তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫৩
শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
নাটোর, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিকে একজন শিশু নিজের ভাষা ভালভাবে না বুঝলে অন্য ভাষা আয়ত্ব করতে পারবে না। যদি নিজের ভাষা পড়তে শিখে তাহলে সবকিছু পড়তে পারবে। শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। নৈতিকতা ছাড়া অধিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও লাভ হবে না। শিশুদের কো-কারিকুলার কার্যক্রম খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করতে হবে। কো-কারিকুলার কার্যক্রম শিশুর প্রতিভা বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা আজ নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত জেলার প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বড় মন্ত্রণালয়। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো খুব ভালো চলছে। এর বৈশিষ্ট্য হলো - সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন ভালো নেতা। তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন। শিশুকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে শত শত মানুষের মনের কোঠায় শিক্ষকগণ থাকতে পারেন।
জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ সানাউল্লাহ, নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোহাম্মদ গোলাম নবী।
এর আগে উপদেষ্টা নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রুম টু রিড’ এর সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিদর্শন, উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় কমিটি আয়োজিত 'পড়া-লেখা উৎসব' ও অভিভাবক সভায়' প্রধান অতিথির বক্তৃতা এবং 'পড়া-লেখা উৎসবে' বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বড়াইগ্রাম স্কুলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য শিশুরা যাতে সাবলীলভাবে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারে সে বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছি। শিশুরা যাতে মুখস্থ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন সমস্যা হলে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে হবে। শিক্ষার সাথে স্বাস্থ্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা শুধু শরীর ভালো রাখে না, পরস্পরকে যৌথভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, অন্যান্য গুণাবলী থাকতে হবে। পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
#
জাহাঙ্গীর/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৫২
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে
--- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সশস্ত্র নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়ে আমাদেরকে এই বাংলাদেশ গড়ার নতুন প্রেক্ষিত এনে দিয়েছে। এ যেন এদেশের সাধারণ মুক্তিকামী মানুষের মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতা। তাই এই সুযোগকে আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
আজ ঢাকায় শহিদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স¦াস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিবেশনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে একজন চিকিৎসক হওয়ার প্রেরণা কৈশোর থেকেই প্রোথিত হয়। অনেক অধ্যবসায়ে একজন চিকিৎসক গড়ে উঠে। সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কেবল চিকিৎসক নন, আপনারা স্বাস্থ্য সেবা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। স্বাস্থ্য সেবায় বৈষম্যের কারণে সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতাও সর্বত্র পরিলক্ষিত হয়। তাই স্বাস্থ্যসেবায় জনআস্থা ফিরিয়ে আনা ও জনমুখী স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশ সৃষ্টি এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আপনাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমি আশা করি, আপনারা আপনাদের মেধা, প্রজ্ঞা এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।
ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসেবা প্রদানে মন্ত্রণালয় আপনাদের ওপর নির্ভর করে। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সিংহভাগ সদস্যই বার্ধক্যে উপনীত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বার্ধক্যজনিত রোগ, পঙ্গুত্ব, ট্রমা ও নানা জটিলতায় ভুগছেন। তাদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকলেও প্রকৃত চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রাথমিক চিকিৎসা বা নিয়মিত চেকআপের অভাবে ন্যূনতম মানবিক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত আপনাদের অর্থায়ন করে থাকে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা যতদিন বেঁচে থাকবেন তাঁদের সম্মানের সাথে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দায়বদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে জুলাই গণ অভ্যুত্থান এক সাহসী ও রক্তাক্ত অধ্যায়। সামাজিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজের দাবিতে দেশের হাজারো শিক্ষার্থী, তরুণ, পেশাজীবী, নাগরিক এই দিন রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই অভ্যুত্থানে অনেকে শহিদ হয়েছেন। আহতদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন। এই প্রেক্ষাপটে শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে শহিদ এবং আহতদের তিনটি শ্রেণিতে গেজেট দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাই আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ের সিভিল সার্জনদের ভূমিকা হবে মুখ্য ও অবিচ্ছেদ্য। এক্ষেত্রে আপনাদের হতে হবে সুবিবেচক ও ধৈর্যশীল।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বেশকিছু ক্ষেত্রে গেজেটে সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। তাই আমি আশা করি, বিষয়গুলো আপনারা আপনাদের প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সহায়তা করবেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’-এর সঙ্গে আপনাদের সরাসরি সমন্বয় করতে অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে সঠিক তথ্য, সময়মতো সেবা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা যায়।
#
এনায়েত/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫১
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির সাথে দ্য কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরের বৈঠক
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে দ্য কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জনাথন স্টোনস্ট্রিট এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ঢাকায় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এ সময় দ্য কার্টার সেন্টারের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সাইরাহ জাইদি এবং লোক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিশেষজ্ঞ কাজী শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ঐকমত্য কমিশনের কার্য অগ্রগতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার সংক্রান্ত ৫টি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানতে ইতোমধ্যে সুপারিশমালা স্প্রেডশিট আকারে তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আমরা মতামত পেয়েছি এবং তার ভিত্তিতে ৩২টি দলের সাথে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছে কমিশন। শীঘ্রই প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা শুরু করবে কমিশন। তিনি আরো বলেন, সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা নির্দেশ করবে। একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এই জাতীয় সনদ ভূমিকা রাখবে, যা দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখার নিশ্চয়তা দেবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
পবন/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৫০
ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব
--- ভূমি উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব। রাষ্ট্রপরিচালনার অন্যতম উৎস হচ্ছে কর। ভূমি উন্নয়ন কর বাংলাদেশ রাজস্ব খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই কর যথাসময়ে নির্ধারণ ও আদায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার কর আদায় বিষয়ক কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ১৬টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এখন আগের মতো কোনো বিড়ম্বনা নয়। যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনে এ কর প্রদান করতে পারছেন। আমাদের মানুষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
ভূমি উপদেষ্টা আরো বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা হলো জমি ব্যবহারের বিপরীতে সরকারের নিকট বাৎসরিক প্রদেয় কর। ২৫ বিঘার উর্ধ্বে কোনো কৃষি জমি বা যে কোনো পরিমাণ অকৃষি জমি (আবাসিক বা বাণিজ্যিক) থাকলে এর মালিককে সরকারের নিকট নির্ধারিত হারে প্রতি বৎসর এ কর প্রদান করতে হয়। অন্যান্য করের মতো এটিও সরকারের একটি বাৎসরিক পাওনা এবং খাজনার রশিদ (দাখিল) মালিকানার একটি গুরুত¦পূর্ণ প্রমাণপত্র, যা আদালতেও গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ভূমি উন্নয়ন করের দাবি ৮২৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা; এর মধ্যে বকেয়া ৬৭৯ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা; হাল ১৪৯ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা এবং মোট আদায় ১৪৪ দশমিক ১৩ কোটি টাকা হয়েছে। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে আদায় ৩৪ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরি। আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মোঃ সাইদুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
গিয়াস/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৪৯
মিশরের সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে
--- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য দ্রুত মিশরের সঙ্গে পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি (Omar Mohie Eldin Ahmed Fahmy)-এর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিশরে পাঠানো হয়েছে। মিশরের পক্ষ থেকে এটি অনুমোদিত হলে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হবে। তাছাড়া সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে মিশরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু, পুলিশের প্রশিক্ষণ, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়-সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, মিশর বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দেশটি প্রাচীন সভ্যতা ও ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে সেরা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি মিশরে অবস্থিত। মিশর বাংলাদেশকে পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে। তাছাড়া মিশর বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এ সময় রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনের বিষয়টি পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হতে হবে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ছাড়াও দু'দেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তা বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ। কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তে নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করছে। উপদেষ্টা এ সময় মিশরকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নৈতিক সহায়তার আহ্বান জানান।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মুঃ জসীম উদ্দিন খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক বি এম জামাল হোসেন-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আগামীকাল (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্তন শিক্ষক প্রফসর মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জ, এফ. এম ১০৬.০ মেগাহার্জ, ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম এফ. এম ৮৮.৮ মেগাহার্জে এবং ওয়েবসাইট www.betar.gov.bd ও মোবাইল অ্যাপ Bangladesh Betar থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একই সাথে বাংলাদেশ বেতারের সকল আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যম তরঙ্গ ও সংশ্লিষ্ট এফ. এম ব্যান্ডে অনুষ্ঠানটি এক যোগে রিলে করা হবে।
বাংদেশ বেতারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
শ্যামল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/শামীম/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৪৭
গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আধুনিক জাত দরকার নাই
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
শুধু মুনাফার জন্য নয়, দেশের প্রয়োজনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আমাদের আধুনিক জাত দরকার নাই। দেশীয় জাত রক্ষা করে আমরা যেন দুধ ও মাংস উৎপাদন করতে পারি, সেলক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর ৩ ডি সেমিনার হলে ‘দেশীয় গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন : চ্যালেঞ্জ ও অগ্রগতির পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, উন্নত জাতের কথা বলে বিদেশি নানা জাত আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ফ্রিজিয়ান আর ক্রসবিট ছাড়া উপায় নাই-এটা মূলত প্রশ্নবিদ্ধ কথা। দেশীয় গরু হারিয়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে। এটা ঠেকানোর জন্য আমরা একটা রোডম্যাপ নিতে পারি, যা খুবই জরুরি। আমরা বিদেশি নানা জাত নিয়ে আসছি, ওটা টেকসই না। এর পেছনে নানা সময় শ্রম ব্যয় করছি কিন্তু তা টিকছে না।
দেশীয় জাতের গবাদিপশু সংরক্ষণ করতে পারলে মন্ত্রণালয়ের নামকরণ স্বার্থক হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি জাত যারা প্রমোট করেছেন; তারা দেশীয় গরুর জাতের বিষয়ে নেগেটিভ কথা বলেছেন। এখন বলছেন, খামারিরা কিছু বুঝে না। দেশীয় জাত সংরক্ষণ করতে পারলে প্রাণিসম্পদ নামকরণ স্বার্থক হবে। সিমেন (বীজ) এখন ব্যবসার পর্যায়ে চলে গেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
ফরিদা আখতার আরো বলেন, দেশের এক অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের মিল নাই; এমনকি খাওয়া-দাওয়া স্বভাবে মিল নেই। আমরা মানুষেরা জোনে ভাগ হয়ে আছি। তাহলে প্রাণিরাও তাই, আল্লাহর সৃষ্টি। জোন ভিত্তিক দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণে আমাদের প্রকল্প নিতেই হবে। দেশীয় জাত পালনে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি না কেন। দেশীয় জাত পালনে এই সুবিধা দেওয়া হলে কৃষকেরা অবশ্যই দেশীয় জাত পালন করবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগ আয়োজিত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাকিলা ফারুক। এতে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ বয়জার রহমান। সেমিনারে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৪৬
চিকিৎসাসেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ) বলেছেন, চিকিৎসাসেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর কিংবা চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ চিকিৎসার সামগ্রিক পরিবেশকে অনুকূল, নিরাপদ ও জনবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর শহিদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ মে) সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। তাই আপনাদের ওপর জনপ্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা ও ত্যাগ সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, মনকে ছুঁয়ে যায়। সেবাকে আরো জনমুখী করতে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, পোস্টমর্টেম সেবাকে থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া; নারীদের পোস্টমর্টেম নারী ডাক্তার দিয়ে করানো; ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে নারী চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো, নারী চিকিৎসক পাওয়া না গেলে নারী সেবিকা দিয়ে তা করিয়ে পুরুষ ডাক্তার দিয়ে প্রতিস্বাক্ষর করা প্রয়োজন।
এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণহীন এবং ভবনকেন্দ্রিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করা, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করে মেডিকেল কলেজগুলোর মান উন্নীতকরণ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ৬ মাস শহরে ও ৬ মাস গ্রামে করার ব্যবস্থা করা ও গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে জনগণ দ্রুত সেবা পাবে ও জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে। তাছাড়া মানহীন চিকিৎসক তৈরির হাত থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এসময় থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে অংশীদার হয়ে মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে সিভিল সার্জনদের আহ্বান জানান।
চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসা পেশা নিঃসন্দেহে সম্মানজনক। চিকিৎসকদেরই জনগণকে সবচেয়ে বেশি সেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে এবং তারা তা করতে সচেষ্ট আছেন। অনেক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। অনেক উপজেলা বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সিজিল সার্জনরা এসময় উপদেষ্টার নিকট বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জেলা হাসপাতালগুলোকে কেপিআই স্থাপনার স্বীকৃতি প্রদান ও সেখানে পুলিশ টহল বৃদ্ধিকরণ, জেলার পোস্টমর্টেম সেন্টারকে আধুনিকীকরণ, সিভিল সার্জনদের জন্য গানম্যান প্রদান। উপদেষ্টা যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মোঃ সারোয়ার বারী প্রমুখ।
#
ফয়সল/জাভেদ/তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১৫১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫৪৫
গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য
-অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ঢাকা, ৩০ বৈশাখ (১৩ মে):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আমরা সকলে ইতিহাসের এমন এক মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হয়েছি, যখন একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সে অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজ ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা কেমন হবে তা নির্দেশ করবে। রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই আকাঙ্ক্ষা উন্মুক্ত হয়েছে।
আলোচনায় সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে আলোচনায় দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
গত ২৩ মার্চ সিপিবি ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার বিষয়ক তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সাথে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। ইতোমধ্যে সিপিবিসহ ৩২টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
#
পবন/ তৌহিদ/শাহিদা/মেহেদী/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১৩৫০ ঘণ্টা