Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১০ জুন ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ৩৮১৪

পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে

                                                -- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, পূর্বাচলে মোটামুটি একটা সতেজ বন আছে। এখন এ বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ জরুরী এবং দ্রুতই এটা করা হবে।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আজ ঢাকায় পূর্বাচলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

পানি সম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, ভুল বনায়ন নীতি, আমাদের নগরায়ন ও শিল্পায়ন এসব কিছুর কারণে আসলে এখানে শালবনটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। রাজউকের পূর্বাচল দ্বিতীয় পেজের ভিতরে রাজউক এ বনটিকে ঢুকিয়ে ফেলেছিল কিন্তু আমরা বহু কষ্ট করে, আইনি লড়াই করে এই বনটুকুকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি, যা কিনা ১৪৪ একরের মতো হবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব, প্রধানত শাল গাছের চারা দিয়ে বনটাকে ফিরিয়ে আনা। এই এলাকার যে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, এটা একটা গড় এলাকা।

রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, এখানে যেটুকু ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে আমরা চেষ্টা করব যাতে প্রাকৃতিক উপায়ে যেন শালবনটা ফেরত আসে। এছাড়া এখানে ফাঁকা জায়গাটা যেন বেদখল হতে না পারে সেজন্য প্রাকৃতিক আবহে কিছু শাল গাছের চারা ফাঁকা জায়গাগুলোতে রোপণ করা হবে। আর, শালের যে কূল আছে সেখান থেকে যেন আপনি আপনিই বনটা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

উপদেষ্টা বলেন, এই এলাকাটা আগে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বন হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল। নতুন করে এখন এটাকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বনে জায়গার ভিতরে প্রথাগত বনবাসী না হলে অন্য কারো থাকার কোন সুযোগ নেই, ফলে এ বনের জায়গার মধ্যে যারা অবৈধ দখলদার আছে তাদেরকে দ্রুতই বনের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে বলে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

এসময় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোঃ ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সামাজিক বন বিভাগ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তার-সহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

                                                 #

আবদুল্লাহ/নোবেল/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/২২১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮১৩

এ বছরে ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে

 ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

ঈদুল আজহা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারের ঈদুল আজহায় সারা দেশে বিপুল সংখ্যক পশু কোরবানি করা হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশে ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়। এর মধ্যে গরু ও ছাগলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু/মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি; ছাগল/ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮ টি; অন্যান্য ৯৬০ টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩ টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এবার সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী  বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১ টি গবাদি পশু। আর সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩ টি। এছাড়া এবার ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২ টি, খুলনা বিভাগে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৭৮৩ টি, রংপুর বিভাগে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টি পশু কোরবানি হয়েছে।

                                                  #

মামুন/নোবেল/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/২২০৫ ঘণ্টা

Handout                                                                                                   Number: 3812

Two Geckos and One Fishing Cat Rescued in Jashore Forest circle

Dhaka, 10 June:

Police today rescued a gecko from a motorcyclist in Taltala, Satkhira Sadar Upazila, under the Jashore Social Forest Division. Additionally, another gecko and an accused individual were apprehended through a Forest Department source. A case will be filed at the police station tomorrow regarding this incident.

On the same day, an ill fishing cat was rescued from a mango orchard adjacent to a road in Bujtala village, Sharsha Upazila, also under the Jashore Social Forest Division. The rescued cat was taken to the Sharsha SFNTCL Hospital and given primary treatment. The cat is now somewhat recovered and able to move around a little on its own. Once fully recovered, it will be released near its natural habitat.

The Forest Department's ongoing efforts to protect natural resources and safeguard wildlife through such activities will continue.

#

Dipankar/Nobel/Subarna/Subrata/Kanai/2025/2136 hours


তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮১১

যশোর বন অঞ্চলে ২টি তক্ষক ও মেছো বিড়াল উদ্ধার

যশোর, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

যশোর সামাজিক বন বিভাগের আওতাধীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালতলা নামক স্থান থেকে পুলিশ আজ একটি তক্ষক উদ্ধার করেছে। মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তির কাছ থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, বন বিভাগের সোর্সের মাধ্যমে আরো একটি তক্ষক উদ্ধার এবং আসামীকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আগামীকাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।

এছাড়া, একই দিনে যশোর সামাজিক বন বিভাগের আওতাধীন শার্শা উপজেলার বুজতলা গ্রামের আম বাগান থেকে একটি অসুস্থ মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়। বিড়ালটি শার্শা এসএফএনটিসি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে বিড়ালটি কিছুটা সুস্থ হয়ে নিজে অল্প হাঁটাচলা করতে পারছে। দ্রুত সুস্থ হলে তাকে তার বাসস্থানের কাছাকাছি ছেড়ে দেওয়া হবে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় বন অধিদপ্তরের চলমান প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

                               #

দীপংকর/নোবেল/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ৩৮১০

বাংলাদেশে সবুজ প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহণ ও ব্যাটারি শিল্পে বিপ্লব

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন):

বাংলাদেশে সবুজ প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহণ, ইভি ও লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি জারি করা দুটি পৃথক এসআরও-এর মাধ্যমে ই-বাইক ও লিথিয়াম/ গ্রাফিন ব্যাটারির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার ক্ষেত্রবিশেষে ৬০ শতাংশ-৮০ শতাংশ কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এই সিদ্ধান্তের ফলে হুয়াওয়ে, টয়োটা ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো অন্তত ২০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ই-বাইক, তিন ও চার চাকার ইভি, এবং মোবাইল টাওয়ার ব্যাটারি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, এতে দেশের জ্বালানি সাশ্রয়, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের পাশাপাশি রপ্তানিতে বৈচিত্র্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের উদ্যোগে এই নীতিগত অগ্রগতি ঘটে। গত ৫ মে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন ধরনের রেফারেন্স সহযোগে একটি গবেষণা ভিত্তিক ডিও বা আধা সরকারি পত্র প্রেরণ করেন। বিষয়টি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এবং বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এই নীতিগত পরিবর্তনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পুরো টিম একাধিক বৈঠক ও পরামর্শ সভার মাধ্যমে গবেষণা ভিত্তিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ও এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। নতুন এসআরও কার্যকর হলে যেসব সুফল পাওয়া যাবে: দেশে ই-বাইক, লিথিয়াম আয়ন ও লিথিয়াম-গ্রাফিন ব্যাটারি উৎপাদনের পথ উন্মুক্ত হবে; ‘ইজি বাইক’ ও রিকশায় গবেষণা-অ্যাসিড ব্যাটারির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত হবে; দেশি শিল্পে গতি ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে এবং রপ্তানি বিকাশেও অন্তত ১০০০ কোটি টাকার রাজস্ব লিকেজ কমানো সম্ভব হবে। এছাড়া, পুরাতন ও রিফার্বিশড পার্টস আমদানির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি ও ই-বর্জ্য বৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল, প্রস্তাবনা মতে তা বন্ধ করতে ২০২২ সালের এসআরও নং ১২৩ বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রতিবছর সরকার আনুমানিক ১০০০ কোটি টাকার রাজস্ব পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবেশবান্ধব একটি সবুজ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এই নীতিগত সংস্কারকে ‘সবুজ ট্রান্সপোর্টেশন, ইভি এবং পরিবেশ বান্ধব ব্যাটারি শিল্প উৎপাদনে নতুন এক যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেফারেন্স:

ক. ই-বাইক পণ্যের জন্য প্রজ্ঞাপন

১. কাস্টমস এসআরও নং-১৯৩-আইন/২০২৫/১৫-কাস্টমস (২৯ মে, ২০২৫)

২. ভ্যাট এসআরও নং-১৭৫-আইন/২০২৫/৩০৩-মূসক (২৭ মে, ২০২৫)

খ. লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারির জন্য প্রজ্ঞাপন

১. কাস্টমস এসআরও নং-১৯৪-আইন/২০২৫/১৬-কাস্টমস (২৯ মে, ২০২৫)

২. ভ্যাট এসআরও নং-১৭৪-আইন/২০২৫/৩০২-মূসক (২৭ মে, ২০২৫)

গ. পূর্বের এসআরও বাতিল এসআরও নং-১২৩-আইন/২০২২/৭১/কাস্টমস (১ জুন, ২০২২)

                                              #

জসীম/নোবেল/সুবর্ণা/সুব্রত/কানাই/২০২৫/১৮০৫ ঘণ্টা

2025-06-10-16-21-7146272d588df05902e8487ddd8b392d.docx