বিট কর্মকর্তা মহিদুর রহমান জয়সহ ৫ জন বনকর্মী দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। মহিদুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

#


দীপংকর/তৌহিদ/ফাতেমা/মিতু/রমজান/আলী/শফিক/২০২৫/১৪৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ৩৫৮১

চা শ্রমিকদের অসন্তোষ দূরীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করবে সরকার     

শ্রীমঙ্গল, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে):

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চা শিল্পের উন্নয়ন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া পূরণ ও অসন্তোষ দূরীকরণে শ্রম, অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া, শ্রমিক-মালিক-সরকারের ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এই খাতের সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে। 

উপদেষ্টা গতকাল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বালিশিরা ভ্যালি ক্লাবে জেলার বিভিন্ন চা বাগান কর্তৃপক্ষ, সিইও ও ব্যবস্থাপকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ও মৌলিক চাহিদা

2025-05-17-15-20-8dcdc0952400023d1abd3825f1cebea5.docx